CBSE two exam policy
ক্লাউড টিভি ডেস্ক : কেন্দ্রীয় মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড (CBSE) এবার শিক্ষাব্যবস্থায় বড় পরিবর্তন আনছে। ২০২৬ সাল থেকে ক্লাস দশের বোর্ড পরীক্ষা হবে বছরে দুইবার। প্রথম দফার পরীক্ষা হবে ফেব্রুয়ারি মাসে। দ্বিতীয় দফা অনুষ্ঠিত হবে মে মাসে, যা অনেক শিক্ষার্থীর জন্য বিকল্প সুযোগ দেবে।
অতএব, যারা প্রথম পরীক্ষায় ভালো করতে পারেনি, তারা দ্বিতীয় পরীক্ষায় নম্বর উন্নত করার সুযোগ পাবে।
তবে কেবলমাত্র শিক্ষাগত ফলাফল নয়, CBSE এবার খেলাধুলা এবং অলিম্পিয়াডে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা চালু করছে। যদি কোনো শিক্ষার্থীর বোর্ড পরীক্ষা জাতীয় বা আন্তর্জাতিক খেলাধুলার প্রতিযোগিতা কিংবা স্বীকৃত অলিম্পিয়াডের সঙ্গে মিলে যায়, তাহলে সমস্যা তৈরি হয়।
NEET PG Exam Rules: ডাক্তারি প্রবেশিকা পরীক্ষা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের বড় রায়
হোলির কারণে ক্লাস ১২-এর পরীক্ষায় অনুপস্থিত শিক্ষার্থীদের নতুন সুযোগ দেবে CBSE
কিন্তু এবার থেকে, শিক্ষার্থীরা চাইলে দ্বিতীয় দফায় বিশেষ পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে। এর ফলে তারা পড়াশোনার পাশাপাশি প্রতিযোগিতায়ও মনোযোগ দিতে পারবে।এই সুবিধা পেতে শিক্ষার্থীদের নির্দিষ্ট শর্ত মানতে হবে। বিদ্যালয়কে CBSE’র আঞ্চলিক কার্যালয়ে আবেদন জমা দিতে হবে সময়মতো।
অতিরিক্তভাবে, আবেদনপত্রের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট শংসাপত্রও জমা দিতে হবে। শংসাপত্র থাকতে হবে SAI, BCCI অথবা HBCSE’র মতো সংস্থা থেকে।এছাড়া, বিদ্যালয়কে ডিসেম্বর ১৫ তারিখের মধ্যে আবেদন জমা করতে হবে। সময়সীমা অতিক্রম করলে শিক্ষার্থীরা বিশেষ পরীক্ষার সুযোগ পাবে না।
তবে মনে রাখতে হবে, practical exam, project work অথবা training camp-এর জন্য এই বিশেষ সুবিধা প্রযোজ্য নয়। কারণ এসব কার্যক্রম বিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে সামঞ্জস্য করে সম্পন্ন করা যায়। CBSE কেবলমাত্র recognized প্রতিযোগিতা এবং ইভেন্টের জন্য ব্যতিক্রমী পরীক্ষা আয়োজন করবে।ফলে বোর্ড স্পষ্ট করেছে, পরীক্ষার সময়সূচি এবং শৃঙ্খলা নষ্ট না করেই এই পরিবর্তন কার্যকর হবে।
এছাড়া, দুই দফায় পরীক্ষার সুবিধা শিক্ষার্থীদের মানসিক চাপও অনেকটা কমাবে। এখন তারা পড়াশোনা আরও পরিকল্পনা করে চালাতে পারবে।অনেক শিক্ষার্থী প্রথমবার ভালো না করলে দ্বিতীয়বারে উন্নতি করার সুযোগ পাবে। তাই, প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশে এটি অত্যন্ত কার্যকর হতে পারে।
শিক্ষা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই নীতি ভারতের শিক্ষাব্যবস্থাকে আধুনিক ও নমনীয় করে তুলবে। যদিও বাস্তবায়নের সময় কিছু চ্যালেঞ্জ আসতে পারে। অভিভাবক মহলেও এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানানো হয়েছে। কারণ সন্তানদের পড়াশোনা ও প্রতিভার সমন্বয়ে এমন নীতি সহায়ক হবে।অতএব বলা যায়, CBSE’র এই পরিবর্তন কেবল শিক্ষার্থীদের স্বস্তি দেবে না, তাদের বহুমুখী উন্নয়নেও সহায়তা করবে।
আরও পড়ুন :
নিষিদ্ধ অ্যাপের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে যুবরাজ, উথাপ্পা ও সোনু সুদকে ইডির তলব