AbhinavBindra IOC MentalHealth
ক্লাউড টিভি স্পোর্টস ডেস্ক: ভারতের ইতিহাসে প্রথম ব্যক্তিগত অলিম্পিক স্বর্ণপদকজয়ী শ্যুটার অভিনব বিন্দ্রা নতুন সম্মান পেলেন। তাঁকে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি (IOC) মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক বিশেষ দূত হিসেবে নিয়োগ করেছে। এই দায়িত্বের মাধ্যমে বিন্দ্রা বিশ্বব্যাপী খেলোয়াড়দের মানসিক সুস্থতা ও ক্রীড়া জীবনে মানসিক চাপ মোকাবিলায় সচেতনতা তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা (AbhinavBindra IOC MentalHealth) রাখবেন।
অভিনব বিন্দ্রা ২০০৮ সালের বেইজিং অলিম্পিকে পুরুষদের ১০ মিটার এয়ার রাইফেল ইভেন্টে স্বর্ণপদক জিতেছিলেন। ভারতের ইতিহাসে এটাই ছিল প্রথম ব্যক্তিগত অলিম্পিক সোনা। এই একক কৃতিত্ব তাঁকে দেশের ক্রীড়া ইতিহাসে এক অনন্য উচ্চতায় বসিয়েছে। দীর্ঘ ক্রীড়া জীবনে শ্যুটিংকে পেশা হিসেবে নেওয়া এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সাফল্য পাওয়ার পাশাপাশি তিনি সবসময়ই মানসিক শক্তি ও স্থৈর্যের গুরুত্ব নিয়ে সরব থেকেছেন।
আইওসি মানসিক স্বাস্থ্য দূত তালিকায় অভিনব বিন্দ্রার পাশাপাশি আরও নয়জন আন্তর্জাতিক ক্রীড়াবিদকে যুক্ত করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন—
হলি ব্র্যাডশ (ব্রিটেনের পোল ভল্টার)
ক্যামিল চেং (হংকং, চীনের সাঁতারু)
ব্রুনো ফ্রাটাস (ব্রাজিলের সাঁতারু)
গ্রেসি গোল্ড (যুক্তরাষ্ট্রের ফিগার স্কেটার)
মারি-জোসি তা লু-স্মিথ (আইভরি কোস্টের স্প্রিন্টার)
রায়ান পিনি (পাপুয়া নিউ গিনির সাঁতারু)
আকানি সিম্বাইন (দক্ষিণ আফ্রিকার স্প্রিন্টার)
মাসোমাহ আলী জাদা (আফগানিস্তানের সাইক্লিস্ট)
এই বহুজাতিক দলটির মাধ্যমে আইওসি বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের খেলোয়াড়দের কাছে পৌঁছে মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে ইতিবাচক বার্তা ছড়াতে চায়।
আধুনিক ক্রীড়াজীবনে মানসিক স্বাস্থ্য এখন সবচেয়ে বড় আলোচনার বিষয়গুলির একটি। শারীরিক ফিটনেসের পাশাপাশি মানসিক দৃঢ়তা একজন খেলোয়াড়ের সাফল্যে নির্ণায়ক হয়ে দাঁড়ায়। সাম্প্রতিক সময়ে বহু আন্তর্জাতিক তারকা—যেমন সিমোনে বাইলস বা নাওমি ওসাকা—খোলাখুলি মানসিক চাপে ভেঙে পড়ার অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন। এর ফলে ক্রীড়া সংস্থাগুলি মানসিক সুস্থতাকে আরও গুরুত্ব দিতে শুরু করেছে।
অলিম্পিকে ক্রিকেটের প্রত্যাবর্তন: লস অ্যাঞ্জেলেস ২০২৮-এ ইতিহাস গড়ার পথে টি-টোয়েন্টি
অভিনব বিন্দ্রা নিজেও একাধিকবার জানিয়েছেন, খেলোয়াড়দের জন্য মানসিক চাপ, ব্যর্থতার ভয় এবং প্রতিযোগিতার উদ্বেগ সামলানো শারীরিক প্রস্তুতির মতোই গুরুত্বপূর্ণ। তাই আইওসির এ নতুন দায়িত্ব তাঁর অভিজ্ঞতার সঙ্গেই সামঞ্জস্যপূর্ণ।
বর্তমানে ৪২ বছর বয়সী বিন্দ্রা শুধু একজন প্রাক্তন অলিম্পিক চ্যাম্পিয়নই নন, তিনি আইওসি অ্যাথলিটস কমিশনের ভাইস-চেয়ারম্যান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। পাশাপাশি অভিনব বিন্দ্রা ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে খেলোয়াড়দের জন্য আধুনিক ট্রেনিং ও মানসিক স্বাস্থ্য সহায়তা কার্যক্রমও পরিচালনা করছেন।
ভারতের ক্রীড়া মহল ও ভক্তরা বিন্দ্রার এই নতুন সাফল্যে গর্বিত। জাতীয় শ্যুটিং ফেডারেশন থেকে শুরু করে তরুণ শ্যুটাররা মনে করছেন, আন্তর্জাতিক মঞ্চে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করার মাধ্যমে তিনি কেবল দেশের ক্রীড়াক্ষেত্রের মর্যাদা বাড়াচ্ছেন না, বরং খেলোয়াড়দের মানসিক সুস্থতার মতো জরুরি বিষয়ে নেতৃত্বও দিচ্ছেন।
আরও পড়ুন :
‘কেউ বলে বিপ্লবী, কেউ বলে ডাকাত’: অনন্ত সিংয়ের গল্পে টলিউডে ফিরছেন জিৎ