Breaking News

আত্মহত্যা WHO রিপোর্ট ২০২৫

বিশ্বে প্রতি একশ মৃত্যুর মধ্যে একটি আত্মহত্যা, এগিয়ে এশিয়া

বিশ্বে প্রতি একশ মৃত্যুর মধ্যে অন্তত একটি আত্মহত্যাজনিত। WHO বলছে, তরুণদের জন্য আত্মহত্যা বড় হুমকি হয়ে উঠেছে।

আত্মহত্যা WHO রিপোর্ট ২০২৫: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংকট

আত্মহত্যা WHO রিপোর্ট ২০২৫

ক্লাউড টিভি ডেস্ক : বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) জানিয়েছে, পৃথিবীতে গড়ে প্রতি একশ মৃত্যুর মধ্যে অন্তত একটি মৃত্যু ঘটে আত্মহত্যার কারণে। মঙ্গলবার প্রকাশিত তাদের সর্বশেষ “ওয়ার্ল্ড মেন্টাল হেলথ টুডে” প্রতিবেদনে (আত্মহত্যা WHO রিপোর্ট ২০২৫) এই উদ্বেগজনক তথ্য উঠে এসেছে। সংস্থাটি বলছে, আত্মহত্যা একটি নীরব আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য সংকট, যা তরুণ সমাজসহ সকল বয়সী মানুষের জীবনকে হুমকির মুখে ফেলছে।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, আত্মহত্যার ঘটনায় এশিয়া অঞ্চল শীর্ষে। এর মধ্যে একাই ভারত বিশ্বের সর্বোচ্চ আত্মহত্যার ঘটনার জন্য দায়ী। প্রতিবছর দেশটিতে লাখ লাখ মানুষ আত্মহত্যা করে। যদিও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আত্মহত্যার হার সামান্য কমেছে, তবে WHO বলছে অগ্রগতি অত্যন্ত ধীরগতির।

নিউজ রিপোর্ট: আমরা কুকুরের চেয়েও খারাপ অবস্থায় আছি: প্যালেস্টাইন নাগরিক

চ্যাটজিপিটি-র বিরুদ্ধে মামলা : কিশোরের আত্মহত্যায় দায়ী কি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা?

WHO-এর হিসাবে, ২০২১ সালে বিশ্বজুড়ে সাত লাখেরও বেশি মানুষ আত্মহত্যার মাধ্যমে জীবন শেষ করেছেন। অর্থাৎ প্রতিদিন গড়ে দুই হাজারেরও বেশি মানুষ এই ভয়াবহ সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। সংস্থার মানসিক স্বাস্থ্য বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত ডেভোরা কেস্টেল বলেন,
“প্রতি একশ মৃত্যুর মধ্যে একটি ঘটে আত্মহত্যার কারণে। এর বাইরে আরও অগণিত চেষ্টা ব্যর্থ হয়, যা পরিবার ও সমাজকে দীর্ঘমেয়াদি শোক ও কষ্টের মধ্যে ফেলে।”

বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণ অনুযায়ী, তরুণরা আত্মহত্যার ঝুঁকিতে সবচেয়ে বেশি। WHO’র প্রতিবেদনে দেখা যায়—

  • ২০২১ সালে ১৫ থেকে ২৯ বছর বয়সী নারীদের মৃত্যুর দ্বিতীয় প্রধান কারণ ছিল আত্মহত্যা।

  • একই বয়সী পুরুষদের ক্ষেত্রে আত্মহত্যা ছিল তৃতীয় প্রধান মৃত্যুর কারণ।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শিক্ষা, চাকরি, সম্পর্ক ও সামাজিক চাপ তরুণদের মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করছে। এর সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে একাকিত্ব, সাইবার বুলিং এবং মানসিক স্বাস্থ্যসেবার সীমিত সুযোগ।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা মনে করে, আত্মহত্যার পেছনে সামাজিক-অর্থনৈতিক বৈষম্য বড় ভূমিকা রাখছে। উন্নয়নশীল দেশগুলোতে মানসিক স্বাস্থ্যসেবার ঘাটতি ব্যাপক। অনেক দেশে এখনো আত্মহত্যাকে সামাজিক কলঙ্ক হিসেবে দেখা হয়, ফলে মানুষ সাহায্য চাইতে ভয় পায়।

WHO জোর দিয়ে বলেছে, আত্মহত্যা প্রতিরোধযোগ্য। তবে এজন্য সরকার, পরিবার, সমাজ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সমন্বিত পদক্ষেপ প্রয়োজন।

  • মানসিক স্বাস্থ্যসেবা সহজলভ্য করা,

  • তরুণদের জন্য পরামর্শদাতা নিয়োগ,

  • সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইতিবাচক কনটেন্ট প্রচার এবং

  • আত্মহত্যাকে ঘিরে কুসংস্কার দূর করাকে গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ হিসেবে চিহ্নিত করেছে সংস্থাটি।

ডেভোরা কেস্টেল বলেন, “মানসিক স্বাস্থ্য বিনিয়োগ কোনো ব্যয় নয়, বরং এটি জীবন রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় বিনিয়োগ।”

বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতেও আত্মহত্যার হার উদ্বেগজনক। গবেষকরা বলছেন, পারিবারিক কলহ, দারিদ্র্য, শিক্ষা ব্যর্থতা ও সামাজিক চাপ এ অঞ্চলের প্রধান কারণ। বিশেষজ্ঞদের মতে, আত্মহত্যা রোধে সচেতনতা কর্মসূচি বাড়াতে হবে এবং স্কুল-কলেজ পর্যায়ে মানসিক স্বাস্থ্য শিক্ষা চালু করতে হবে।

আরও পড়ুন :

‘ধনকুবেরের চেয়ে শ্রমিক গুরুত্বপূর্ণ’ : যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ-সমাবেশ

লোকটাক হ্রদের তীরে জন্ম নেওয়া পদ্মফুল থেকে সিল্ক কাপড়, আলোচনায় মনিপুরের তরুণী

ad

আরও পড়ুন: