Breaking News

BiharMuttonControversy

‘শ্রাবণ মাসে মাটন রোগণ জোশ !’ – বিহারে ভোটের আগে রান্নাঘরের রাজনীতি চরমে

বিহারের রাজনীতি এখন প্লেটে – রোগন জোশ, ধর্ম, ও ভোট একসঙ্গে মিশে তৈরি করছে নির্বাচনের নতুন মেনু।

BiharMuttonControversy: Political Tensions Rise %%page%% %%sep%% %%sitename%%

BiharMuttonControversy

ক্লাউড টিভি ডেস্ক | পটনা : ভোটের হাওয়া লাগতেই বিহারে রাজনীতির খুন্তি ঘুরছে রান্নাঘরের উননে। আর সেই উননের তাপে উঠছে ‘মাটন পার্টি’ বিতর্ক। হিন্দুদের পবিত্র শ্রাবণ মাসে বিধানসভা প্রাঙ্গণে মাংস পরিবেশন ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা, যেখানে বিজেপি এবং আরজেডি একে অপরকে ধর্মীয় মূল্যবোধকে অপমান করার অভিযোগে (BiharMuttonControversy) দোষারোপ করছে।


কী হয়েছিল?

শ্রাবণ মাসের সোমবার – যেদিন বহু হিন্দু উপবাস এবং নিরামিষ আহারে বিশ্বাস রাখেন – ঠিক সেদিনই বিহার বিধানসভায় একটি মিটিং চলাকালীন মাটন রোগান জোশ-সহ অন্যান্য আমিষ খাবার পরিবেশিত হয়। বিষয়টি নিয়ে প্রথম তোপ দাগেন তেজস্বী যাদব, যিনি এর পিছনে “বিজেপির দ্বিচারিতা” দেখছেন।

তিনি বলেন –

“আমাদের খাওয়ার প্লেট স্ক্যান করা হয়, অথচ নিজের দলের নেতারা মাংস ভোজ করলেও কিছু হয় না। এটা selective politics – এটা ভণ্ডামি!”

তিনি আরও দাবি করেন, বিজেপির মন্ত্রী ও জেডিইউ নেতারা নিজেরাই শ্রাবণে আমিষ ভোজ করেছেন – যেমন লালন সিং নিজ এলাকায় এক “মাটন পার্টি” তে অংশ নেন।

বিজেপি এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। দলটি বলেছে –

“এটা ভোটের আগে এক ধরনের মনোযোগ আকর্ষণের চেষ্টা। সব ধরনের খাবার ক্যাটারিং-এ ছিল, কে কী খেল তাতে তো দলের দায় নেই।”

তবে প্রশ্ন রয়ে যায়, এই বিতর্ক কি শুধুই খাদ্যাভ্যাস নিয়ে, নাকি ভোটের আগে ধর্মীয় অনুভূতির উপর প্রভাব ফেলতে একটি সচেতন কৌশল?


ধর্ম বনাম খাওয়া – বিতর্কের গভীরে কী আছে?

  • শ্রাবণ মাস হিন্দু ধর্মে শিবভক্তির জন্য বিখ্যাত। অনেকে উপবাস ও নিরামিষ খাবার গ্রহণ করেন।

  • এই সময় আমিষ ভোজ অনেকের কাছে ধর্মীয় অনাদর হিসাবে বিবেচিত হয়।

  • তবে বিহারের রাজনৈতিক ইতিহাসে বারবার ‘খাবার’ ব্যবহার হয়েছে জনসংযোগের হাতিয়ার হিসাবে।

  • বিরিয়ানি, মাছ ভাজা, এবং রোogan জোশ বিতরণ অতীতেও প্রচারের অঙ্গ ছিল।

এবার সেই খাবারই অস্ত্র হয়ে উঠেছে।

তেজস্বী দাবি করেন, যদি প্রধানমন্ত্রী মোদি সত্যিই ধর্মীয় অনুশাসন ও সংস্কার মেনে চলেন, তবে লালন সিংয়ের মাটন পার্টির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক। তিনি প্রশ্ন তোলেন –

“শুধু বিরোধীদের উপর নজর, নিজের ঘরের লোকের খাওয়া দেখা যায় না?”

রাজনীতির কেন্দ্র এখন আর শুধু দল বা ইস্যু নয় – খাবারও রাজনৈতিক বার্তা হয়ে উঠছে। ধর্ম ও খাদ্যাচার যখন মুখোমুখি, তখন ভোটে কারা লাভবান হবেন, সেটা ভবিষ্যতই বলবে।

আরও পড়ুন :

কলকাতা ইস্ট–ওয়েস্ট মেট্রো কি বেসরকারি হাতে? নতুন আগ্রহপত্র ঘিরে জল্পনা তুঙ্গে

প্রাচীন প্রাহ ভিহেয়ার মন্দির নিয়ে থাইল্যান্ড–ক্যাম্বোডিয়া সীমান্ত সংঘর্ষ: গোলাবর্ষণ, বিমানহামলা ও উদ্বাস্তু সংকটে কাঁপছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া

ad

আরও পড়ুন: