Bankim Brahmbhatt fraud case
							ক্লাউড টিভি ডেস্ক: বিশ্বের সব থেকে বড় সম্পদ ব্যবস্থাপনা সংস্থা BlackRock-সহ বহু প্রতিষ্ঠান সম্প্রতি এক বড় ধরনের আর্থিক প্রতারণার শিকার হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, ‘টেলিকম-পরিষেবা’ খাতের এক ভারতীয় বংশোদ্ভূত উদ্যোক্তা, Bankim Brahmbhatt, তাঁর নিয়ন্ত্রণাধীন কোম্পানিগুলোর মাধ্যমে মিথ্যা ইনভয়েস এবং ভুয়া রিসিভেবল দেখিয়ে প্রায় ৫০০ মিলিয়ন ডলারের বিশাল ঋণ তুলেছিলেন। ফলে আন্তর্জাতিক আর্থিক দুনিয়ায় তীব্র আলোচনা শুরু হয়েছে।
এদিকে, এই ঘটনায় মার্কিন প্রাইভেট ক্রেডিট মার্কেটের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। ফলে নড়েচড়ে বসেছে বহু আর্থিক প্রতিষ্ঠান।
Brahmbhatt-এর কোম্পানিগুলোর মধ্যে আছে Broadband Telecom এবং Bridgevoice। অভিযোগ অনুযায়ী, এই প্রতিষ্ঠানগুলি ভুয়া ক্লায়েন্ট দেখিয়ে ব্যাঙ্ক এবং ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড থেকে বিপুল ঋণ নেয়। এছাড়া, ভেজাল ইনভয়েস এবং প্রসেস করা হয়নি এমন সার্ভিস বিল ব্যবহার করে আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে ধোঁকা দেওয়া হয়।
তবে, তদন্ত শুরু হওয়ার পরই অভিযোগের সত্যতা ধরা পড়েছে। কারণ, BlackRock-এর অধিগৃহীত ক্রেডিট আর্ম HPS-এর কর্মকর্তারা প্রথম সন্দেহ করেন। ফলে একটি অভ্যন্তরীণ যাচাইয়ে দেখা যায়, উল্লিখিত বহু ক্লায়েন্টদের ইমেল ডোমেইন ছিল সন্দেহজনক। এদিকে অফিস পরিদর্শনে দেখা যায়, অধিকাংশ অফিস খালি পড়ে ছিল। কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন না। ফলে সন্দেহ আরও ঘনীভূত হয়।
হেয়ার স্টাইলিস্ট জাভেদ হাবিবের বিরুদ্ধে কোটি-কোটি টাকার প্রতারণার অভিযোগ, লুকআউট নোটিস জারি
অভাবনীয় কান্ড : ৩ কোটি ইউরো’ মাঠে ছুড়ে মেরে সমর্থকদের স্লোগান—রোনালদো বাড়ি যাও
তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, কোম্পানির আর্থিক নথিতে বহু পুরনো ইনভয়েস ব্যবহার করা হয়েছিল। তাছাড়া, বকেয়া পাওনার অঙ্ক কৃত্রিমভাবে ফুলিয়ে ফোলানো হয়েছিল। যদিও Brahmbhatt পক্ষ এখনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া দেয়নি।
এই প্রতারণার ফলে শুধু BlackRock নয়, আরও একাধিক বিনিয়োগকারী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এছাড়া, BNP Paribas-এর মতো বড় সংস্থাও যুক্ত রয়েছে।
তবে, Brahmbhatt-এর অবস্থান এখন স্পষ্ট নয়। কেউ কেউ বলছেন তিনি ভারতেই থাকতে পারেন। অন্যদিকে, মার্কিন আদালতে এরই মধ্যে মামলা দায়ের হয়েছে।
বিশ্ব অর্থনীতিতে এখন প্রাইভেট ক্রেডিট সেক্টর দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবুও, এই ঘটনার পর স্পষ্ট, পর্যবেক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থায় ফাঁক রয়েছে। তাই এই সেক্টরের উপর আস্থা কমতে পারে।
এছাড়া, এই কেস আন্তর্জাতিক ফিন্যান্স জগতে এক বিশাল সতর্ক বার্তা হিসেবে দেখা হচ্ছে। বিশেষত টেলিকম ট্রেডিং বা হোলসেল ভয়েস ট্রাফিক ব্যবসায় জালিয়াতির ঝুঁকি অনেক বেশি।
তবে, তদন্তকারীরা আশা করছেন যে বেশ কিছু সম্পদ জব্দ করা যাবে। যদিও বহু সম্পদ বিদেশে সরিয়ে নেওয়ার অভিযোগ আছে। ফলে সম্পূর্ণ অর্থ উদ্ধারে সময় লাগতে পারে।
এদিকে, মার্কেট বিশ্লেষকরা বলছেন, BlackRock-এর মতো প্রতিষ্ঠানের এমন প্রতারণার শিকার হওয়া আর্থিক নিরাপত্তা কাঠামোর ওপর আঘাত। তাই আগামী দিনে কঠোর নীতিমালা আসতে পারে।
তবে, বিনিয়োগকারীদেরও সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। কারণ, উচ্চ রিটার্নের প্রলোভনে অনেকেই তথ্য যাচাই করেননি।
বর্তমানে একাধিক আদালত প্রক্রিয়া চলছে। এছাড়া, আরও ফান্ড ম্যানেজমেন্ট সংস্থা তদন্তে নামছে। ফলে এই কেস আগামী কয়েক মাস আলোচনায় থাকবে।
আরও পড়ুন :
“মেসেজ করে ভুল করিনি”, উত্ত্যক্ত করার অভিযোগে মুখ খুললেন ঋজু বিশ্বাস
জুবিন গর্গের শেষ ছবি ‘রই রই বিনালে’ আসামে ঝড় তুলল, ভোরবেলা শো-তে হাউসফুল! কান্নায় ভাসছে ভক্তরা