Breaking News

IndiaMuslimPopulation

২০৫০ সালের মধ্যে বিশ্বের সর্বাধিক মুসলিম জনসংখ্যার দেশ হবে ভারত: পিউ রিসার্চের রিপোর্টে চাঞ্চল্য

বিশ্বজুড়ে মুসলিম জনসংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। বিশেষ করে ভারত ও এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক পিউ রিসার্চ সেন্টারের প্রতিবেদনে দাবি—২০৫০ সালের মধ্যে ভারত ইন্দোনেশিয়াকে ছাড়িয়ে বিশ্বের সর্ববৃহৎ মুসলিম জনসংখ্যার দেশ হয়ে উঠবে।

IndiaMuslimPopulation Growth in the Coming Years %%page%% %%sep%% %%sitename%%

IndiaMuslimPopulation

ক্লাউড টিভি ডেস্ক: বিশ্বের জনসংখ্যার ধর্মভিত্তিক পরিসংখ্যানের ক্ষেত্রে একটি যুগান্তকারী পূর্বাভাস সামনে এনেছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণা সংস্থা পিউ রিসার্চ সেন্টার। তাদের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারত আগামী ২৫ বছরের মধ্যে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি মুসলিম জনসংখ্যার দেশ হয়ে উঠবে। এই তথ্য (IndiaMuslimPopulation ) প্রকাশ্যে আসতেই শুরু হয়েছে আলোচনা।

পিউ-এর রিপোর্ট বলছে, ২০১০ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে বিশ্বে মুসলিম জনসংখ্যা বেড়েছে প্রায় ৩৪.৭ কোটি। অন্যান্য ধর্মীয় গোষ্ঠীর তুলনায় এটি একটি সর্বোচ্চ বৃদ্ধির হার।

যে ১০ দেশে মোট জনসংখ্যায় মহিলার অনুপাত বেশি!

বিশ্বের শীর্ষ ধনী শহরের তালিকায় স্থান পেল দুবাই

২০১০ সালে যেখানে বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ২৩.৯ শতাংশ ছিল মুসলিম, ২০২০ সালে তা বেড়ে হয়েছে ২৫.৬ শতাংশ। ভবিষ্যদ্বাণী অনুযায়ী, ২০৫০ সালের মধ্যে বিশ্বে মুসলিম জনসংখ্যা দাঁড়াবে ২৮০ কোটিরও বেশি

এই প্রবৃদ্ধির প্রধান কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে:

  • মুসলিম জনগণের উচ্চ জন্মহার,

  • তুলনামূলকভাবে নিম্ন মৃত্যু হার,

  • এবং আংশিকভাবে ধর্মান্তর।

যদিও ধর্মান্তরের হার উল্লেখযোগ্য নয়, রিপোর্টে বলা হয়েছে এটি মোট বৃদ্ধির মাত্র একটি ক্ষুদ্র অংশ।

বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি মুসলিম জনসংখ্যার দেশ হলো ইন্দোনেশিয়া। তবে বর্তমান হারের ধারাবাহিকতা বজায় থাকলে ২০৫০ সালের মধ্যে ভারত ইন্দোনেশিয়াকে পিছনে ফেলবে

ভারতের মোট জনসংখ্যার একটি বড় অংশ মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ। ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী ভারতে মুসলিমদের সংখ্যা ছিল প্রায় ১৭ কোটি। ২০২৫ ও ২০৩০ সালের মধ্যে এই সংখ্যা অনেক বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।

পিউ-এর রিপোর্ট অনুযায়ী,

“এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে মুসলিমদের সংখ্যা বাড়ার হার বৈশ্বিক গড়ের চেয়েও বেশি। এর কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে ভারত।”

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ধরনের জনসংখ্যাগত পরিবর্তন শুধু ধর্মীয় বা সংখ্যাতাত্ত্বিক তথ্য নয়, বরং তা সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। ভারতের মতো একটি বহু ধর্মীয় সমাজে এই প্রবণতা নতুন আলোচনার জন্ম দিতে পারে।

পিউ রিসার্চ সেন্টার এমন একটি সংস্থা, যারা দীর্ঘদিন ধরে ধর্ম, জনসংখ্যা ও সামাজিক আচরণ বিষয়ে নিরপেক্ষ এবং তথ্যসমৃদ্ধ গবেষণা করে আসছে। তাদের পূর্ববর্তী অনুমান ও বিশ্লেষণ বহুক্ষেত্রে সঠিক প্রমাণিত হয়েছে।

আরও পড়ুন :

গাজায় সাড়ে ৬ লাখ শিশু দুর্ভিক্ষের মুখে, আন্তর্জাতিক মহলের ‘লজ্জাজনক নীরবতা’ নিয়ে ক্ষোভ

বলিউডে আবেগের অভাব, টালিউড ও দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রিতে মিলছে ভালোবাসা—বাংলা সিনেমার দিকে ঝুঁকছেন সঞ্জয় দত্ত

ad

আরও পড়ুন: