Garima Saikia Garg Hospitalised
ক্লাউড টিভি ডেস্ক : আসামের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী জুবিন গর্গ–এর স্ত্রী গরিমা শইকীয়া গর্গ অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। জানা গিয়েছে, গত কয়েকদিন ধরে তিনি অত্যন্ত ক্লান্তি, মানসিক চাপ এবং শারীরিক দুর্বলতায় ভুগছিলেন। সোমবার রাতেই পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায় তাঁকে দ্রুত গুয়াহাটির একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তাঁর শরীরে জলের ঘাটতি (ডিহাইড্রেশন) এবং অবসাদ খুব বেশি মাত্রায় দেখা গেছে।
গরিমা শইকীয়া শুধু জুবিন গর্গের স্ত্রী নন, তিনি নিজেও আসামের সাংস্কৃতিক জগতে একটি সুপরিচিত নাম। তিনি গায়ক, চলচ্চিত্র প্রযোজক এবং ফ্যাশন ডিজাইনার হিসেবেও কাজ করেন। তবে গত কয়েক মাস ধরে তাঁর জীবন ও দিনচক্র প্রবলভাবে বদলে যায়।
কারণ — ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বরে জুবিন গর্গের মৃত্যুর পর সমস্ত সামাজিক অনুষ্ঠান, স্মরণসভা, সাংস্কৃতিক প্রকল্প, সংগঠন পরিচালনা—এসব দায়িত্ব একাই সামলাচ্ছিলেন গরিমা।
গরিমার কাছের মানুষরা জানিয়েছেন, স্বামীর মৃত্যু তাঁর মানসিক অবস্থায় গভীর প্রভাব ফেলেছে। তিনি নিজেকে ব্যস্ত রাখতে চেষ্টা করছিলেন। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ফাউন্ডেশনের কাজ, মিডিয়া কমিটমেন্ট—সবকিছু অব্যাহত রেখেছিলেন। কিন্তু এর ফলে তিনি নিজের শরীরের যত্ন নেওয়ার সুযোগ পাননি। ক্রমশ ঘুম কমতে থাকে। খাবার হালকা হয়ে যায়। কাজের চাপ বাড়তেই থাকে। এরপরই শরীর ভেঙে পড়ে।
চিকিৎসকদের মতে, গরিমার অবস্থা এখন স্থিতিশীল, কিন্তু তাঁকে কয়েক দিন কড়া পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী, তাঁকে সর্বোচ্চ বিশ্রাম নিতে হবে।
চিকিৎসক দল বলছে –
“পরিবার ও ঘনিষ্ঠদের পাশে থাকা প্রয়োজন। মানসিক চাপ কমানোই সবচেয়ে জরুরি।”
হাসপাতালে গরিমার সঙ্গে রয়েছেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা।
জুবিন গার্গের ছোট বোন জানিয়েছেন —
“দাদা চলে যাওয়ার পর দিদি সব কিছু একা সামলাচ্ছে। সে আমাদের সবার জন্য শক্ত থাকার চেষ্টা করছে। কিন্তু মনে এবং শরীরে চাপ তো পড়ে। আমরা ওঁর পাশে আছি।”
জুবিন গর্গের শেষ ছবি ‘রই রই বিনালে’ আসামে ঝড় তুলল, ভোরবেলা শো-তে হাউসফুল! কান্নায় ভাসছে ভক্তরা
এদিকে ভক্তরা সোশ্যাল মিডিয়ায় গরিমার দ্রুত সুস্থতা কামনা করছেন।
আসামের বহু গায়ক, অভিনেতা, সাহিত্যিক এবং সাংস্কৃতিক কর্মী এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
অনেকে বলছেন —
“শোক, সামাজিক দায়িত্ব এবং কাজের চাপ — সব মিলিয়ে একজন মানুষ ভেতর থেকে ভেঙে পড়তে পারেন। সুস্থ হওয়ার জন্য বিশ্রাম ও মানসিক শান্তি খুব প্রয়োজন।”
এই ঘটনা মানবিক বার্তা রেখে যায়।
মানসিক চাপ দেখা যায় না, কিন্তু প্রভাব ফেলে গভীরভাবে।
প্রিয়জনের মৃত্যু, কর্মব্যস্ততা এবং জনসম্মুখে থেকে সব সময় শক্ত থাকার চেষ্টায় মানুষ আস্তে আস্তে ক্লান্ত হয়ে পড়ে।
গরিমার পরিস্থিতি সেই বাস্তবতারই উদাহরণ।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, সঠিক বিশ্রাম, পর্যাপ্ত জলপান এবং স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট—এগুলো হল তাঁর সুস্থতার প্রধান পথ।
তাঁকে অন্তত ২ সপ্তাহ কোনো বড় কাজ না করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক রাখা শারীরিক স্বাস্থ্যের মতোই গুরুত্বপূর্ণ।
গরিমা দ্রুত সুস্থ হয়ে নিজের জীবনে স্থিতি ফিরে পান, সেটাই এখন ভক্তদের একমাত্র কামনা।
আরও পড়ুন :
টেসলা শেয়ারহোল্ডাররা Elon Musk-র জন্য এক ট্রিলিয়ন ডলারের বেতনের প্যাকেজ অনুমোদন করল