Breaking News

EuropeBurns

দাবানলে জ্বলছে ইউরোপ: এক সিগারেটেই ছাই ১০ হাজার একর বনাঞ্চল

মাত্র একটি সিগারেটের ফেলে দেওয়ার ফলে গ্রিসের চিওস দ্বীপে তিন দিন ধরে চলা দাবানলে পুড়ে গেছে ১০ হাজার একর বনাঞ্চল। একই সময় দাবানলের হুমকিতে ক্রিট ও স্পেনসহ ইউরোপের বিভিন্ন অঞ্চল। জলবায়ু পরিবর্তন ও জনসচেতনতার অভাবকে দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা।

EuropeBurns: A Summer of Devastating Wildfires %%page%% %%sep%% %%sitename%%

EuropeBurns

ক্লাউড টিভি ডেস্ক : ইউরোপের দক্ষিণাঞ্চল জুড়ে চলতি গ্রীষ্মে দাবানলের বিভীষিকা যেন নতুন এক পরিবেশ সংকটের বার্তা নিয়ে হাজির হয়েছে। গ্রীষ্মের দাবদাহ ও খরা-পরিস্থিতিকে কাজে লাগিয়ে গ্রিস ও স্পেনসহ একাধিক দেশে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড (EuropeBurns) ছড়িয়ে পড়ছে। যার ফলে ব্যাপক বনাঞ্চল, চারণভূমি, বসতিপাড়া, এমনকি জীববৈচিত্র্যও বিপন্ন হয়ে পড়েছে।

বিশেষ করে গ্রিসের চিওস (Chios) দ্বীপে ঘটে যাওয়া এক সাম্প্রতিক দাবানল দেশটির পরিবেশ সচেতনতা ও অগ্নি নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। মাত্র একটি ফেলে দেওয়া সিগারেট থেকেই শুরু হয়ে যায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, যা ছড়িয়ে পড়ে ১০ হাজার একরের বেশি বনভূমি জুড়ে।

তুরস্কে ভয়াবহ দাবানল: ইজমিরসহ একাধিক প্রদেশে আগুন, ঘরবাড়ি ফেলে পালাচ্ছেন বাসিন্দারা

কোন সময়ের রোদ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিকর

রবিবার দুপুরে চিওস দ্বীপে আগুনের সূত্রপাত হলেও তা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয় বুধবার। স্থানীয় ফায়ার সার্ভিসের মতে, দাবানল নিয়ন্ত্রণে আনার পরেও ঝুঁকি থেকে যায়, কারণ বাতাসে আগুন ফের ছড়িয়ে পড়তে পারে। প্রায় ৫ দিন ধরে দমকল কর্মীরা দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন। আগুনের পুনঃপ্রজ্বালন ঠেকাতে শত শত কর্মী এখনো দ্বীপে অবস্থান করছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, একজন জর্জিয়ান মহিলাকে সিগারেট ফেলার দায়ে সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা দাবি করেছেন, তাঁকে সিগারেট ফেলতে দেখেছেন, যার পরপরই আগুনের সূত্রপাত ঘটে।

এদিকে এই চিওস কাণ্ডের রেশ কাটতে না কাটতেই গ্রিসের আরও দুটি স্থানে নতুন করে দাবানলের খবর পাওয়া গেছে। জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র ক্রিট দ্বীপে  বুধবার বিকালে দাবানল শুরু হলে প্রায় ৩ হাজার বাসিন্দা ও পর্যটককে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বহু ঘরবাড়ি, গাছপালা ও অবকাঠামো।

গ্রিক দমকল বিভাগ জানিয়েছে, ক্রিটে ২৩০ জন দমকলকর্মী, ৩৮টি ফায়ার ইঞ্জিন এবং জলবাহী ট্রাক আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। এর পাশাপাশি হালকিদিকি (Halkidiki) অঞ্চলেও নতুন দাবানল দেখা গেছে, যেখানে ১৬০ জন দমকলকর্মী ৪৯টি ট্রাকসহ কাজ করছে।

কিন্তু শুধু গ্রিসই নয়, দাবানলে জ্বলছে স্পেনও। দক্ষিণ ইউরোপ জুড়ে তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে যাওয়ায় বাতাস শুকনো হয়ে উঠছে, যা আগুন ছড়ানোর জন্য সহায়ক হয়ে উঠছে। স্পেনের আন্দালুসিয়া ও কাতালোনিয়ার কিছু অংশেও আগুন ছড়িয়ে পড়ার খবর মিলেছে। দমকল বাহিনী হিমশিম খাচ্ছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে।

পরিবেশবিদরা বলছেন, ইউরোপে প্রতিবছর দাবানলের সংখ্যা ও তীব্রতা বাড়ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের জেরে তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় এ ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ বেড়ে চলেছে। এর ফলে ধ্বংস হচ্ছে বনাঞ্চল, প্রাণ হারাচ্ছে বন্যপ্রাণী এবং স্থানীয় মানুষজন গৃহহীন হয়ে পড়ছেন।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এমন সংকট থেকে উত্তরণে শুধু দমকল ব্যবস্থা নয়, প্রয়োজন আরও কড়াকড়ি আইন, জনসচেতনতা এবং আগুন ছড়ানোর সম্ভাব্য উৎসগুলো সম্পর্কে শিক্ষা ও সতর্কতা। বিশেষ করে গ্রীষ্মকালে পর্যটকদের এবং স্থানীয়দের আগুন ব্যবহারে আরও সতর্ক হতে হবে।

আরও পড়ুন :

Barun Biswas : ১৩ বছর পরেও বরুণ বিশ্বাসের বার্তা অমলিন: RG Kar ও ল’ কলেজে নারীনিগ্রহে ফের আলোচনায় প্রতিবাদী শিক্ষক

ইতিহাস গড়ল Nvidia : বিশ্বের সবচেয়ে মূল্যবান কোম্পানি

ad

আরও পড়ুন: