Breaking News

ইস্টবেঙ্গল জয় গুপ্তা ট্রান্সফার

২০২৯ সাল পর্যন্ত এফসি গোয়া থেকে জয় গুপ্তার সাথে চুক্তিবদ্ধ হলো ইস্টবেঙ্গল

২৩ বছর বয়সী ফুল-ব্যাক জয় গুপ্তাকে এফসি গোয়া থেকে সই করালো ইস্টবেঙ্গল। চার বছরের চুক্তিতে তিনি রেড-অ্যান্ড-গোল্ড জার্সি গায়ে নামবেন মাঠে।

ইস্টবেঙ্গল জয় গুপ্তা ট্রান্সফার FC Goa until 2029 | ISL Transfer News

ইস্টবেঙ্গল জয় গুপ্তা ট্রান্সফার

ক্লাউড টিভি স্পোর্টস ডেস্ক : ভারতীয় ফুটবলের অন্যতম প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী ক্লাব ইস্টবেঙ্গল এফসি আবারও বড়সড় ট্রান্সফার ঘোষণা করল। মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়, এফসি গোয়া থেকে ভারতীয় ফুল-ব্যাক জয় গুপ্তাকে সই করিয়ে নিয়েছে রেড-অ্যান্ড-গোল্ড ব্রিগেড। যদিও ট্রান্সফারের আর্থিক অঙ্ক প্রকাশ করা হয়নি, তবুও জানা যাচ্ছে, এটি ছিল একটি অঘোষিত কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ ফি-তে সম্পন্ন হওয়া চুক্তি।

মাত্র ২৩ বছর বয়সেই জয় ইতিমধ্যেই ভারতের ফুটবলপ্রেমীদের কাছে পরিচিত নাম। জাতীয় দলে অভিষেক হওয়া থেকে শুরু করে আইএসএলে ধারাবাহিক পারফরম্যান্স—সবখানেই নজর কেড়েছেন তিনি। এবার চার বছরের দীর্ঘ মেয়াদে ইস্টবেঙ্গলের জার্সি গায়ে মাঠে নামবেন। নতুন জার্সি নম্বর হবে ২৭।

ইস্টবেঙ্গলের নজরকাড়া চুক্তি: গোয়া এফসির ফুল-ব্যাক জয় গুপ্তাকে এক কোটির বেশি পারিশ্রমিকে দলে নিল মশালবাহিনী

২০২৯ পর্যন্ত মোহনবাগানেই অভিষেক টেকচাম, ৬ কোটি টাকার রেকর্ডে ছুঁয়েছে ফুল-ব্যাক চুক্তি

জয় গুপ্তা এফসি গোয়ার হয়ে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিশেষভাবে আলোচনায় এসেছেন। ২০২৪ সালের শুরুর দিকে কলিঙ্গা সুপার কাপে দলের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছিলেন তিনি। শুধু তাই নয়, পরপর দুটি মরশুমে আইএসএল সেমিফাইনালে জায়গা করে নেওয়ার ক্ষেত্রেও গোয়ার রক্ষণভাগে তার দৃঢ় ভূমিকা ছিল চোখে পড়ার মতো।

ক্লাব পরিবর্তনের পর প্রথম প্রতিক্রিয়ায় জয় বলেন—
“গত বছর কলকাতায় আমার জাতীয় দলে অভিষেক হয়েছিল। তাই এই মহান শহর থেকে ইস্টবেঙ্গলের মতো ঐতিহ্যবাহী ক্লাবের হয়ে খেলা সত্যিই বিশেষ অনুভূতি দিচ্ছে। রেড-অ্যান্ড-গোল্ড ব্রিগেডের হয়ে মাঠে নামার জন্য আমি মুখিয়ে আছি। দলের সাফল্যে অবদান রাখতে চাই, অভিজ্ঞতা বাড়াতে চাই এবং অবশ্যই ঐতিহাসিক কলকাতা ডার্বি জিতে সমর্থকদের খুশি করতে চাই। জয় ইস্টবেঙ্গল!”

এছাড়াও ইস্টবেঙ্গলের ফুটবল প্রধান থাংবোই সিংটো জয়কে নিয়ে আশাবাদী। তিনি বলেন—
“জয় একজন তরুণ ও গতিশীল ডিফেন্ডার, যার প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে। জাতীয় দলে ও আইএসএলে ইতিমধ্যেই নিজের যোগ্যতার প্রমাণ দিয়েছে। তার উপস্থিতি আমাদের রক্ষণভাগকে আরও শক্তিশালী করবে এবং প্রথম দলের ব্যাকলাইনে বহুমুখী দক্ষতা যোগ করবে।”

ইস্টবেঙ্গলের মতো বড় ক্লাবে যোগ দেওয়া যেকোনো খেলোয়াড়ের জন্য ক্যারিয়ারের বড় চ্যালেঞ্জ। কারণ এই ক্লাবের শতবর্ষের ইতিহাস, বিপুল সমর্থকগোষ্ঠী এবং তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা সব মিলিয়ে দায়িত্ব অনেক বেড়ে যায়। তবে জয় গুপ্তার মতো প্রতিশ্রুতিশীল ও মানসিকভাবে দৃঢ় খেলোয়াড় সেই চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত।

বিশেষ করে কলকাতা ডার্বি ইস্টবেঙ্গলের সমর্থকদের জন্য আবেগের জায়গা। জয় নিজেও জানেন, মোহনবাগান ও ইস্টবেঙ্গলের লড়াই শুধু একটি ম্যাচ নয়, বরং ইতিহাস ও সংস্কৃতির প্রতিফলন। তাই প্রথম ডার্বিতে মাঠে নামার জন্য তিনি যেমন উন্মুখ, তেমনই সমর্থকরাও অপেক্ষা করছেন নতুন এই রেড-অ্যান্ড-গোল্ড যোদ্ধার পারফরম্যান্স দেখার জন্য।

এবারের আইএসএল মৌসুমে ইস্টবেঙ্গলের লক্ষ্য আরও উঁচুতে। বিগত কয়েক বছর সেভাবে সাফল্য না পেলেও নতুন কোচিং স্টাফ, বিদেশি সাইনিং এবং দেশীয় প্রতিভাদের নিয়ে দলকে প্রতিযোগিতামূলক করে তুলতে চাইছে কর্তৃপক্ষ। জয় গুপ্তার যোগদান সেই পরিকল্পনাকে আরও শক্তিশালী করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

তরুণ বয়সেই জাতীয় দলে জায়গা পাওয়া সহজ নয়। জয় সেটি করেছেন কঠোর পরিশ্রম ও ধারাবাহিক পারফরম্যান্সের মাধ্যমে। এখন নতুন চ্যালেঞ্জ ইস্টবেঙ্গলের রক্ষণকে আরও শক্তপোক্ত করে তোলা। তার গতিশীল খেলা, পজিশনিং বোধ ও প্রতিপক্ষ আক্রমণ রুখে দেওয়ার দক্ষতা রেড-অ্যান্ড-গোল্ড ব্রিগেডের ভরসা হতে চলেছে।

ভক্তরা ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় জয় গুপ্তাকে স্বাগত জানাচ্ছেন। কেউ লিখছেন— “Welcome to the family”, আবার কেউ বলছেন— “ডার্বি ডে-তে জয়কে দেখতে মুখিয়ে আছি।” নিঃসন্দেহে জয় গুপ্তার আগমন ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের মধ্যে নতুন আশার সঞ্চার করেছে।

আরও পড়ুন :

কলকাতায় ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বাধ্যতামূলক বাংলায় সাইনবোর্ড, কড়া নির্দেশ জারি

AI-জেনারেটেড অশ্লীল ছবি ও অনুমতি ছাড়া নাম-ছবি ব্যবহারের বিরুদ্ধে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ ঐশ্বর্য রাই

ad

আরও পড়ুন: