DeogharTragedy ShravanPilgrimage
ক্লাউড টিভি ডেস্ক: শ্রাবণ মাসে শিবভক্তদের পুণ্যযাত্রা বিষাদে রূপ নিল মঙ্গলবার সকালে। ঝাড়খণ্ডের দেওঘরে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় (DeogharTragedy ShravanPilgrimage) প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৮ জন পুণ্যার্থী। আহত হয়েছেন আরও ২০ থেকে ২৫ জন। মৃত ও আহত সকলেই বিহারের গয়া জেলার বাসিন্দা বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।
ঘটনাটি ঘটে দুমকা জেলার বিখ্যাত বাসকীনাথ মন্দিরের পথে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, একটি দ্রুতগামী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ধাক্কা মারে আরেকটি বাসে, যেখানে ছিলেন পুণ্যার্থীরা। ধাক্কার তীব্রতায় বাসটি রাস্তার একপাশে ছিটকে পড়ে, ফলে মৃত্যু হয় ৮ জনের। স্থানীয় মানুষ ও প্রশাসন মিলিতভাবে উদ্ধারকাজ চালিয়ে আহতদের দ্রুত হাসপাতালে পাঠায়।
হিমাচলে হড়পা বানে বিপর্যস্ত কুলু ও রামপুর, চম্বায় ধসে মৃত ১, সাত জেলায় ‘ইয়েলো’ সতর্কতা জারি
পূণ্যযাত্রার রুট ও দুর্ঘটনার প্রেক্ষাপট:
শ্রাবণ মাসে প্রতি বছর হাজার হাজার পুণ্যার্থী বিহারের সুলতানগঞ্জ থেকে গঙ্গার জল সংগ্রহ করে পায়ে হেঁটে বা গাড়িতে ঝাড়খণ্ডের দেওঘরে অবস্থিত বিখ্যাত বাবা বৈদ্যনাথ ধাম মন্দিরে যান। সেখানে জল ঢালার পর, অনেকেই নিয়মমাফিক যান বাসকীনাথ ধামে—দ্বিতীয় পবিত্র শিব মন্দিরে জল অর্পণ করতে।
এই দলটিও সেই রীতি অনুসরণ করে বৈদ্যনাথ ধামে জল ঢালার পর বাসে রওনা দেন বাসকীনাথের উদ্দেশে। পথেই ঘটে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা।
দেওঘর জেলার পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, “দুই বাসের মুখোমুখি ধাক্কায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে প্রাথমিকভাবে বেপরোয়া গতিকে দায়ী করা হয়েছে, তবে বিস্তারিত তদন্ত চলছে।”
ঝাড়খণ্ড সরকার ঘটনার তদন্তে একটি উচ্চ পর্যায়ের দল গঠন করেছে। আহতদের চিকিৎসার জন্য সবরকম সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে। স্থানীয় প্রশাসন মৃতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
এছাড়াও জেলা প্রশাসন দুর্ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করেছে যাতে যান চলাচলে বিঘ্ন না ঘটে এবং উদ্ধার কাজ দ্রুত শেষ করা যায়।
এই দুর্ঘটনার খবরে পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। গয়া জেলার বিভিন্ন প্রান্তে শোকমিছিল, প্রার্থনা এবং শোকবার্তা দেওয়া হচ্ছে। স্থানীয়রা দাবি তুলেছেন, পুণ্যার্থীদের নিরাপত্তা বাড়ানো এবং রাস্তায় পর্যাপ্ত ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার।
আরও পড়ুন :
বাড়ি কিনলেই নাগরিকত্ব! পাঁচ ক্যারিবীয় দেশে বিনিয়োগের বিনিময়ে মিলছে পাসপোর্ট