Breaking News

Akashteer AirDefense

আকাশতীর’: ভারতের আকাশ প্রতিরক্ষায় আত্মনির্ভরতার শক্তিশালী নিদর্শন

আকাশতীর: সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে নির্মিত স্বয়ংক্রিয় এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম

Akashteer AirDefense: Revolutionizing India’s Safety %%page%% %%sep%% %%sitename%%

Akashteer AirDefense

মুম্বাই, ১৬ মে: ভারতের প্রতিরক্ষা প্রযুক্তিতে একটি নতুন যুগের সূচনা করেছে সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে নির্মিত এবং পরিচালিত আধুনিক এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম ‘আকাশতীর’ (Akashteer AirDefense)। ভারতের প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা (DRDO)-র তত্ত্বাবধানে তৈরি এই উন্নত ব্যবস্থা সম্প্রতি ভারতীয় সেনাবাহিনীর আর্মি এয়ার ডিফেন্স (AAD)-এ সফলভাবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।

‘আকাশতীর’ প্রকল্প ভারতের আত্মনির্ভর সামরিক উদ্যোগের অংশ, যা শুধু আধুনিক যুদ্ধক্ষেত্রে সেনাবাহিনীকে সুরক্ষা দেবে না, একইসঙ্গে ভারতের প্রযুক্তিগত সক্ষমতার একটি শক্তিশালী বার্তাও বহন করছে।

৬৩,০০০ কোটি টাকার রাফালে মেরিন চুক্তি: ভারতের নৌসেনার আধুনিকীকরণে ঐতিহাসিক পদক্ষেপ

পাকিস্তানের উত্তরাঞ্চল থেকে ধূলিঝড় দিল্লি-এনসিআর-এ, বাতাসে বিষ! সতর্ক করলো IMD

‘আকাশতীর’ হলো একটি Air Defence Control and Reporting System (ADC&RS), যা স্বয়ংক্রিয়ভাবে শত্রুপক্ষের ড্রোন, যুদ্ধবিমান, ক্রুজ মিসাইলের মতো আকাশসীমায় হুমকি শনাক্ত করতে এবং প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিতে পারদর্শী। এটি সেনাবাহিনী ও বিমানবাহিনীর বিভিন্ন সেন্সর ও রাডারের মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্য একত্রিত করে একটি সমন্বিত আকাশ চিত্র তৈরি করে, যা আকাশপথে সম্ভাব্য হুমকির ওপর রিয়েল-টাইম নজরদারি করতে সক্ষম।

  • Fully Automated Operation: সেনা ও বিমানবাহিনীর মধ্যে সমন্বয় রেখে দ্রুততম সময়ে সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম।

  • Multi-Sensor Integration: বহু সেন্সর ও রাডার একসাথে কাজ করে নির্ভুল তথ্য সংগ্রহ করে।

  • Mobile Deployment: সহজেই স্থানান্তরযোগ্য হওয়ায় যুদ্ধক্ষেত্রে দ্রুত মোতায়েন করা সম্ভব।

  • Real-Time Data Fusion: রিয়েল-টাইমে শত্রুপক্ষের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করে প্রতিরক্ষার ব্যবস্থা নেয়।

আকাশতীরের সবচেয়ে বড় শক্তি হলো, এটি ডিজিটাল যুদ্ধক্ষেত্রে ভারতে এক নতুন যুগের সূচনা করেছে। পাকিস্তান ও চীনের মতো প্রতিবেশী দেশের ক্রমবর্ধমান ড্রোন হুমকি ও প্রযুক্তিগত আধিপত্য রুখতে এটি ভারতের হাতে এক অদৃশ্য শক্তি হয়ে উঠতে পারে। আকাশতীরের মাধ্যমে সেনাবাহিনী যে কোনো হঠাৎ আক্রমণ, এয়ারস্ট্রাইক বা ড্রোন হামলার মুহূর্তেই সঠিক প্রতিক্রিয়া জানাতে পারবে।

২০২৭ সালের মধ্যে ভারতীয় সেনাবাহিনীতে মোট ৪৫৫টি আকাশতীর ইউনিট যুক্ত করার লক্ষ্য স্থির করা হয়েছে। তার মধ্যে ২০২৫ সালের মার্চের মধ্যেই ১০৫টি ইউনিট সরবরাহের পরিকল্পনা রয়েছে। DRDO ও ভারত ইলেকট্রনিক্স লিমিটেড (BEL)-এর যৌথ সহযোগিতায় এগিয়ে চলেছে প্রকল্পটি।

অনেকেই আকাশতীরকে ইসরায়েলের ‘আয়রন ডোম’-এর সঙ্গে তুলনা করছেন, যদিও আকাশতীর পুরোপুরি ভারতীয় ভূখণ্ড ও পরিস্থিতিকে মাথায় রেখেই তৈরি। এটি ভারতের মাটিতে যুদ্ধ করার জন্য বিশেষভাবে উপযোগী এবং স্থানীয়ভাবে রক্ষণাবেক্ষণযোগ্য।

ভারতের প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞ ও সামরিক নেতৃত্ব ‘আকাশতীর’-এর উন্নয়নকে “গেম চেঞ্জার” হিসেবে দেখছেন। ডিআরডিও প্রধান বলেন, “ভারত এখন শুধুমাত্র প্রতিরক্ষা আমদানিকারক দেশ নয়, বরং একটি প্রযুক্তিনির্ভর শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে।”

আরও পড়ুন :

“শাহরুখ খানের বিপদ! কর্মীর মৃত্যুতে আদালতের কড়া বার্তা, দিতে হবে ৬২ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ”

Modi Vs Trump: ভারতের নয়া ট্রাম্পকার্ডে ব্যাকফুটে মার্কিন মুলুক

ad

আরও পড়ুন: