Breaking News

Espionage CRPF

পাক গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে সিআরপিএফ এএসআই গ্রেফতার, জঙ্গি হামলার ছয় দিন আগে পর্যন্ত পহেলগাঁওয়ে

এনআইএ তদন্তে হানিট্র্যাপ ও বাহিনীর অভ্যন্তরে সম্ভাব্য নেটওয়ার্কের ইঙ্গিত

Espionage CRPF: A Shocking Arrest in India %%page%% %%sep%% %%sitename%%

Espionage CRPF

২৭ মে ২০২৫ (ক্লাউড টিভি) : পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স (সিআরপিএফ)- (Espionage CRPF)এর অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব-ইনস্পেক্টর (এএসআই) মতিরাম জাটকে গ্রেফতার করেছে জাতীয় তদন্ত সংস্থা (এনআইএ)। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি ২০২৩ সাল থেকে ভারতের নিরাপত্তা সংক্রান্ত গোপন তথ্য পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থার হাতে তুলে দিচ্ছিলেন এবং এর বিনিময়ে মোটা অঙ্কের অর্থ গ্রহণ করতেন। এই ঘটনাটি দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্য গভীর উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।সংবাদমাধ্যম ‘ইন্ডিয়া টুডে’র এক প্রতিবেদনে এমনটাই দাবি করা হয়েছে। 

মতিরাম জাট সিআরপিএফ-এর ১১৬ নম্বর ব্যাটেলিয়নে কর্মরত ছিলেন এবং তাঁকে ২০২৫ সালের ১৭ এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁও থেকে অন্যত্র বদলি করা হয়। এই বদলির মাত্র ছয় দিন পর, ২২ এপ্রিল, পহেলগাঁওয়ের বৈসরন উপত্যকায় একটি ভয়াবহ জঙ্গি হামলা ঘটে, যেখানে ২৬ জন নিহত হন, যাঁদের অধিকাংশই ছিলেন পর্যটক। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মতিরামের বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ আরও গুরুত্ব পায় এবং তাঁর পহেলগাঁও পোস্টিংয়ের সময়কাল নিয়ে তদন্ত শুরু হয়।

পাকিস্তানি মহিলাকে বিয়ে করায় সিআরপিএফ জওয়ান বরখাস্ত: অনুমতির নেওয়ার পরও চাকরি হারালেন মুনির আহমেদ

যৌন নির্যাতনের তদন্ত চলাকালেই আইসিসি’র চিফ প্রসিকিউটর পদ ছাড়লেন

এনআইএ-এর তদন্তে উঠে এসেছে যে, মতিরাম জাট পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলছিলেন এবং তাঁদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সরবরাহ করতেন। এই তথ্যের মধ্যে সিআরপিএফ-এর মোতায়েন সংক্রান্ত বিস্তারিত, নিরাপত্তা পরিকল্পনা এবং অন্যান্য সংবেদনশীল তথ্য অন্তর্ভুক্ত ছিল। তাঁর বিরুদ্ধে হানিট্র্যাপের মাধ্যমে ফাঁদে ফেলে তথ্য আদায়ের অভিযোগও উঠেছে।

মতিরামকে দিল্লি থেকে গ্রেফতার করে আদালতে পেশ করা হয় এবং আদালত তাঁকে ১৫ দিনের এনআইএ হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেয়। এই সময়ে তাঁর পরিবারের সদস্যদের এবং আর্থিক লেনদেনের রেকর্ডও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এছাড়াও, এনআইএ পহেলগাঁও হামলার সঙ্গে তাঁর সম্ভাব্য যোগসূত্র খুঁজে দেখছে।

এই ঘটনার পর সিআরপিএফ কর্তৃপক্ষ মতিরাম জাটকে বাহিনী থেকে বরখাস্ত করেছে। এনআইএ-এর তদন্তে আরও কয়েকজনের নাম উঠে এসেছে, যাঁরা পাঞ্জাব, হরিয়ানা এবং উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা এবং পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে তাঁদের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে।

আদালত তাঁর বিরুদ্ধে মন্তব্য করেছে, “মতিরামের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ শুধুমাত্র দেশের নিরাপত্তার জন্যই নয়, বরং ভারতে আসা বিদেশি পর্যটক এবং সাধারণ নাগরিকদের জীবনের নিরাপত্তাতেও গভীর প্রভাব ফেলতে পারে। সশস্ত্রবাহিনী দেশের অন্যতম স্তম্ভ। তাঁদের বিরুদ্ধে এমন কাজ করার অর্থ দেশের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা। অবিলম্বে তদন্ত করে কড়া পদক্ষেপ করা উচিত।”

এই ঘটনা ভারতের নিরাপত্তা সংস্থাগুলির জন্য একটি সতর্কবার্তা, যা বাহিনীর অভ্যন্তরে গুপ্তচরবৃত্তির মতো গুরুতর অপরাধ প্রতিরোধে আরও কঠোর নজরদারি এবং প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছে।

আরও পড়ুন :

‘সব জেনেও আমার জীবনটা নষ্ট করলেন কেন?’ : ঐশ্বর্যা

প্লেন থেকে নামার আগেই স্ত্রীর ‘চড়’! ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ বিতর্কের কেন্দ্রে

ad

আরও পড়ুন: