Breaking News

BeijingFloods ClimateCrisis

এক রাতেই নামতে পারে বছরের এক-তৃতীয়াংশ বৃষ্টি, মিয়ুন জেলায় বৃদ্ধাশ্রমে প্লাবনে ৪৪ জনের মৃত্যু

এক রাতেই নামতে পারে বছরের এক-তৃতীয়াংশ বৃষ্টি। আগের বন্যায় মৃত্যু ৪৪ জনের। বেইজিং জুড়ে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি।

BeijingFloods ClimateCrisis: A Call for Action %%page%% %%sep%% %%sitename%%

BeijingFloods ClimateCrisis

ক্লাউড টিভি আন্তর্জাতিক ডেস্ক : চীনের রাজধানী বেইজিং-সহ পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে ফের ভয়ঙ্কর প্রাকৃতিক দুর্যোগের আভাস। সম্প্রতি ভয়াবহ বন্যা ও ভূমিধসে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৪৪ জন। সেই ক্ষত শুকাতে না শুকাতেই ফের আশঙ্কা করা হচ্ছে প্রবল বৃষ্টিপাত ও ফ্ল্যাশ ফ্লাডের (BeijingFloods ClimateCrisis)।

চীনের ন্যাশনাল মেটিওরোলজিক্যাল সেন্টার সোমবার ঘোষণা করেছে যে, আগামী ৬ ঘণ্টার মধ্যে বেইজিং ও এর উত্তরের জেলাগুলিতে ২০০ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টিপাত হতে পারে। যা ওই অঞ্চলের এক-তৃতীয়াংশ বা প্রায় এক বছরের গড় বৃষ্টির সমান।

চীনের জাতীয় আবহাওয়া দফতরের রিপোর্টে বলা হয়েছে—

“এই পরিমাণ বৃষ্টিপাত একদিনেই শহরজুড়ে প্লাবন পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে। পাহাড়ি জেলা ও নিচু এলাকাগুলিতে তাৎক্ষণিকভাবে ফ্ল্যাশ ফ্লাড এবং ভূমিধসের সম্ভাবনা প্রবল।”

গত সপ্তাহে বন্যায় প্রাণ হারানো অন্তত ৪৪ জনের মধ্যে অধিকাংশই ছিলেন মিয়ুন জেলার একটি বৃদ্ধাশ্রমের বাসিন্দা। প্রবল বৃষ্টিতে মুহূর্তের মধ্যে আশ্রমটি প্লাবিত হয়ে যায়। পানিতে ভেসে যায় জেনারেটর, বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ায় মৃত্যু ঘটে বহু অসুস্থ প্রবীণের।

এই ঘটনার পর কর্তৃপক্ষ নিজেই স্বীকার করেছে, “আমাদের প্রস্তুতির অভাব ছিল। এত দ্রুত বৃষ্টি হবে, তা আন্দাজ করা যায়নি।”

নিরবিচ্ছিন্ন বৃষ্টির দাপটে বিপর্যস্ত উত্তর-পূর্ব ভারত — ভূমিধস ও বন্যায় মৃত অন্তত ৩৪, তছনছ জীবন ও পরিকাঠামো

বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ, দক্ষিণ ও উত্তরবঙ্গে বৃষ্টি ঝড়ের আশঙ্কা

বেইজিংয়ের অন্তত ৬টি পাহাড়ি জেলা ইতিমধ্যেই “রেড এলার্ট”-এ চলে গেছে:

  • ফাংশান

  • মেনতোগৌ

  • হুয়ারোউ

  • শিজিংশান

  • চ্যাংপিং

  • ফেংতাই

এই জেলাগুলিতে মাটি নরম হয়ে গেছে। একটু বৃষ্টিতেই ভূমিধসের ঝুঁকি।

স্থানীয় প্রশাসনের তরফে শহরের নিচু এলাকাগুলি থেকে ৪,৪০০ জন মানুষকে নিরাপদ স্থানে স্থানান্তর করা হয়েছে। স্কুল ও সরকারি অফিসগুলি সোমবার আংশিক বন্ধ রাখা হয়েছে।

গ্রেট ওয়াল অব চায়নার কিছু দর্শনীয় অংশও আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য।

বিশেষজ্ঞদের মতে, “বছরের পর বছর ধরে অপরিকল্পিত নগরায়ন ও জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য বেইজিং বারবার প্লাবিত হচ্ছে। বৃষ্টির জল নিষ্কাশনের ব্যবস্থা দুর্বল। এর সঙ্গে হিমালয়ের বরফ গলনের প্রভাব তো রয়েছেই।”

২০১২, ২০২১ ও ২০২৩ সালেও এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। ২০২৩ সালে টাইফুন ডোকসুরি-র পর সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল বেইজিং ও হেবেই প্রদেশ।

আরও পড়ুন :

এ যেন ঠিক ‘স্কুইড গেম’, দক্ষিণ গাজায় ত্রাণ পেয়ে ধন্যবাদ দিতেই শিশু আমিরকে গুলি!

আল-আকসা মসজিদে ইসরায়েলি মন্ত্রীর প্রার্থনা: উত্তেজনার নতুন আগুন

ad

আরও পড়ুন: