নতুন কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় ২০২৫
ক্লাউড টিভি ডেস্ক: শিক্ষাক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকারের একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত সামনে এল। মন্ত্রিসভা সারা দেশে ৫৭টি নতুন কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় (Kendriya Vidyalaya) খোলার অনুমোদন দিয়েছে। এর জন্য মোট ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৫,৮৬২ কোটি টাকা। সরকারের এই পদক্ষেপে দেশজুড়ে লক্ষাধিক ছাত্রছাত্রী মানসম্মত শিক্ষার সুযোগ পাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
নতুন কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়গুলিতে শুধু ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত নয়, ‘বালবাটিকা’ (Balvatika) নামের প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার ব্যবস্থাও থাকবে। অর্থাৎ শিশুদের প্রাথমিক শিক্ষার ভিত্তি আরও মজবুত করতে এবার থেকে কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়গুলিতেই প্লে-স্কুল বা নার্সারি পর্যায়ের পাঠদান শুরু হবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি জাতীয় শিক্ষা নীতি (NEP 2020)-র সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ একটি বড় পদক্ষেপ।
বর্তমানে সারা দেশে ১,২৫২টিরও বেশি কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় রয়েছে। এগুলি প্রধানত কেন্দ্রীয় সরকারী কর্মচারী, সেনা সদস্য, আধাসামরিক বাহিনী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সন্তানদের মানসম্মত শিক্ষা প্রদান করে। নতুন ৫৭টি বিদ্যালয় যুক্ত হলে শিক্ষা নেটওয়ার্ক আরও বিস্তৃত হবে। বিশেষ করে গ্রামীণ ও আধা-শহুরে অঞ্চলে মানসম্মত শিক্ষা পৌঁছনোর সম্ভাবনা বাড়বে।
ইউক্রেনিয়ান শিশুরা স্কুলের বর্ষ শুরু করলো ভূগর্ভে: নিরাপদ শিক্ষার একটি সাহসী প্রচেষ্টা
মার্কিন কংগ্রেসে পাস হল না অর্থায়ন বিল, যুক্তরাষ্ট্রে শুরু সরকারি শাটডাউন
সরকারের হিসাব অনুযায়ী, প্রতিটি নতুন বিদ্যালয়ের জন্য আধুনিক ভবন, স্মার্ট ক্লাসরুম, বিজ্ঞান ও কম্পিউটার ল্যাব, খেলার মাঠ এবং লাইব্রেরি নির্মাণ করা হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই বিশাল প্রকল্প বাস্তবায়নে পরবর্তী পাঁচ বছরের মধ্যে ধাপে ধাপে অর্থ বরাদ্দ করা হবে।
শুধু শিক্ষার্থীরাই নন, এই সিদ্ধান্তে কর্মসংস্থানের সুযোগও বাড়বে। নতুন বিদ্যালয়গুলিতে হাজার হাজার শিক্ষক, কর্মচারী ও অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ কর্মী নিয়োগ করা হবে। এর ফলে শিক্ষা খাতের পাশাপাশি স্থানীয় অর্থনীতিতেও ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।
সরকারের দাবি, এই পদক্ষেপ দেশের আগামী প্রজন্মকে দক্ষ করে তুলতে একটি বড় বিনিয়োগ। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তরফে জানানো হয়েছে, মানসম্মত শিক্ষা ছাড়া ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে বিশ্বমানের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করানো সম্ভব নয়। তাই অবকাঠামো উন্নয়নের পাশাপাশি প্রাথমিক স্তরে শিক্ষাকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
এই সিদ্ধান্তকে শিক্ষা বিশেষজ্ঞরা স্বাগত জানিয়েছেন। তাঁদের মতে, কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় ভারতের অন্যতম সেরা স্কুল নেটওয়ার্ক, যেখানে নিয়মিত পড়াশোনা, আধুনিক অবকাঠামো ও বহুমুখী কার্যক্রমে ছাত্রছাত্রীরা লাভবান হয়। নতুন ৫৭টি বিদ্যালয় চালু হলে শিক্ষার মান ও সুযোগ উভয়ই উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে।
আরও পড়ুন :
কাঠমাণ্ডুতে মাত্র ২ বছর ৮ মাসের আর্যতারা শাক্যকে নতুন জীবন্ত দেবী হিসেবে ঘোষণা