Gandhi OilPainting Auction
ক্লাউড টিভি ডেস্ক : জাতির জনক মহাত্মা গান্ধীর একটি বিরল তৈলচিত্র নিলামে বিক্রি হল চমকপ্রদ দামে। লন্ডনের বিখ্যাত নিলাম সংস্থা বোনহামস (Bonhams)-এর আয়োজনে আয়োজিত নিলামে এই চিত্রকর্মটির দাম (Gandhi OilPainting Auction) উঠেছে ১,৫২,৮০০ ব্রিটিশ পাউন্ড, যা ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ২ কোটি ৫১ লক্ষ ৬৬ হাজার টাকা।
গান্ধীর একমাত্র ‘স্বেচ্ছায়’ আঁকানো তৈলচিত্র
নিলামকারী সংস্থা বোনহামস জানিয়েছে,
“এই তৈলচিত্রটি সম্ভবত একমাত্র চিত্রকর্ম, যার জন্য গান্ধী স্বেচ্ছায় বসে পোজ দিয়েছিলেন।”
১৯৩১ সালে লন্ডন সফরের সময় এই প্রতিকৃতিটি আঁকা হয়। ওই সফরে গান্ধী ভারতের সাংবিধানিক সংস্কার ও স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে গোলটেবিল বৈঠকে অংশ নিতে ব্রিটেনে গিয়েছিলেন।
রেকর্ড দামে বিক্রি রাফায়েল নাদালের ঐতিহাসিক র্যাকেট, ফরাসি ওপেন ফাইনালের স্মৃতি এবার সংগ্রাহকের ঘরে
মাইকেল শুমাখারের ঐতিহাসিক ফেরারি বিক্রি ১৮.১৭ মিলিয়ন ডলারে, এফওয়ান ইতিহাসে নতুন রেকর্ড
️ শিল্পী ক্লেয়ার লিটনের অনন্য সৌভাগ্য
চিত্রকর্মটি আঁকেন ব্রিটিশ শিল্পী ক্লেয়ার লিটন (Clare Leighton)।
তিনি ছিলেন হাতে গোনা সেই শিল্পীদের একজন, যাঁদের গান্ধীর অফিসে প্রবেশের অনুমতি ছিল এবং যাঁরা একাধিকবার গান্ধীর সঙ্গে বসে তাঁর প্রতিকৃতি আঁকার সুযোগ পেয়েছিলেন।
লন্ডনে অবস্থানকালেই ক্লেয়ার লিটন গান্ধীর প্রতিকৃতিটি আঁকেন।
তৈলচিত্রটি শুধুমাত্র ঐতিহাসিক গুরুত্বই বহন করে না, বরং এটি গান্ধীর ব্যক্তিত্ব ও দর্শনের এক অন্তরঙ্গ চিত্র তুলে ধরে।
নিলামের আনুমানিক মূল্য ছাড়িয়ে গেল অনেক দূরে
প্রথমে বোনহামসের পক্ষ থেকে তৈলচিত্রটির মূল্য ৫০ থেকে ৭০ হাজার পাউন্ড হিসেবে অনুমান করা হয়েছিল।
কিন্তু শেষ মুহূর্তে নিলামে তা দুইগুণেরও বেশি দামে বিক্রি হয়।
এতে বোঝা যায়, বিশ্বের নানা প্রান্তে গান্ধী ও তাঁর ইতিহাসকে ঘিরে সংগ্রাহকদের আগ্রহ কতটা তীব্র।
️ সংগ্রহ ও উত্তরাধিকার
ক্লেয়ার লিটনের মৃত্যু হয় ১৯৮৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রে।
তাঁর মৃত্যুর আগপর্যন্ত গান্ধীর এই তৈলচিত্র সহ একাধিক মূল্যবান শিল্পকর্ম ছিল তাঁর ব্যক্তিগত সংগ্রহে।
পরে তা উত্তরাধিকার সূত্রে তাঁর পরিবারের হাতে চলে যায় এবং এখন অবশেষে তা বিশ্বের শিল্পবাজারে নিলামে এল।
️ বোনহামস-এর প্রতিক্রিয়া
নিলাম সংস্থার আধিকারিকরা জানিয়েছেন—
“এই তৈলচিত্র শুধু শিল্প নয়, এটি ইতিহাসের জীবন্ত দলিল। গান্ধীর মতো এক কিংবদন্তি নেতার জীবনের এমন মুহূর্তকে ধরে রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।”
এই চিত্রকর্ম গান্ধীর সহজতা, প্রজ্ঞা ও মিতব্যয়িতার প্রতীক হয়ে উঠেছে বলে তারা মন্তব্য করেন।
গান্ধী ও ১৯৩১ সালের লন্ডন সফর
১৯৩১ সালের দ্বিতীয় গোলটেবিল বৈঠকে অংশ নিতে গান্ধী লন্ডনে যান।
তখন তিনি ভারতের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করছিলেন, স্বরাজের দাবি ছিল তাঁর মুখ্য এজেন্ডা।
এই সময়ের মধ্যেই ক্লেয়ার লিটনের মতো কিছু গুণী শিল্পী তাঁর সাক্ষাৎ পান এবং চিত্রায়নের অনুমতিও পান।
আরও পড়ুন :
অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত অমরনাথ যাত্রা, এক মহিলা পুণ্যার্থীর মৃত্যু