Madleen Flotilla GazaAid
ক্লাউড টিভি ডেস্ক : গাজা উপত্যকায় মানবিক সাহায্য পৌঁছানোর লক্ষ্যে ইউরোপ থেকে যাত্রা শুরু করা “ফ্রিডম ফ্লোটিলা”–র একটি জাহাজ, যেটিতে ছিলেন পরিবেশ আন্দোলনের আন্তর্জাতিক মুখ গ্রেটা থুনবার্গ, তা ইসরায়েলি নৌবাহিনীর হস্তক্ষেপে আটকানো হয়েছে। এই জাহাজটি ‘ম্যাডলিন’ নামের একটি মানবিক মিশনের অংশ (Madleen Flotilla GazaAid) ছিল। ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর দাবি, তারা আন্তর্জাতিক জলসীমায় আইন অনুযায়ী কাজ করেছে।
জুন ১–এ সিসিলি (ইতালি) থেকে যাত্রা শুরু ‘Madleen’ নামক ব্রিটিশ পতাকাবাহী যৌথ মানবিক নৌযান।
এটি Freedom Flotilla Coalition–এর উদ্যোগ؛ যাত্রায় ছিলেন সুইডিশ পরিবেশ কর্মী গ্রেটা থুনবার্গ, ফরাসি এমইপি রিমা হাসান, ব্রিটিশ অভিনেতা লিয়াম ক্যানিংহাম ইত্যাদি
তাদের মূল উদ্দেশ্য ছিল—গাজার অবস্থার দরিদ্র মানবিক অবস্থা তুলে ধরা এবং খাদ্য, শিশুর দুধ, ওষুধ ইত্যাদি বিতরণ শেখানো।
ফ্রিডম ফ্লোটিলার দাবি, জাহাজটিতে কেবল খাদ্য, ওষুধ ও জরুরি প্রয়োজনীয় সামগ্রী ছিল। অন্যদিকে ইসরায়েলের বক্তব্য—এই ধরনের ‘সহানুভূতির আড়ালে’ অস্ত্র পাচারের ইতিহাস আছে এবং তারা জাতীয় নিরাপত্তার প্রশ্নে আপস করবে না।
এই ঘটনায় আন্তর্জাতিক মহলে আলোচনার ঝড় উঠেছে। অনেকেই বলছেন, এটি শুধু একটি ফ্লোটিলা আটকানোর ঘটনা নয়, বরং মধ্যপ্রাচ্যে চলমান মানবাধিকার সংকট ও রাজনৈতিক জটিলতার প্রতিচ্ছবি।
ইজরায়েলি আগ্রাসনে গাজার শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংসের মুখে: স্কুলছুট প্রায় ৮ লাখ শিক্ষার্থী
৯ জুন ভোরে ইজরায়েলি Shayetet-13 কমান্ডো বাহিনী অভিযান চালিয়ে জাহাজ থেকে সবাইকে আটক করে ।
শান্তিপূর্ণ অবস্থায়, তাদেরকে সরাসরি Ashdod বন্দরে পৌঁছে দেয় ।
ফ্লোটিলা দাবি করে ড্রোনে ‘সাদা রংয়ে স্প্রে’ করা হয়েছিল এবং ইন্টারনেট-যোগাযোগ বন্ধ ছিল ।
ইসরায়েলি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভিডিও প্রকাশ করে crew–এর নিরাপদ অবস্থানের আশ্বাস দেয়।
আন্তর্জাতিক ও আইনি বিশ্লেষণ
UN বিশেষজ্ঞ ও মানবাধিকার গোষ্ঠী: এই অভিযান “Unlawful boarding”, আন্তর্জাতিক জলসীমায় অপহরণ–এর মতো অভিযোগ তুলেছে ।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা মন্ত্রী Israel Katz বলেন, এটি ‘propaganda stunt’—আর গাজায় পৌঁছে হামাস কে সাহায্য করত বলে মন্তব্য।
আইনগত ইতিহাস: ২০১০ সালের Mavi Marmara–র মতো ঘটনা মেনে নিলে আন্তর্জাতিক নজর দেবে; তা মানবাধিকার ও জলপথের অধিকার প্রমাণ করতে পারে ।
EU ও আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া: ফ্রান্স ও অস্ট্রেলিয়া–সহ নারী ও ছাত্র কর্মীরা প্রতিবাদ করেছে; CAIR–এর মত “state piracy”–এর মতো শব্দ ব্যবহার হয়ে বিতর্ক জন্ম দিয়েছে ।
আরও পড়ুন :
Breaking News: মেঘালয়ে ‘হানিমুন খুন’ রহস্য: স্ত্রীর হাতে ভাড়াটে খুনি দিয়ে স্বামী খুন, ধৃত ৪