Breaking News

Bilaspur Train Collision

ছত্রিশগড়ের বিলাসপুরে যাত্রীবাহী ট্রেন ও মালবাহী ট্রেনে ভয়াবহ সংঘর্ষ: অন্তত ৪ জনের মৃত্যু, রেল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন

বিলাসপুর–রায়পুর রুটে যাত্রীবাহী ট্রেন পেছন দিক থেকে স্থির মালবাহী ট্রেনে ধাক্কা দেয়, উদ্ধারকর্মীরা দ্রুত কাজ করছে।

Bilaspur Train Collision : যাত্রীবাহী ও মালবাহী ট্রেনে ধাক্কা, ৫ জন নিহত

Bilaspur Train Collision

ক্লাউড টিভি ডেস্ক : মঙ্গলবার বিকেলে, ছত্রিশগড়ের বিলাসপুর জেলার নিকটস্থ রেলস্টেশনে  একটি ভয়ঙ্কর রেল দুর্ঘটনা ঘটেছে। একটি যাত্রীবাহী ট্রেন পেছন দিক থেকে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় থাকা একটি মালবাহী ট্রেনে ধাক্কা দেয়। এর ফলে কমপক্ষে ৫ জন নিহত এবং আরও অনেক যাত্রী আহত হয়েছেন।

প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, এই দুর্ঘটনা ঘটেছে ছত্রিশগড়ের রাজধানী রায়পুরের প্রায় ১১৬ কিলোমিটার দূরবর্তী বিলাসপুর এলাকায়। সংঘর্ষের সময় যাত্রীবাহী ট্রেনটি পেছন দিক থেকে মালগাড়ির সঙ্গে ধাক্কা লাগে, যার কারণে কয়েকটি কোচ উল্টে গেছে এবং বহু যাত্রী আটকা পড়েছেন।

উদ্ধারকর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন। উদ্ধারকর্মীরা বলছেন, “ট্রেনের ভাঙা অংশ কাটতে হচ্ছে যাতে এখনো আটকা পড়া যাত্রীদের উদ্ধার করা যায়।” একাধিক আহতকে দ্রুত নিকটবর্তী হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে, এবং রেল প্রশাসন তাদের চিকিৎসার জন্য যথাসর্বস্ব তৎপরতা দেখাচ্ছে।

এদিকে রেল যোগাযোগ ব্যাপকভাবে ব্যাহত হয়েছে। একাধিক ট্রেন বাতিল বা বিকল্প রুটে চলাচল করছে। রেল বিভাগ জানিয়েছে দ্রুত যাত্রী সেবাকে স্বাভাবিক করতে ট্র্যাক ও সিগন্যালিং সিস্টেম মেরামতের কাজ চলছে।

ইতিমধ্যে রেল কর্তৃপক্ষ একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। কারণ হিসেবে সম্ভাব্যভাবে সিগন্যাল ত্রুটি অথবা মানবিক ভুলের দিকে নজর দেওয়া হয়েছে। যেহেতু ভারতের রেল নেটওয়ার্ক বহু পুরনো তাই এ-রকম দুর্ঘটনা প্রায় সময় ঘটছে।

লন্ডনে ট্রেনের মধ্যে ছুরি নিয়ে হামলা : ঘটনাস্থলেই গ্রেফতার, সন্ত্রাসবাদ নয় বলে জানিয়েছে পুলিশ

বেঙ্গালুরুতে সিগন্যাল ভেঙে অ্যাম্বুলেন্সের ধাক্কা, স্কুটারে থাকা দম্পতির করুণ মৃত্যু

এই দুর্ঘটনা শুধু একটি ভয়াবহ ঘটনা নয় — বরং রেল নিরাপত্তার অবস্থা ও অবকাঠামোর দুর্বলতার দিকে গুরুতর প্রশ্ন তোলে। কারণ প্রতিদিন ভারতের রেলে কোটি কোটি মানুষ চলাচল করছেন এবং তুলনায় দুর্ঘটনার কারণগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো পুরনো ট্র্যাক, সিগন্যালিং ব্যর্থতা ও সঠিক রক্ষণাবেক্ষণের অভাব।

প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, যখন ধাক্কা লাগে তখন একমাত্র সময় ছিল বিভ্রান্তি ও চিৎকারের। তারা জানান, “হঠাৎ ই ট্রেন থেমে গেলো ও সব দিক ধ্বংস হয়ে গেলো।” উদ্ধারকারীরা বলছেন, প্রত্যেক মিনিট গুরুত্বপূর্ণ ছিল কারণ ধ্বংসাবশেষ সরাতে সময় লাগছিল।

পরিবার-স্বজনেরা হতাশ হয়ে পড়েছেন। নিহতদের আত্মীয়দের জন্য রেল কর্তৃপক্ষ আন্তরিক সমবেদনা জ্ঞাপন করেছে এবং আহতদের দ্রুত সেবা নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এছাড়া দুর্ঘটনায় যাত্রীদের সচেতনায়ও বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে — রেললাইন পারাপার বা স্টেশনে অবস্থানের সময় সতর্ক থাকার জন্য বিশেষ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

উল্লেখযোগ্যভাবে, এই রুটে ইতিমধ্যে নিরাপত্তার পর্যালোচনা হতে শুরু করেছে। রেল বিভাগের এক শীর্ষ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, “আমরা এই রুটের সমস্ত সিগন্যাল, ট্র্যাক এবং জরুরি ব্যবস্থা দ্রুত পুনর্মূল্যায়ন করব যাতে ভবিষ্যতে এ-রকম ঘটনা না ঘটে।”

এই দুর্ঘটনা আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় যে বড় সংখ্যক যাত্রী নিরাপদে চলাচল করতে  রেলপথের নিরাপত্তা বজায় রাখতে হবে যা নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ, আধুনিক সিগন্যালিং ও মানবিক সচেতনতা ছাড়া সম্ভব নয়। এখন সময় এসেছে — শুধু ক্ষতিপূরণ বা উদ্ধার নয়, প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার।

আরও পড়ুন :

“পাকিস্তান পরীক্ষা করছে; যুক্তরাষ্ট্রকেও ‘সঠিক সময়ে’ পরীক্ষার মাধ্যমে পারমাণবিক নীতি প্রতিষ্ঠা করতে হবে।” : ট্রাম্প

নিরাপত্তাজনিত কারণে মন্নাতের সামনে জন্মদিনে ভক্তদের সঙ্গে দেখা করলেন না Shah Rukh Khan

ad

আরও পড়ুন: