শুক্রবার গভীর রাত থেকে শুরু হওয়া আইডিএফ–এর হামলায় ধাপে ধাপে মৃত্যু হলো কাঠামোর কেন্দ্রে থাকা অনেক বড় ব্যক্তিত্বের। প্রথমে মৃত্যুবরণ করেন IRGC-র প্রধান মেজর জেনারেল হোসেইন সালামি—যিনি প্রথম থেকেই খামেনেইয়ের বিশ্বস্ত বাহক। এরপর মারা যান ইরানের মিসাইল ও ড্রোন প্রোগ্রামের প্রধান আমির আলি হাঞ্জাদেহ, গোয়েন্দা প্রধান মখম্মাদ কাজেমি, জেনারেল মোহাম্মদ বাগেরি, এবং জয়েন্ট অপারেশনস কমান্ডার জেনারেল গোলাম আলি রশিদ।
সেলেকাওয়ের দায়িত্বে আনচেলত্তির ৫ বড় চ্যালেঞ্জ – বিশ্বকাপের স্বপ্নপথ কেমন হবে ব্রাজিলের?
শনিবার যখন সকালের নতুন চেহারা দেখল ইরান, তখন দেখা গেল খামেনেইয়ের শক্তির যে স্তম্ভগুলো মজবুতভাবে দাঁড়িয়ে ছিল, সেগুলো হঠাৎ ভেঙে গেছে।
এই মুহূর্তে খামেনেই যেন একাই তেহরানের শাসনপ্রধান—তাঁর আশেপাশ আর কোনো শক্তিশালী কমান্ডার নেই। তাঁর ৩ দশকের ক্ষমতার কেন্দ্রটি এখন দিশেহারা, প্রিয় অথচ চলে যাওয়া সহকর্মীদের অভাবে।
এই লিডারদের মৃত্যু শুধু ইরাক–ইরান যুদ্ধ বা ১৯৭৯-এর ইসলামী বিপ্লবের পর সবচেয়ে বড় শোচনীয় ঘটনা হিসেবেই ধরা হচ্ছে।
খামেনেইয়ের সামনে যে লিস্ট:
-
হোসেইন সালামি (IRGC প্রধান) – প্রথমেই নিহত
-
আমির আলি হাঞ্জাদেহ – ড্রোন- ও মিসাইল-প্রোগ্রামের অন্যতম নির্মাতা
-
মখম্মাদ কাজেমি – গোয়েন্দা বিভাগ প্রধান
-
মোহাম্মদ বাগেরি – সেনাপ্রধান স্টাফ-চিফ
-
গোলাম আলি রশিদ – জয়েন্ট কমান্ডার
তাঁদের মৃত্যুর ফলে খামেনেইের রাজনৈতিক ও সামরিক “স্ট্র্যাটেজিক রিং” চুরমার হয়ে গেল ।এবার প্রশ্ন হচ্ছে, এমন পরিস্থিতিতে খামেনেই কোন পথে চলবেন? সাংবাদিকদের মতে, তাঁর একক অবস্থানের ফলে তেহরানের প্রতিক্রিয়াই দুর্বল হতে পারে। কারণ শক্তিশালী কমান্ডার না থাকায় সিদ্ধান্ত গ্রহণ থেকে সামরিক প্রতিরোধক্ষমতা সব ক্ষেত্রেই ের প্রভাব পড়বে।
তবে খামেনেই দ্রুত পুরনো খালি জায়গাগুলো পূরণ করে নতুন কমান্ডার নিয়োগ করেছেন IRGC ও সেনাবাহিনীতে—যেমন মেজর জেনারেল আমির হাতামীকে সেনাপ্রধান হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে। শক্তিশালী কমান্ডারদের অনুপস্থিতিতে নতুন নেতৃত্ব ইরানকে কিভাবে পরিচালনা করবেন, সেটা সময়ই বলবে।
আরও পড়ুন :
ইরানকে ট্রাম্পের হুঙ্কার : বাঙ্কার ফাটানো বোমা, না কি ফোনের কূটনীতি? দোলাচলে তেহরান
প্রেমের নিদর্শন: স্ত্রীর জন্য তাজমহলের আদলে বাড়ি নির্মাণ মধ্যপ্রদেশের শিক্ষকের