Breaking News

GazaTakeover IsraelPolitics

গাজা সম্পূর্ণ দখলের পরিকল্পনা ইজরায়েলের, অনাহারে মৃতের সংখ্যা বাড়ছে

ইজরায়েল গাজা ভূখণ্ড সম্পূর্ণ দখলের পরিকল্পনা করছে। অনাহারে মৃতের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। আন্তর্জাতিক মহলে উদ্বেগ সত্ত্বেও সামরিক অভিযানে কোনো শিথিলতার লক্ষণ নেই।

GazaTakeover IsraelPolitics: The Latest Developments %%page%% %%sep%% %%sitename%%

GazaTakeover IsraelPolitics

ক্লাউড টিভি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইজরায়েল সরকার গাজা ভূখণ্ডের পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পরিকল্পনা বিবেচনা করছে। রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, গাজায় যুদ্ধ চলাকালীন অনাহারে মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। আন্তর্জাতিক স্তরে চাপ বাড়লেও, ইজরায়েলের রাজনৈতিক মহলে গাজাকে সামরিকভাবে পুরোপুরি দখলের (GazaTakeover IsraelPolitics) ভাবনাচিন্তা আরও জোরদার হচ্ছে।

প্রতিদিনই গাজার দক্ষিণ এবং মধ্য অঞ্চলে নতুন করে বিমান হামলা এবং স্থল অভিযান চালাচ্ছে ইজরায়েলি বাহিনী। সামরিক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, হামাসকে নির্মূল করতে হলে গাজার প্রত্যেকটি অঞ্চলে অভিযান চালাতে হবে। এরই প্রেক্ষিতে সরকার এখন “সম্পূর্ণ দখলের” দিকেই ঝুঁকছে।

গাজা এখন বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষুধার্ত এলাকা: জাতিসংঘ

রাখাইনে ‘করিডর’ : বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের দাবি করলেন

ইজরায়েলের কয়েকজন মন্ত্রী স্পষ্ট করে বলেছেন, গাজার নিরাপত্তা নিয়ন্ত্রণ ছাড়া হামাসের উত্থান রোখা সম্ভব নয়। যদিও প্রতিরক্ষা বাহিনীর মধ্যে এই নিয়ে মতভেদ রয়েছে। সেনাবাহিনী আশঙ্কা করছে, পুরো গাজা দখল মানেই বছরের পর বছর ধরে একটি বিপজ্জনক গেরিলা যুদ্ধের মুখোমুখি হওয়া।

জাতিসংঘ এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থা জানিয়েছে, গাজা এখন বিশ্বের অন্যতম বড় মানবিক সংকটের মুখোমুখি। জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য সংস্থার (WFP) তথ্য অনুযায়ী, এক দশমিক আট মিলিয়ন মানুষ চরম খাদ্য ঘাটতির মুখে। খাদ্যের অভাবে ইতিমধ্যেই বহু শিশু ও বয়স্ক মানুষের মৃত্যু হয়েছে।

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলি গাজার বর্তমান পরিস্থিতিকে “মানবসৃষ্ট দুর্ভিক্ষ” বলে অভিহিত করছে। চরম খাদ্য সংকট, পানীয় জলের অভাব, চিকিৎসার অপ্রতুলতা মিলিয়ে জনজীবন কার্যত বিপর্যস্ত।

গাজার পরিস্থিতি নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে ব্যাপক উদ্বেগ ছড়িয়েছে। আমেরিকা, ফ্রান্স, ব্রিটেন এবং অন্যান্য পশ্চিমা দেশগুলি ইজরায়েলকে সংযম দেখাতে এবং মানবিক ত্রাণ চলাচলের পথ খুলে দিতে বলেছে। তবুও, মিশরের রাফা সীমান্ত, ইসরায়েলের এরেজ সীমান্ত দিয়ে খাদ্য ও ওষুধের সরবরাহ সীমিত।

জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস এক বিবৃতিতে বলেন, “এই মানবিক দুর্দশা ও রাজনৈতিক সংকট অবিলম্বে থামানো জরুরি। পূর্ণ সামরিক দখল মানে হবে দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধ ও নতুন ধ্বংস।”

ইজরায়েলের এই পদক্ষেপ যদি বাস্তবায়িত হয়, তা শুধু গাজায় নয়, গোটা মধ্যপ্রাচ্যেই নতুন উত্তেজনার জন্ম দিতে পারে। অন্যদিকে, মানবিক বিপর্যয় মোকাবিলায় বিশ্বের বড় শক্তিগুলির কার্যকর হস্তক্ষেপ না হলে, গাজার ভবিষ্যৎ যে আরও অন্ধকারময় হতে চলেছে, তা বলাই যায়।

আরও পড়ুন :

আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ভারতের পণ্যের উপর ‘মারাত্মক শুল্ক’ চাপানোর হুমকি ট্রাম্পের, ফের উত্তপ্ত বাণিজ্য সম্পর্ক

পোষ্য কে আর রাখতে পারছেন না, হিংস্র প্রাণীদের খাবার হিসেবে দান করুন : বিতর্কের মুখে চিড়িয়াখানা

ad

আরও পড়ুন: