Breaking News

DonaldTrump GlobalPeace

৬টি সম্ভাব্য যুদ্ধ থামানোর দাবি ট্রাম্পের, তালিকায় ভারত-পাকিস্তানও

ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন, তার নেতৃত্বেই ভারত-পাকিস্তান সহ ছয়টি সম্ভাব্য যুদ্ধ রুখে দেওয়া সম্ভব হয়েছে। কূটনৈতিক চাপ ও মধ্যস্থতায় উত্তেজনা প্রশমনে সফল হয়েছে মার্কিন প্রশাসন— দাবি ট্রাম্পের।

DonaldTrump GlobalPeace and War Prevention Insights %%page%% %%sep%% %%sitename%%

DonaldTrump GlobalPeace

ক্লাউড টিভি আন্তর্জাতিক ডেস্ক:  মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ফের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। এবার তিনি দাবি করলেন, তার শাসনকালে বিশ্ব অন্তত ৬টি বড় যুদ্ধ থেকে রক্ষা পেয়েছে (DonaldTrump GlobalPeace)— যার মধ্যে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সম্ভাব্য যুদ্ধ অন্যতম। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেন, তিনি হোয়াইট হাউসে না থাকলে এই ছয়টি যুদ্ধ ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে যেত।

তার কথায়, “আমি হোয়াইট হাউসে থাকাকালীন বিশ্বের বেশ কয়েকটি জটিল সংঘাতের সমাধান করেছি। ভারত এখন পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধ করত, যদি আমি তখন দায়িত্বে না থাকতাম। এই অঞ্চলের উত্তেজনা আমরা প্রশমিত করতে সক্ষম হয়েছি।”

ভারত-পাকিস্তান: যুদ্ধের মুখ থেকে ফেরানো?

ডোনাল্ড ট্রাম্পের বক্তব্য অনুযায়ী, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ২০১9 সালে পুলওয়ামা হামলার পরে যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। তবে মার্কিন প্রশাসনের কূটনৈতিক হস্তক্ষেপেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। যদিও তিনি সরাসরি এই ঘটনাটি উল্লেখ করেননি, কিন্তু ট্রাম্পের আমলে এমন পরিস্থিতিতে ওয়াশিংটন ইসলামাবাদ এবং নয়াদিল্লির সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করেছিল বলে জানা যায়।

ইরানের সম্ভাব্য হামলার শঙ্কায় ট্রাম্প প্রশাসনের সতর্কতা, কড়া বার্তা দিল তেহরান

চলতি সপ্তাহেই হতে পারে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধবিরতি! শান্তির বার্তা ট্রাম্পের, নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের ইঙ্গিত

থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া সীমান্ত সংঘর্ষ

সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে ট্রাম্প বলেন, থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে এক সময় সীমান্ত সংঘর্ষ তীব্র আকার ধারণ করেছিল। এই দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক স্থগিত করার হুমকি দিয়ে তিনি উভয়পক্ষকে যুদ্ধবিরতিতে রাজি করান।

উল্লেখযোগ্য যে, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় সামরিক উত্তেজনা বরাবরই এক সংবেদনশীল বিষয়। ট্রাম্প বলেন, “আমরা জানতাম এই সংঘাত বড় আকার নিতে পারে। আমি তৎক্ষণাৎ হস্তক্ষেপ করি এবং দু’দেশের নেতাদের বুঝিয়ে শান্তি স্থাপন করি।”

সার্বিয়া-কসোভো ও রুয়ান্ডা-কঙ্গো

ট্রাম্পের দাবি, তার প্রশাসন ইউরোপ এবং আফ্রিকার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সংঘর্ষের ক্ষেত্রেও শান্তি প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। তিনি বলেন, “সার্বিয়া ও কসোভো মধ্যকার সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের চুক্তি আমরা করিয়েছিলাম। রুয়ান্ডা ও কঙ্গোর সীমান্তে চলা উত্তেজনাও আমরা কমিয়েছিলাম।”

এই চুক্তিগুলি মূলত ট্রাম্প প্রশাসনের ‘আর্থিক কূটনীতি’ ও মধ্যস্থতামূলক আলোচনার মাধ্যমেই সম্ভব হয়েছিল বলে তার দাবি।

বাকি দুটি যুদ্ধ?

সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প ছয়টি যুদ্ধের কথা বললেও বাকি দুটি অঞ্চলের নাম উল্লেখ করেননি। তবে আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করছেন, উত্তর কোরিয়া এবং ইরান সংক্রান্ত উত্তেজনার কথাই হয়তো ইঙ্গিত করেছেন তিনি। কারণ ট্রাম্পের শাসনামলে এই দুটি দেশ নিয়ে বারবার জোরালো উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছিল।

রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া

ট্রাম্পের এই মন্তব্য ইতিমধ্যেই মার্কিন রাজনৈতিক মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। রিপাবলিকানদের একাংশ তাকে শান্তির দূত হিসেবে প্রচার করলেও ডেমোক্র্যাটদের মতে, এই ধরনের মন্তব্য “অতিরঞ্জিত” এবং “রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির উদ্দেশ্যে প্রণোদিত”।

নির্বাচনী বছরের প্রেক্ষিতে এই ধরনের বক্তব্য কতটা কার্যকর হবে তা সময়ই বলবে। তবে ট্রাম্পের দাবি নতুন করে আন্তর্জাতিক কূটনীতির আলোচনায় জায়গা করে নিয়েছে।

আরও পড়ুন :

গোপনে গাজা ছেড়ে পালিয়ে তুরস্কে বিয়ে, হামাস নেতার বিধবা স্ত্রীকে নিয়ে চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট প্রকাশ!

‘Better than original’: “সাইয়ারায় কিশোর কুমার?” AI কণ্ঠে নতুন মোড়, ইন্টারনেট জুড়ে হইচই!

ad

আরও পড়ুন: