DanishZoo PetToPrey
ক্লাউড টিভি আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ডেনমার্কের জনপ্রিয় Aalborg Zoo-এর একটি নতুন সিদ্ধান্ত ঘিরে আন্তর্জাতিক মহলে শুরু হয়েছে তীব্র বিতর্ক। চিড়িয়াখানাটি ঘোষণা করেছে, যে সমস্ত মানুষ তাদের পোষ্য প্রাণী যেমন খরগোশ, গিনিপিগ, মুরগি কিংবা ছোট ঘোড়া রাখতে পারছেন না, তারা চাইলে সেই প্রাণীগুলো Aalborg Zoo-কে দান করতে পারবেন। চিড়িয়াখানাটি সেই প্রাণীগুলোকে সিংহ, চিতাবাঘ, নেকড়ে এবং অন্যান্য হিংস্র প্রাণীর খাবার (DanishZoo PetToPrey) হিসেবে ব্যবহার করবে।
চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই উদ্যোগ সম্পূর্ণভাবে একটি পরিবেশবান্ধব ব্যবস্থা। তাদের মতে, শিকারী প্রাণীরা কেবলমাত্র প্যাকেটজাত মাংস খেলে স্বাভাবিক আচরণ বিকশিত হয় না। বরং, সম্পূর্ণ একটি প্রাণী শিকার করে খাওয়ানোর মধ্য দিয়ে তারা স্বাভাবিক শিকার দক্ষতা এবং আচরণ শেখে। চিড়িয়াখানার ডেপুটি ডিরেক্টর পিয়া নিলসেন জানান, প্রাণীগুলোকে যন্ত্রণাহীনভাবে euthanize করে তারপর খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করা হয়, এবং পুরো দেহ—চামড়া, হাড়, অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সহ—শিকারীদের পুষ্টির জন্য ব্যবহার হয়।
মুম্বাই বিমানবন্দরে বিষধর সাপসহ পাচারকারী আটক: থাইল্যান্ড থেকে চোরাচালান চক্রের চাঞ্চল্যকর উদ্ঘাটন
‘মেটা’র প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েই নজরে ম্যাট! কে এই AI প্রতিভাবান ম্যাট ডাইটকে?
Aalborg Zoo এই মুহূর্তে প্রতিদিন একজন থেকে সর্বাধিক চারটি প্রাণী গ্রহণ করছে এবং সপ্তাহের নির্দিষ্ট দিনে প্রাণী দানের সুযোগ দিচ্ছে। তবে ছোট ঘোড়ার ক্ষেত্রে আইনানুগ কাগজপত্র জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক। এই কার্যক্রম শুরু হতেই নানা প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।
যদিও অনেকেই এই পদক্ষেপকে পরিবেশবান্ধব ও বাস্তবসম্মত বলে প্রশংসা করেছেন, তবে বেশ কিছু পশুপ্রেমী এবং মনোবিজ্ঞানী এটিকে নৈতিকভাবে অগ্রহণযোগ্য বলে মনে করছেন। তাদের মতে, যে পোষ্য প্রাণীকে একটি পরিবার ভালোবাসা দিয়ে বড় করেছে, সেই প্রাণীকে পরবর্তীকালে সিংহ বা চিতাবাঘের খাবার বানানো হলে শিশুদের মানসিক আঘাত লাগতে পারে। বিশেষত, ছোটরা যদি জানতে পারে তাদের প্রিয় খরগোশটাই এখন বাঘের পেটে, তখন সেই মানসিক ক্ষতি হয়তো আর পূরণ করা যাবে না।
উল্লেখযোগ্যভাবে, ২০২৫ সালের জুলাই মাসে জার্মানির একটি চিড়িয়াখানায় গিনিপিগ ও বানরকে euthanize করে সিংহদের খাদ্য হিসেবে দেওয়া হয়েছিল, যা নিয়েও বিতর্ক উঠেছিল। তাই Aalborg Zoo-এর এই সিদ্ধান্ত বিশ্বব্যাপী “পোষ্য বনাম প্রাকৃতিক খাদ্য চক্র” বিতর্ককে আরও জোরালো করেছে।
Aalborg Zoo-এর এই সিদ্ধান্ত পরিবেশ, বাস্তবতা ও নৈতিকতার এক জটিল দ্বন্দ্ব তৈরি করেছে। পোষ্যদের ভবিষ্যৎ কী হবে, তা নির্ভর করছে এখন জনমানস ও প্রশাসনের প্রতিক্রিয়ার উপর। তবে আপাতত ডেনমার্কে এই পদ্ধতি চালু হয়েছে, এবং অন্যান্য দেশও তা অনুসরণ করতে পারে কিনা, তা সময়ই বলবে।
আরও পড়ুন :
বঙ্গ বিজেপির জেলা কমিটি নিয়ে অপেক্ষার অবসান, আগামী ৭-৮ দিনের মধ্যেই বড় ঘোষণা
৭ আগস্ট এআইএফএফ-এর সঙ্গে বৈঠকে বসছে আইএসএল ক্লাব সিইওরা, অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকেই কি ভারতীয় ফুটবল?