শিশু পর্নোগ্রাফি মামলা ডেনমার্ক
ক্লাউড টিভি ডেস্ক : ডেনমার্কের রাজনৈতিক মহলকে নাড়িয়ে দিয়েছে প্রাক্তন শিল্পমন্ত্রী হেনরিক সাস লারসেনের কারাদণ্ড। শিশুদের যৌন নির্যাতনের বিপুলসংখ্যক বি ও ভিডিও রাখার অভিযোগে আদালত সোমবার তাকে চার মাসের সাজা শোনায়। এই রায়ের (শিশু পর্নোগ্রাফি মামলা ডেনমার্ক) ফলে দীর্ঘদিনের এক প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতার ভাবমূর্তিতে বড় ধরনের ধাক্কা লাগে।
লারসেন একসময় সোশ্যাল ডেমোক্র্যাট দলের একজন শীর্ষস্থানীয় নেতা হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তবে আদালতে তিনি স্বীকার করেছেন যে তার কম্পিউটার থেকে প্রায় ছয় হাজার শিশু নির্যাতনের ছবি এবং দুই হাজারেরও বেশি ভিডিও উদ্ধার হয়েছে। যদিও তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবি করে ব্যাখ্যা দেন যে, এই উপকরণ সংগ্রহের মূল উদ্দেশ্য ছিল তার শৈশবে ঘটে যাওয়া যৌন নির্যাতনের প্রমাণ খুঁজে বের করা।
আদিয়ালা জেলে ইমরান খানের ওপর যৌন নির্যাতনের অভিযোগ: রিপোর্টে চাঞ্চল্যকর তথ্য
বিচারের সময় ৫৯ বছর বয়সী লারসেন আদালতকে জানান, ২০১৮ সালে তিনি একটি লিংক পেয়েছিলেন, যেখানে ৫০ বছরের পুরনো একটি ভিডিওতে তিন বছর বয়সে তাকে যৌন নির্যাতনের দৃশ্য দেখা যায়। ২০২০ সালে তিনি আরও একটি ভিডিও পান, যেখানে তার উপস্থিতিতে সমবয়সী এক মেয়েকে ধর্ষণ করা হচ্ছিল। কিন্তু ওই দুটি ভিডিও দ্রুত অদৃশ্য হয়ে যায়। এ নিয়ে পুলিশকে না জানানোর জন্য তিনি আদালতে অনুশোচনা প্রকাশ করেছেন।
প্রসিকিউটর মারিয়া সিঙ্গারি আদালতের রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। তবে তিনি বলেন, “এটি অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। একজন প্রাক্তন মন্ত্রী ও জননেতা হিসেবে লারসেনের কাছ থেকে সমাজ আরও দায়িত্বশীল আচরণ আশা করেছিল।”
ডেনমার্কে শিশু পর্নোগ্রাফি রাখা একটি গুরুতর অপরাধ, যার বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে কঠোর আইন কার্যকর রয়েছে। এই রায় শুধু রাজনৈতিক অঙ্গনে নয়, সাধারণ মানুষকেও স্তম্ভিত করেছে। অনেকেই মনে করছেন, শিশুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে আইন প্রয়োগের পাশাপাশি রাজনৈতিক নেতৃত্বের মধ্যেও আরও স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি প্রয়োজন।
আরও পড়ুন :
ইউক্রেনিয়ান শিশুরা স্কুলের বর্ষ শুরু করলো ভূগর্ভে: নিরাপদ শিক্ষার একটি সাহসী প্রচেষ্টা
দিল্লিতে বন্যার আশঙ্কা, যমুনার জল বিপদসীমার ওপরে, গুরুগ্রামে স্কুল-অফিস বন্ধ