Breaking News

Hamas Release Israel Hostage

অবশেষে হামাসের হাত থেকে মুক্তি ইজরায়েলি বন্দিদের, দুই বছরের বন্দিদশার অবসানে উচ্ছ্বাস তেল আভিভে

দুই বছর পর হামাস সাতজন ইজরায়েলি বন্দি মুক্তি দিল। তেল আভিভে উদ্‌যাপন, শান্তির নতুন আশার সূচনা।

Hamas Release Israel Hostage : তেল আভিভে উচ্ছ্বাস

Hamas Release Israel Hostage

ক্লাউড টিভি ডেস্ক : দুই বছরের বন্দিদশা শেষে অবশেষে মুক্তি পেলেন সাতজন ইজরায়েলি নাগরিক। গাজার মধ্যে হামাসের হাতে আটক থাকা এই বন্দিদের মুক্তি দিয়েছে প্যালেস্টাইনের গোষ্ঠী হামাস।এই ঐতিহাসিক পদক্ষেপে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে শান্তি প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনা নিয়ে।

শনিবার রাতে মুক্তিপ্রাপ্ত এই সাতজন বন্দিকে রেড ক্রসের তত্ত্বাবধানে ইজরায়েলে ফিরিয়ে আনা হয়। তাদের নাম— গালি বারম্যান, জিভ বারম্যান, মাতান অ্যাঙ্গরেস্ট, আলন ওহেল, ওমরি মিরান, এৎতান মোর এবং গাই গিলবোয়া-ডালাল।এরা সকলেই  ২০২৩ সালে হামাসের হাতে অপহৃত হয়েছিলেন, যখন দক্ষিণ ইজরায়েলি সংঘর্ষ শুরু হয়েছিল।

দীর্ঘ দুই বছর পর তাদের ফিরে পাওয়ায় দেশজুড়ে আনন্দের বন্যা বইছে। তেল আভিভে  হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে আসেন । শহরের কেন্দ্রে বড় পর্দায় সরাসরি সম্প্রচার হয় বন্দিদের ফেরার দৃশ্য। পরিবারেরা একে অপরকে জড়িয়ে কেঁদে ফেলেন।

একজন মুক্তিপ্রাপ্ত বন্দির ভাই সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা এই দিনটার জন্য প্রার্থনা করেছিলাম প্রতিদিন। মনে হচ্ছিল আর দেখা হবে না।”

এই মুক্তি আসলে বৃহত্তর এক যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রথম ধাপ। মধ্যস্থতা করেছে কাতার, মিশর ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
এই চুক্তির আওতায় হামাস কয়েক দফায় বন্দি মুক্তি দেবে, অপরদিকে ইজরায়েল ধীরে ধীরে গাজায় মানবিক সহায়তা বাড়াবে

তবে এই চুক্তি এখনও অস্থায়ী। উভয় পক্ষের মধ্যে সম্পূর্ণ যুদ্ধবিরতি কার্যকর করতে হলে আরও রাজনৈতিক সমঝোতা প্রয়োজন হবে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এই ঘটনাটি মধ্যপ্রাচ্যের কূটনীতিতে এক নতুন দিক নির্দেশ করছে। কারণ, দুই বছর ধরে যে সম্পর্ক সম্পূর্ণ ভেঙে গিয়েছিল, তা পুনরায় আলোচনার পথে ফিরছে।

ইজরায়েলি সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, পাল্টা হিসেবে ইজরায়েল ১,৯০০ জন ফিলিস্তিনি বন্দি মুক্তি দেওয়ার বিষয়ে বিবেচনা করছে। তাদের মধ্যে অনেকে প্রশাসনিকভাবে আটক ছিলেন, কেউ কেউ যুদ্ধবন্দি হিসেবেও চিহ্নিত।

এই সিদ্ধান্ত যদি কার্যকর হয়, তবে এটি গাজা অঞ্চলে নতুন মানবিক ভারসাম্য আনবে। একই সঙ্গে, দীর্ঘদিন ধরে পরিবার হারানো প্যালেস্তিনিয়দের  কাছেও এটি আশার প্রতীক হয়ে উঠবে।

ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বন্দিদের প্রত্যাবর্তনকে “মানবিক বিজয়” বলেছেন। তিনি ঘোষণা করেছেন, “আমরা প্রত্যেক বন্দিকে ফিরিয়ে আনব, জীবিত বা মৃত।”

ইজরায়েল-গাজা যুদ্ধ : গাজা শহরে বড়সড় অভিযানের আগে ৫০ হাজার রিজার্ভ সৈন্যকে ডাকতে পারে ইজরায়েল

আবারও গাজার দরজায় ইজরায়েলি ট্যাঙ্ক, ট্রাম্পের নেতৃত্বে হোয়াইট হাউসে বৈঠক

অন্যদিকে, হামাস মুখপাত্র ওসামা হামদান বলেন, “এই মুক্তি শান্তি প্রতিষ্ঠার অংশ নয়, বরং আমাদের অবস্থানকে দৃঢ় করার প্রতীক।” তিনি আরও যোগ করেন, “যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে কেবল তখনই, যখন গাজায় পূর্ণ অবরোধ প্রত্যাহার হবে।”

এদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (পুনর্নির্বাচনের পর ফের সক্রিয় মধ্যপ্রাচ্য কূটনীতিতে) বলেন, “এই মুক্তি বিশ্বকে নতুন বার্তা দিচ্ছে — শান্তিই একমাত্র পথ।”

বন্দি মুক্তির খবর প্রকাশ হতেই তেল আভিভের স্কয়ারে  উৎসবের পরিবেশ তৈরি হয়। শহরের রাস্তা ভরে যায় পতাকা, স্লোগান ও আলোয়। বহু মানুষ ইজরায়েলি পতাকা হাতে রাস্তায় দাঁড়িয়ে বন্দিদের স্বাগত জানান। অনেকেই বলেন, “এই আনন্দ কেবল আমাদের নয়, সমগ্র মানবতার জয়।”

তবে, এখনও প্রায় ৬০ জন ইজরায়েলি নাগরিক গাজায় বন্দি বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাদের মধ্যে কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে বলেও আশঙ্কা। মুক্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে অনেকে জানিয়েছেন, বেঁচে থাকা সঙ্গীদের অবস্থাও ভয়াবহ।

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলি বলছে, এই মুক্তি মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে বড় পদক্ষেপ হলেও, মূল সমস্যা এখনো সমাধান হয়নি।

আরও পড়ুন :

“মন্ত্রী থাকলে সিনেমা করা যায় না। আমার উপার্জন প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। তাই অভিনয়ে ফিরতে চাই।” : বিজেপি সাংসদ

বিশ্বের সবচেয়ে দামি বার্গার, দাম সাড়ে ১৩ লাখ টাকা!

ad

আরও পড়ুন: