DAUpdate SupremeCourtIndia
ক্লাউড টিভি ডেস্ক | ৪ আগস্ট, ২০২৫ : সোমবার সুপ্রিম কোর্টে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া ডিএ (ডিয়ারনেস অ্যালাউন্স) মামলার শুনানিতে চূড়ান্ত পর্যায়ে প্রবেশ করল। বিচারপতি সঞ্জয় কারোল এবং বিচারপতি পি কে মিশ্রের ডিভিশন বেঞ্চ এদিন রাজ্যের দেওয়া হলফনামা খতিয়ে দেখে জানতে চায়— কেন এতদিনে আদালতের নির্দেশ অমান্য করে কর্মীদের বকেয়া ডিএ’র ২৫% পরিশোধ করা হয়নি (DAUpdate SupremeCourtIndia)।
আদালত স্পষ্টভাবে জানায়, “এই হলফনামায় আসলে কিছুই নেই। আপনি (রাজ্য সরকার) শুধু ঘুরপাক খাচ্ছেন।” এরই মধ্যে রাজ্যের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত ৬ মাস সময় চাওয়া হয়।
কি বলল সুপ্রিম কোর্ট?
শুনানিতে শীর্ষ আদালত রাজ্যের আইনজীবীকে উদ্দেশ করে বলে, “আমরা আপনাদের ৬ সপ্তাহ সময় দিয়েছিলাম, সেটা অতিক্রান্ত হয়েছে। এর পরেও কোন অগ্রগতি হয়নি। এবার আমরা আপনাদের কাছ থেকে স্পষ্ট বক্তব্য চাই— আপনি আমাদের আদেশ মানছেন কিনা?”
বিচারপতিরা আরও বলেন, “আমরা যে নির্দেশ দিয়েছি তা বাস্তবায়িত হয়নি। আবার ছয় মাস সময় চাওয়া হচ্ছে। কিন্তু হলফনামায় কোনো অর্থ বরাদ্দ বা সময়সীমা স্পষ্ট নয়।”
Breaking News : DA মামলায় রাজ্যের মুখ্যসচিব ও অর্থসচিবকে আইনি নোটিস
রাজ্যের সাফাই
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফে সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহতা আদালতে জানান—
“রাজ্য ডিএ দিতে চায়, তবে আর্থিক সঙ্কট রয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের অনুদান এবং রাজস্ব ঘাটতির কারণে তাৎক্ষণিকভাবে সম্পূর্ণ অর্থ জোগান সম্ভব নয়।”
“এই মুহূর্তে রাজ্যের কাছে বকেয়া ডিএ’র ২৫% পরিশোধে প্রয়োজন প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা, যা বিশাল চাপ সৃষ্টি করবে।”
“রাজ্য সরকারের মতে, কেন্দ্রীয় হারে ডিএ বাধ্যতামূলক নয়, এটি একটি রাজনৈতিক এবং প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত। আদালত তা চাপিয়ে দিতে পারে না।”
এই বক্তব্যেই সুপ্রিম কোর্ট অসন্তুষ্ট। আদালত বলে— আপনি বলছেন ‘ডিএ দিতে চান’, অথচ কবে দেবেন, কিভাবে দেবেন— সেটাই স্পষ্ট নয়।
ইতিহাসের প্রেক্ষাপট
২০০৯ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের সরকারি কর্মীদের ডিএ কেন্দ্রীয় হারে প্রদান করা হয়নি। এই নিয়েই মামলা দীর্ঘদিন ধরে চলছিল। কলকাতা হাইকোর্ট রায় দেয়— কেন্দ্রীয় হারে ডিএ রাজ্য সরকারকে দিতে হবে।
পরে রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টে যায় এবং ১৬ মে ২০২৫-এ শীর্ষ আদালত নির্দেশ দেয়— বকেয়া ডিএ’র অন্তত ২৫% ছয় সপ্তাহের মধ্যে প্রদান করতে হবে। সেই নির্দেশ অমান্য করার পর আজকের শুনানি হয়।
এখন কী হবে?
সোমবার আদালত রাজ্যের দেওয়া হলফনামায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছে এবং রাজ্যের কাছে স্পষ্ট পরিকল্পনা জানতে চেয়েছে। আগামী ৫ আগস্ট মঙ্গলবার ফের শুনানি হবে। সেদিন রাজ্যকে জানাতে হবে—
আদেশ মানবেন কিনা?
কবে থেকে ডিএ দেওয়া শুরু হবে?
কত টাকা এবং কীভাবে তা বরাদ্দ করা হবে?
আদালত শেষমেশ কী সিদ্ধান্ত নেয়, তার উপর নির্ভর করবে রাজ্যের লাখ লাখ কর্মী ও পেনশনভোগীদের ভবিষ্যৎ।
আরও পড়ুন :
আল-আকসা মসজিদে ইসরায়েলি মন্ত্রীর প্রার্থনা: উত্তেজনার নতুন আগুন
সেনা অফিসারের হাতে স্পাইসজেট কর্মী আক্রান্ত : অতিরিক্ত ব্যাগেজ ফি ঘিরে তাণ্ডবে মেরুদণ্ড ভাঙলো