HaveriCase
কর্ণাটক, ২৩ মে ২০২৫ (ক্লাউড টিভি): কর্ণাটকের হাভেরি জেলার একটি নারকীয় গণধর্ষণ মামলায় (HaveriCase) অভিযুক্ত সাত যুবক সম্প্রতি জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। কিন্তু জামিনের পর তাঁদের যে ভাবে ‘বীরোচিত’ভাবে বরণ করে নেওয়া হলো, তা শুধু চমকপ্রদই নয়—নিন্দনীয়ও।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জামিনে ছাড়া পাওয়ার পর ওই সাতজনকে ফুলের মালা পরিয়ে গাড়ির বহরে করে নিয়ে যাওয়া হয়। সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, তাঁরা গাড়ির ছাদ থেকে হাত নাড়ছেন, স্লোগান দিচ্ছেন, এমনকি বিজয় চিহ্ন দেখাচ্ছেন।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সারা দেশে ক্ষোভের আগুন জ্বলছে।
ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হতেই সামাজিক মাধ্যমে “বিচার ব্যবস্থার অবমাননা”, “ধর্ষণের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ব্যর্থতা” ইত্যাদি মন্তব্যে ভরে উঠেছে নেটমাধ্যম। অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন—“এই কি তবে বিচার ব্যবস্থার সাফল্য? নাকি অপরাধীর উল্লাস?”
নারী অধিকার কর্মী ও সমাজকর্মীরা একে দেখছেন ‘সিস্টেমের ব্যর্থতা’ হিসেবে। তাদের মতে, এ ধরনের দৃশ্য অপরাধীদের মানসিকভাবে উৎসাহিত করে, এবং ধর্ষণের মতো ঘৃণ্য অপরাধকেও স্বাভাবিক করে তোলে।
এই ঘটনায় কর্নাটক রাজ্য প্রশাসন বেশ চাপে পড়েছে।
রাজ্য পুলিশ জানিয়েছে, এই ‘বীরোচিত বরণ’ অনুষ্ঠান তারা জানতেন না এবং তারা তদন্ত শুরু করেছে। কোনো আইন লঙ্ঘন হয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে।
বিরোধীরা সরকারকে দায়ী করে বলেছে, “ধর্ষকদের গ্লোরিফাই করা হচ্ছে — এটা প্রমাণ করে যে প্রশাসন ও সমাজ দুটোই কোথাও না কোথাও ব্যর্থ।”
তারা দাবি করেছে, জামিনে মুক্ত আসামিদের কড়া নজরে রাখা হোক এবং নির্যাতিতার পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হোক।
এই ঘটনায় যে বার্তা সমাজে ছড়িয়ে পড়ছে তা উদ্বেগজনক।
এটা শুধু এক মামলার ব্যাপার নয়, এটা সমাজের মূল্যবোধের প্রশ্ন। একদিকে যেখানে ধর্ষণ নিয়ে দেশ জুড়ে আওয়াজ তোলা হচ্ছে, অন্যদিকে জামিনে মুক্ত হওয়া অভিযুক্তদের ‘নায়ক’ বানানো হচ্ছে—এই দ্বিচারিতা সমাজকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন, “বিচার এখনও হয়নি। তাহলে কীভাবে এমন সম্মান?”
তাদের মতে, এমন উদাহরণ অপরাধীদের মনোবল বাড়ায় এবং নারীর প্রতি সহিংসতা থামাতে আরও প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে।
আরও পড়ুন :
বিমানবন্দর প্রস্তুত, তবু আকাশে উড়তে পারছে না স্বপ্ন
ইংল্যান্ড সিরিজের আগে দুঃসংবাদ পেল ভারত, সর্বোচ্চ ৩টি টেস্ট খেলতে পারবেন এই তারকা