Breaking News

DilipGhosh 21JulyPolitics

কাল ২১ জুলাই, কী করবেন দিলীপ ঘোষ, জানালেন নিজেই

২১ জুলাই শহিদ দিবসে তৃণমূলের পাশাপাশি এবার ময়দানে বিজেপিও। দিলীপ ঘোষ জানালেন, খড়গপুরে বিজেপি কর্মীদের মৃত্যুতে শহিদ দিবস পালন করবেন তিনি। তাঁর দাবি, তৃণমূলের হিংসায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ২৫০ জন বিজেপি কর্মী। এই কর্মসূচির মাধ্যমে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হবে এবং রাজনৈতিক বার্তাও দেওয়া হবে শাসকদলকে।

DilipGhosh 21JulyPolitics Analysis and Insights %%page%% %%sep%% %%sitename%%

DilipGhosh 21JulyPolitics

ক্লাউড টিভি ডেস্ক: ২১ জুলাই পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে এক গুরুত্বপূর্ণ দিন। তৃণমূল কংগ্রেসের বার্ষিক শহিদ সমাবেশকে কেন্দ্র করে প্রতিবছরই এই দিনটি বিশেষ গুরুত্ব পায়। তবে এবারের চিত্রটা খানিকটা ভিন্ন। তৃণমূলের শহিদ দিবস কর্মসূচির পাশাপাশি রাজ্যজুড়ে সক্রিয় হয়েছে বিজেপিও (DilipGhosh 21JulyPolitics)। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে একদিকে যেমন ‘উত্তরকন্যা অভিযান’ চলছে, তেমনই দক্ষিণবঙ্গে খড়গপুরে নিজস্ব কর্মসূচির আয়োজন করছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি তথা প্রাক্তন সাংসদ দিলীপ ঘোষ।

গত কয়েকদিন ধরে দিলীপ ঘোষের মন্তব্য ঘিরে রাজনৈতিক মহলে চর্চা চলছিল। তিনি নিজেই জানিয়েছিলেন, ২১ জুলাই ‘চমক’ দেবেন। অনেকেই ধরে নিয়েছিলেন, তবে কি দিলীপ ঘোষ ধর্মতলায় তৃণমূলের শহিদ সমাবেশে হাজির হবেন? এমন জল্পনা আরও জোরালো হচ্ছিল। কিন্তু শেষমেশ সমস্ত গুঞ্জনের ইতি টেনে দিলেন দিলীপবাবু নিজেই।

দিলীপ ঘোষের ‘নতুন দল’ গড়ার জল্পনা, বিজেপি নেতারা অস্বীকার করলেও রাজনৈতিক উত্তেজনা তুঙ্গে

কৌমার্য ভঙ্গ করে ঘর বাঁধছেন দিলীপ ঘোষ, পাত্রী রিঙ্কু মজুমদার—রাজনীতির রণাঙ্গন ছেড়ে সংসারের ময়দান!

তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, তিনি ধর্মতলায় যাচ্ছেন না। বরং খড়গপুরে ২১ জুলাই শহিদ দিবস পালন করবেন এবং সেই উপলক্ষে এক বিশেষ কর্মসূচির ডাক দিয়েছেন। তিনি বলেন, “তৃণমূল কংগ্রেসের জন্য বিজেপির ২৫০-র বেশি কর্মী খুন হয়েছেন, শহিদ হয়েছেন। তাঁদের শ্রদ্ধা জানাতেই এই অনুষ্ঠান।” এই কর্মসূচিতে স্থানীয় বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের উপস্থিত থাকার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে।

দিলীপ ঘোষ আরও বলেন, “রাজ্যে গণতন্ত্র নেই, বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করা হচ্ছে। যারা তৃণমূলের বিরোধিতা করেছে, তাদের একের পর এক হত্যা করা হয়েছে। এই ২১ জুলাই শুধুমাত্র তৃণমূলের একক দিবস নয়, এটি বাংলার সমস্ত শহিদের দিন। আমরা সেই বিজেপি শহিদদের স্মরণ করবো যাঁদের তৃণমূলের রাজনৈতিক হিংসার শিকার হতে হয়েছিল।”

উল্লেখ্য, তৃণমূল কংগ্রেস প্রতি বছর ২১ জুলাই শহিদ দিবস হিসেবে পালন করে ১৯৯৩ সালে পুলিশের গুলিতে নিহত দলের ১৩ জন কর্মীর স্মরণে। ধর্মতলায় সেই উপলক্ষে বিশাল জনসমাবেশের আয়োজন করে থাকে দলটি। এবারও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ শীর্ষ নেতৃত্ব উপস্থিত থাকছেন ওই সভায়। সেখানে দলে নতুন সদস্যদের যোগদান থেকে শুরু করে আগামী লোকসভা নির্বাচনের রূপরেখাও ঘোষিত হতে পারে বলে জল্পনা।

এই প্রেক্ষাপটে দিলীপ ঘোষের পৃথক কর্মসূচি নিঃসন্দেহে একটি রাজনৈতিক বার্তা। একদিকে বিজেপির শহিদদের স্মরণ, অন্যদিকে ক্ষমতাসীন দলকে নিশানা—সব মিলিয়ে ২১ জুলাই এবার শুধু তৃণমূলের একচেটিয়া নয়, বরং বিজেপিও ময়দানে শক্তি প্রদর্শনের বার্তা দিচ্ছে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এটি ২০২৬ বিধানসভা নির্বাচনের আগাম প্রস্তুতির ইঙ্গিত। বিজেপি আবারও রাজ্য রাজনীতির মূল কেন্দ্রে জায়গা করে নিতে চাইছে। তৃণমূলের একচ্ছত্র আধিপত্যকে চ্যালেঞ্জ জানানোর এটাও এক কৌশলী পদক্ষেপ।

আরও পড়ুন :

বিজেপির পরিবর্তিত পার্টি লাইনে যেন বেমানান খোদ শুভেন্দুর বক্তব্য, সমস্যাটা কোথায়?

শনিবার ডার্বি ম্যাচ, দর্শকদের জন্য নজিরবিহীন ব্যবস্থা নিচ্ছে আইএফএ

ad

আরও পড়ুন: