CelinaJaitly Brother Detained UAE
ক্লাউড টিভি ডেস্কে : দিল্লি হাই কোর্টে একটি তাৎপর্যপূর্ণ শুনানি হল। এটি ছিল মঙ্গলবারের রিট শুনানি। এদিন অভিনেত্রী সেলিনা জেটলির আবেদন গ্রহণ করা হয়।
রিটে জানানো হয়, সেলিনার ভাই বিক্রান্ত কুমার জেটলি গত সেপ্টেম্বর ২০২৪ থেকে UAE তে আটক। তাঁর উপর কী অভিযোগ, সেটি পরিষ্কার নয়। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, তিনি ভারতীয় নাগরিক। রিটে দাবি করা হয়, আটক থাকার পরও ভারতীয় কনস্যুলার সহায়তা পাননি বিক্রান্ত। পরিবার আইনগত সাপোর্টও পাননি। একে মানবাধিকার সংক্রান্ত গুরুতর পরিস্থিতি বলা হয়।
কোর্টের নির্দেশ অত্যন্ত স্পষ্ট। কেন্দ্র ও বিদেশ মন্ত্রণালয়কে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। বিক্রান্তের সঙ্গে তার পরিবারকে যোগাযোগের ব্যবস্থা করতে বলা হয়।
একইসঙ্গে আদালত বলেছে, এই বিষয়ে একজন নোডাল অফিসার নিয়োগ করতে হবে। তিনি বিদেশে আটক ভারতীয়দের নিয়ে সমন্বয় করবেন।এই নির্দেশকে মানবিক ও কূটনৈতিক দৃষ্টিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মনে করা হচ্ছে।
“ধোনির থেকেও বড় টেস্ট উইকেটকিপার-ব্যাটার পান্ত” — সঞ্জয় মাঞ্জরেকারের চাঞ্চল্যকর মন্তব্য
সেলিনা জানিয়েছেন, তিনি এখন “একজন সৈনিকের বোন।” তিনি নিজে সামাজিক ও আইনগত লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন।এটি তাঁর জন্য সবচেয়ে কঠিন সময়।
বিক্রান্ত জেটলির অতীত উল্লেখযোগ্য। তিনি ভারতীয় সেনাবাহিনীতে কর্মরত ছিলেন। অবসর নেওয়ার পর বিদেশে কাজ শুরু করেন।
সেলিনার কথায়, ভাইয়ের আটক সময় ধীরে ধীরে “অন্ধকার পথ” হয়ে উঠেছে। রিটে বলা হয়েছে, ১৪ মাসেরও বেশি সময় ধরে তারা অনিশ্চয়তায় রয়েছেন। পরিবার জানে না তাঁর আইনগত অবস্থা কী।
এই মামলা আন্তর্জাতিক মহলেও আলোচনার বিষয় হয়েছে। বিদেশে আটক ভারতীয়দের সমস্যা নতুন করে সামনে এসেছে। বিশেষ করে কর্মসূত্রে বিদেশে থাকা ভারতীয়দের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে।কোর্ট মনে করিয়ে দিয়েছে, সরকারকে নিয়মিত তথ্য দিতে হবে। বিদেশে আটক নাগরিকের আইনি প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করাও সরকারের দায়িত্ব।
সেলিনা সোশ্যাল মিডিয়াতে আবেগঘন বার্তা দেন। তিনি জানান, “তুমি আমাদের জন্য লড়েছিলে, ভাই।” তিনি ভাইকে ত্যাগী সৈনিক বলে উল্লেখ করেন। অনেকেই এই রুলিংকে “আশার আলো” বলছেন।কারণ বেশদিন ধরে মামলার অগ্রগতি ছিল না। এখন নতুন গতির সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে।
তবে প্রশ্ন রয়ে গেছে। কেন বিক্রান্তকে আটক করা হয়? তার আইনগত অবস্থান কী? ভারতীয় দূতাবাসের হস্তক্ষেপ কতটা হয়েছে?পরিবার অভিযোগ করেছে, যোগাযোগ ও চিকিৎসা সঠিকভাবে দেওয়া হয়নি। এটি শুধু একটি ব্যক্তিগত মামলা নয়। এটি নাগরিক সুরক্ষার প্রশ্নও তুলে দিয়েছে।
ভারত–ইউএই সম্পর্কেও এটি একটি নজির। এখানে কূটনৈতিক সহায়তার গুরুত্ব বোঝা গেল।বিদেশে ভারতীয় নাগরিকের নিরাপত্তা এবং মানবাধিকার এখন আলোচনার কেন্দ্রে।সেলিনা বলেছেন, “এটি আমার জীবনের সবচেয়ে কঠিন সময়।”তিনি সাধারণ মানুষের সমর্থন চেয়েছেন।কারণ, এই ঘটনা অন্য আটক ভারতীয়দের দৃষ্টান্ত হয়ে দাঁড়াতে পারে।
এখন নজর কেন্দ্রের পদক্ষেপে। সরকার কীভাবে পরিবার ও আদালতের নির্দেশ রক্ষা করবে, সেটিই দেখার।
আরও পড়ুন :
নিউইয়র্কে ইতিহাস গড়লেন জোহারান মামদানি, ভারতীয় বংশোদ্ভূত মুসলিম প্রথম মেয়র