CoronaResurgence
ক্লাউড টিভি ডেস্ক : দক্ষিণ এশিয়ায় ফের আঘাত হেনেছে করোনাভাইরাস (CoronaResurgence)। ছড়িয়ে পড়ছে দ্রুতই। মরণঘাতী এ ভাইরাসে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে এ পর্যন্ত ৭ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। ভারতে আক্রান্তের সংখ্যাও বাড়ছে দ্রুত। এখন পর্যন্ত প্রায় ৩ হাজার মানুষ এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে দক্ষিণের রাজ্য কেরালায় আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। এরপরই রয়েছে মহারাষ্ট্র ও দিল্লি।
সরকারি হিসাব অনুযায়ী, গত চার দিনের মধ্যে আক্রান্তের সংখ্যা দ্রুত বেড়েছে। শনিবার এনডিটিভি’র এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ২৬ মে পর্যন্ত ভারতে মোট ১,০১০ জন আক্রান্ত হওয়ার রেকর্ড করা হয়। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ৩০ মে পর্যন্ত মোট এ সংখ্যা ২,৭১০ জনে দাঁড়িয়েছে।তথ্য অনুসারে, কেরালায় ১,১৪৭ জন, মহারাষ্ট্রে ৪২৪, দিল্লিতে ২৯৪,গুজরাটে ২২৩,তামিলনাড়ুতে১৪৮ জন আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এ সময়ে কর্ণাটক ও পশ্চিমবঙ্গে আক্রান্তের সংখ্যা যথাক্রমে ১৪৮ ও ১১৬।
এছাড়া রাজস্থানে ৫১ জন, উত্তর প্রদেশে ৪২ জন, পন্ডিচেরিতে ২৫ জনসহ হরিয়ানা, অন্ধ্রপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, গোয়ায় করোনাভাইরাসে আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে। উড়িষ্যা, পাঞ্জাব ও জম্মু কাশ্মীরেও করোনায় আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে।
তবে আন্দামান ও নিকোবর, সিকিম, হিমাচল প্রদেশে এখনো আক্রান্তের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
এদিকে, ভারতের সরকারি তথ্য অনুযায়ী, সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ভারতজুড়ে কমপক্ষে ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে মহারাষ্ট্রে (১) এবং দিল্লিতে (১) মৃত দু’জনের কোভিডের পাশাপাশি অন্যান্য গুরুতর অসুস্থতাও ছিল। তবে অন্যদের মৃত্যু করোনা সংক্রমণের কারণে হয়েছে কি-না, তা এখনো স্পষ্ট নয়।
ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিকেল রিসার্চ (ICMR) আশ্বস্ত করেছে যে এখন পর্যন্ত আক্রান্তদের মধ্যে বেশিরভাগের উপসর্গ হালকা ও নিয়ন্ত্রনযোগ্য। তবে সংক্রমণের গতিবিধি দেখে কিছুটা সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দিয়েছে বিশেষজ্ঞরা।
আইসিএমআর মহাপরিচালক ডা. রাজীব বাহল বলেন, “এই মুহূর্তে আতঙ্কিত না হয়ে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা, মাস্ক পরা এবং জনসমাগম এড়িয়ে চলার অনুরোধ জানানো হচ্ছে।” এছাড়াও, যাদের আগে থেকেই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল, তাদের চিকিৎসকের পরামর্শে টিকা নেওয়ার কথাও উল্লেখ করেন তিনি।
ভারত সরকার ইতিমধ্যেই বিভিন্ন হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আগাম ব্যবস্থা নেওয়া শুরু করেছে। সংক্রমণের প্রকৃতি বিশ্লেষণ করে ল্যাব টেস্ট বৃদ্ধি, অক্সিজেন স্টক পর্যবেক্ষণ এবং ওষুধ মজুদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে রাজ্য সরকারগুলোকে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনা ভাইরাসের যে রূপ বর্তমানে ছড়াচ্ছে তা এখনও তুলনামূলকভাবে কম মারাত্মক, কিন্তু উপেক্ষা করাও বিপজ্জনক হতে পারে। অতএব, সাধারণ মানুষকে মাস্ক ব্যবহার, নিয়মিত হাত ধোয়া এবং ঠান্ডা-জ্বরের লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত করোনা পরীক্ষা করানোর পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা।
আরও পড়ুন :
আইসিসি ক্রিকেটে আনছে বড় পরিবর্তন, টেস্ট ও ওয়ানডে—দুই ফরম্যাটেই নতুন নিয়ম