Elon Musk Resigns
ক্লাউড টিভি ডেস্ক: মার্কিন রাজনীতিতে নতুন আলোড়ন। অবশেষে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিলেন প্রযুক্তি জগতের অন্যতম বড় মুখ ইলন মাস্ক। বৃহস্পতিবার (২৯ মে) এক্স (প্রাক্তন টুইটার)-এ একটি পোস্টে তিনি নিজেই এই ঘোষণা দিয়েছেন। এই পদক্ষেপের মাধ্যমে শেষ হলো মাস্কের সরকারি ভূমিকায় এক সংক্ষিপ্ত ও বিতর্কিত অধ্যায়।
ইলন মাস্ক এক্স-এ লেখেন,
“মার্কিন সরকারের একজন বিশেষ কর্মচারী হিসেবে আমার মেয়াদ শেষ হয়েছে। অপচয়মূলক সরকারি ব্যয় কমানোর সুযোগ দেয়ার জন্য আমি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানাই। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ডিওজিই-এর লক্ষ্য আরও শক্তিশালী হবে।”
As my scheduled time as a Special Government Employee comes to an end, I would like to thank President @realDonaldTrump for the opportunity to reduce wasteful spending.
The @DOGE mission will only strengthen over time as it becomes a way of life throughout the government.
— Elon Musk (@elonmusk) May 29, 2025
মাস্কের এই ঘোষণাই নিশ্চিত করলো তার সরকারি দায়িত্ব থেকে সরে যাওয়ার বহুদিনের চলা গুঞ্জন।
ডিপার্টমেন্ট অফ গভর্নমেন্ট ইফিশিয়েন্সি এর প্রধানের পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন এলন মাস্ক
২০২৪ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের জোরালো সমর্থক ছিলেন ইলন মাস্ক। প্রচারণায় অংশ নেওয়ার পাশাপাশি ব্যয়ও করেছিলেন বিপুল অর্থ। নির্বাচনের পর মাস্ককে পুরস্কৃত করেই বলা চলে তৈরি করা হয় Department of Government Efficiency (DOoGE) বা সরকারি দক্ষতা বিভাগ। এ বিভাগের কাজ ছিল সরকারি ব্যয় হ্রাস ও ব্যবস্থাপনা আরও কার্যকর করা।
মাস্ক এই বিভাগে প্রধান হিসেবে নিয়োগ পান। দায়িত্বে আসার পর তিনি সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের বাজেট খতিয়ে দেখার কাজ শুরু করেন এবং “ডিজিটালাইজড প্রশাসন” নামের এক প্রকল্প চালু করেন, যার মাধ্যমে কাগজের ব্যবহার কমিয়ে সব প্রক্রিয়া অনলাইনে রূপান্তর করা হচ্ছিল।
তবে দীর্ঘদিন না যেতেই মাস্কের ভূমিকা নিয়ে মার্কিন রাজনীতিতে শুরু হয় জোরালো বিতর্ক। অনেকেই অভিযোগ করেন, সরকারি খরচ কমানোর আড়ালে মাস্ক তার নিজস্ব প্রযুক্তি সংস্থাগুলোর ব্যবসায়িক সুবিধা নিচ্ছেন। পাশাপাশি, মাস্কের কিছু মন্তব্য ও নীতি সাধারণ মানুষের বিরাগভাজন হয়, বিশেষ করে সরকারি কর্মচারীদের ছাঁটাইয়ের সুপারিশ নিয়ে তৈরি হয় তীব্র অসন্তোষ।
কয়েকটি রাজ্যে ডিওজিই-এর কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে বিক্ষোভও দেখা যায়। কংগ্রেসের ডেমোক্র্যাট সদস্যরা একে ক্ষমতার অপব্যবহার বলেও দাবি করেন। ফলে পদত্যাগের গুঞ্জন জোরদার হতে থাকে।
ইলন মাস্কের পদত্যাগ নিয়ে ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স বলেন, “ইলনের দৃষ্টিভঙ্গি ও প্রযুক্তি নিয়ে ভাবনা আমাদের অনেক সাহায্য করেছে। তবে ব্যক্তিগত কারণেই তিনি দায়িত্ব ছাড়ছেন। আমরা তার ভবিষ্যতের জন্য শুভকামনা জানাই।”
ভ্যান্স আরও বলেন, “ডিওজিই ভবিষ্যতেও কাজ চালিয়ে যাবে। আমরা এমন নেতৃত্ব খুঁজছি, যারা দক্ষতা বজায় রেখে সরকারি খরচ আরও যুক্তিসংগত করতে পারবে।”
ইলন মাস্ক এখন কী করবেন, তা এখনো স্পষ্ট নয়। তবে বিশ্লেষকদের মতে, মাস্ক নতুন করে তার বাণিজ্যিক ও মহাকাশ প্রযুক্তির উদ্যোগগুলোর দিকে মনোযোগ দেবেন।
তিনি ইতোমধ্যেই একাধিক স্টার্টআপ, নেউরালিংক ও টেসলার প্রকল্প নিয়ে নতুন ঘোষণা দিয়েছেন, যা ভবিষ্যতের ইঙ্গিত দেয়।
আরও পড়ুন :
কলকাতা লিগে মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গল এক গ্রুপে, ফিরছে গ্রুপ পর্বেই ডার্বির উত্তেজনা!
সমুদ্রতলে মিলল ১.৪ লাখ বছরের পুরনো শহর, মানুষের পূর্বপুরুষের হাড়-জীবাশ্মে ভরপুর!