Breaking News

WashingtonDC NationalGuard

লিবারেশন ডে ইন ডিসি : ওয়াশিংটনে সেনা ও ফেডারেল বাহিনী মোতায়েনের কথা ঘোষণা করলেন ট্রাম্প

ওয়াশিংটন ডিসিতে অপরাধ নিয়ন্ত্রণে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বড় পদক্ষেপ— স্থানীয় পুলিশকে ফেডারেল নিয়ন্ত্রণে এনে ন্যাশনাল গার্ড ও ফেডারেল বাহিনী মোতায়েন। রাজনৈতিক মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়া।

Trump WashingtonDC NationalGuard Deployment Details %%page%% %%sep%% %%sitename%%

WashingtonDC NationalGuard

ক্লাউড টিভি ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে ক্রমবর্ধমান সহিংসতা ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিশেষ পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি ঘোষণা দিয়েছেন, ডিসি মেট্রোপলিটন পুলিশকে সরাসরি ফেডারেল সরকারের নিয়ন্ত্রণে এনে সেখানে ন্যাশনাল গার্ড ও অন্যান্য ফেডারেল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী (WashingtonDC NationalGuard) মোতায়েন করা হবে।

ট্রাম্প এই পদক্ষেপকে নাম দিয়েছেন “লিবারেশন ডে ইন ডিসি” বা “ওয়াশিংটন মুক্তি দিবস”। তার ভাষায়, “আমরা আমাদের রাজধানীকে ফিরিয়ে আনব।”

ওয়াশিংটন ডিসি যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রাজধানী হলেও প্রশাসনিকভাবে এটি একটি ওভারহেল্মিংলি ডেমোক্র্যাটিক শহর। দীর্ঘদিন ধরে রিপাবলিকান নেতারা অভিযোগ করে আসছেন, শহরটি অপরাধ, গৃহহীনতা ও আর্থিক অব্যবস্থাপনায় জর্জরিত। যদিও সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান অনুযায়ী সহিংস অপরাধের হার কিছুটা কমেছে, কিন্তু রিপাবলিকান নেতাদের মতে, পরিস্থিতি এখনও “সংকটজনক”।

ট্রাম্প বলেন, “এটি আমাদের রাজধানী। এখানে সন্ত্রাস, মাদক, অব্যবস্থাপনা এবং দুর্নীতি চলতে দেওয়া হবে না। যারা ডিসিকে ধ্বংস করেছে, তাদের হাত থেকে আমরা শহরটিকে উদ্ধার করব।”

ট্রাম্পের জন্য হুমকি হয়ে উঠতে পারে ইলন মাস্কের ‘আমেরিকা পার্টি’! সতর্ক করছেন বিশ্লেষকরা

Modi Vs Trump: ভারতের নয়া ট্রাম্পকার্ডে ব্যাকফুটে মার্কিন মুলুক

যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান অনুযায়ী, ওয়াশিংটন ডিসি একটি বিশেষ প্রশাসনিক অঞ্চল, যেখানে স্থানীয় সরকার থাকলেও চূড়ান্ত ক্ষমতা ফেডারেল কংগ্রেস ও প্রেসিডেন্টের হাতে। প্রেসিডেন্টের নির্দেশে স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ফেডারেল নিয়ন্ত্রণে নেওয়া সম্ভব।

ট্রাম্পের পরিকল্পনা অনুযায়ী—

  • ডিসি মেট্রোপলিটন পুলিশ ফেডারেল জাস্টিস ডিপার্টমেন্টের অধীনে কাজ করবে।

  • ন্যাশনাল গার্ড শহরের প্রধান এলাকায় টহল দেবে।

  • ফেডারেল এজেন্টরা (যেমন এফবিআই, ডিইএ, ইউএস মার্শাল) অপরাধ দমনে সরাসরি অংশ নেবে।

ডিসির মেয়র মুরিয়েল বাউসার (ডেমোক্র্যাট) ট্রাম্পের এই ঘোষণাকে “গণতান্ত্রিক শাসনের উপর আঘাত” বলে আখ্যা দিয়েছেন। তিনি বলেন, “এটি আমাদের শহরের স্বশাসন ও বাসিন্দাদের অধিকারের অবমাননা। আমাদের পুলিশ বাহিনী সুশৃঙ্খলভাবে কাজ করছে। ফেডারেল হস্তক্ষেপের কোনো প্রয়োজন নেই।”

অন্যদিকে, রিপাবলিকান সিনেটররা ট্রাম্পের পদক্ষেপকে “সঠিক সময়ে নেয়া সাহসী সিদ্ধান্ত” বলে সমর্থন জানিয়েছেন। তাদের মতে, ডিসিতে “আইনশৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠায়” এটি অত্যন্ত জরুরি।

ডিসি পুলিশের অফিসিয়াল তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের তুলনায় সহিংস অপরাধে সামগ্রিকভাবে ৭% হ্রাস পেয়েছে। তবে ডাকাতি ও গাড়ি চুরির মতো অপরাধ কিছু এলাকায় বেড়েছে। এছাড়া গৃহহীন মানুষের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় শহরের কেন্দ্রীয় এলাকায় অপরাধের ঝুঁকি বেশি বলে মনে করা হচ্ছে।

বিশ্লেষকদের মতে, ২০২৪ সালের নির্বাচনের আগে ট্রাম্প এই পদক্ষেপের মাধ্যমে রিপাবলিকান ভোটারদের কাছে “আইন-শৃঙ্খলার রক্ষক” হিসেবে নিজেকে তুলে ধরতে চাইছেন। শহরের ফেডারেল নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার সিদ্ধান্ত ভবিষ্যতে আদালতে চ্যালেঞ্জ হতে পারে, কিন্তু তা সত্ত্বেও রাজনৈতিক দিক থেকে এটি ট্রাম্পের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি পদক্ষেপ হতে পারে।

ট্রাম্পের ভাষায়—

“এটি শুধু ডিসির ব্যাপার নয়, এটি আমাদের জাতীয় মর্যাদার প্রশ্ন। যখন রাজধানীর রাস্তায় মানুষ নিরাপদে হাঁটতে পারে না, তখন পুরো দেশের সম্মান ক্ষুণ্ণ হয়।”

আরও পড়ুন :

ভিসা নীতিতে বড় পরিবর্তন, বাংলাদেশিদের জন্য সুখবর দিলো ভারত

চিনের শিনজিয়াং-তিব্বত রেললাইন: ভারতের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ

ad

আরও পড়ুন: