Breaking News

MakeInIndia Defense IADWS

ভারতের আকাশকে সুরক্ষিত রাখবে এবারে দেশীয় এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম IADWS

ভারতীয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় বড় অগ্রগতি আনল DRDO ও সেনাবাহিনী। দেশীয় Integrated Air Defence Weapon System আকাশপথের যেকোনো হুমকি মোকাবিলায় দেবে বহুমাত্রিক সুরক্ষা।

MakeInIndia Defense IADWS: Securing Airspace %%page%% %%sep%% %%sitename%%

MakeInIndia Defense IADWS

ক্লাউড টিভি ডেস্ক : ভারত দীর্ঘদিন ধরে দেশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় আত্মনির্ভর হওয়ার লক্ষ্যে কাজ করে চলেছে । এই ধারাবাহিকতার অংশ হিসেবেই ভারতীয় প্রতিরক্ষা গবেষণা সংস্থা (DRDO) এবং ভারতীয় সেনাবাহিনী যৌথভাবে তৈরি করেছে দেশীয় ইনটিগ্রেটেড   এয়ার ডিফেন্স ওয়েপন সিস্টেম (Integrated Air Defence Weapon System – IADWS)। এর মূল লক্ষ্য হলো—দেশের আকাশসীমাকে সুরক্ষিত রাখা, আকাশপথে সম্ভাব্য হামলা প্রতিহত করা এবং শত্রুপক্ষের ড্রোন, ফাইটার জেট কিংবা মিসাইল আক্রমণ নস্যাৎ (MakeInIndia Defense IADWS) করে দেওয়া।

Integrated Air Defence Weapon System (IADWS) মূলত একটি নেটওয়ার্ক-ভিত্তিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, যেখানে একই সঙ্গে রাডার, সেন্সর, মিসাইল, এবং কমান্ড কন্ট্রোল সেন্টার সমন্বিতভাবে কাজ করে। এর মাধ্যমে মুহূর্তের মধ্যে শত্রুপক্ষের গতিবিধি শনাক্ত করে তা প্রতিহত করা সম্ভব। ফলে এটি শুধু প্রতিরক্ষা নয়, বরং আক্রমণ প্রতিহত করার জন্য একটি কৌশলগত ছাতার মতো কাজ করে।

পাকিস্তানি ড্রোন হামলা প্রতিহত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে ভারতীয় ক্ষেপণাস্ত্র আকাশ

জাপানের অত্যাধুনিক বারুদ বিহীন রেলগান এক নিমিষে ধ্বংস করবে চিন, উত্তর কোরিয়ার হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোন


বৈশিষ্ট্য ও সক্ষমতা

১. মাল্টি-লেয়ারড প্রোটেকশন – এই সিস্টেমের সবচেয়ে বড় শক্তি হলো একাধিক স্তরের প্রতিরক্ষা। আকাশপথে শত্রুপক্ষের ড্রোন থেকে শুরু করে ব্যালিস্টিক মিসাইল পর্যন্ত যেকোনো কিছু লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার আগেই ধ্বংস করতে সক্ষম।

২. অটোমেটেড কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল – অত্যাধুনিক সফটওয়্যার ও কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত নেটওয়ার্কের মাধ্যমে মুহূর্তের মধ্যে হুমকি শনাক্তকরণ ও প্রতিরোধের ব্যবস্থা নেওয়া যায়।

৩. দেশীয় প্রযুক্তি – সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরি হওয়ায় এটি আমদানি নির্ভরতা কমাবে এবং ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ প্রকল্পের সাফল্যের প্রতীক হয়ে উঠবে।

৪. দ্রুত প্রতিক্রিয়া ব্যবস্থা – হাইপারসনিক মিসাইল কিংবা দ্রুতগামী জেট সনাক্ত হওয়ার পর কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই প্রতিরোধের ব্যবস্থা নেওয়া যায়।


কেন প্রয়োজন এই সিস্টেম?

ভারতের আকাশসীমা বহুদিন ধরেই বিভিন্ন নিরাপত্তা হুমকির মুখে রয়েছে। সীমান্তে চীন ও পাকিস্তানের অনুপ্রবেশ, ড্রোন হামলা কিংবা মিসাইলের সম্ভাব্য ঝুঁকি মোকাবিলার জন্য এমন একটি দ্রুত প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা অপরিহার্য হয়ে উঠেছিল। তাছাড়া রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ কিংবা পশ্চিম এশিয়ার সংঘাতগুলো প্রমাণ করেছে, আধুনিক যুদ্ধক্ষেত্রে ড্রোন ও মিসাইল আক্রমণ সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতেই ভারতের হাতে আসছে এই দেশীয় প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি।

IADWS মোতায়েন হলে ভারত শুধু আকাশসীমা রক্ষায় আরও শক্তিশালী হবে না, বরং আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক অবস্থানেও একধাপ এগিয়ে যাবে। কারণ প্রতিরক্ষা সরঞ্জামে আত্মনির্ভরতা বাড়লে বিদেশি সরবরাহের ওপর নির্ভরশীলতা কমবে। পাশাপাশি এটি রপ্তানির নতুন দিগন্ত খুলে দিতে পারে।

DRDO ইতোমধ্যেই জানিয়েছে, আগামী কয়েক বছরের মধ্যে সিস্টেমের উন্নত সংস্করণে হাইপারসনিক মিসাইল প্রতিরোধের ক্ষমতা আরও বাড়ানো হবে। সেনাবাহিনী ধাপে ধাপে এটি সীমান্তে ও গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ঘাঁটিতে মোতায়েন করবে।

আরও পড়ুন :

মিশরে সমুদ্রতলে প্রাচীন শহরের খোঁজ

‘দ্য ক্রাউন’ এর সাফল্যের পর নেটফ্লিক্স পর্দায় নিয়ে আসছে ‘প্রিন্সেস ডায়ানা’

ad

আরও পড়ুন: