Breaking News

হিমাচল প্রদেশ অধ্যক্ষ চেক ভাইরাল

“hundred” শব্দের জায়গায় “Harendra” লেখা। আবার “thousand” শব্দকে তিনি লিখে ফেলেন “Thursday”, স্কুল অধ্যক্ষের ইংরেজি বানানের ভুল চেক ভাইরাল, নেটপাড়ায় হাস্যরসের ঝড়

হিমাচল প্রদেশের এক স্কুল অধ্যক্ষের লেখা চেকে একের পর এক ইংরেজি বানান ভুল ধরা পড়তেই তা ভাইরাল হয়ে যায় সামাজিক মাধ্যমে।

হিমাচল প্রদেশের স্কুল অধ্যক্ষের চেকে ইংরেজি বানানের ভুল, ছবি ভাইরাল

হিমাচল প্রদেশ অধ্যক্ষ চেক ভাইরাল

ক্লাউড টিভি ডেস্ক : ডিজিটাল দুনিয়ায় এক মুহূর্তেই ভাইরাল হতে পারে যেকোনও ছবি বা ভিডিও। সম্প্রতি হিমাচল প্রদেশের এক স্কুলের অধ্যক্ষ সেই ঘটনার প্রকৃষ্ট উদাহরণ হয়ে উঠলেন। তিনি একটি ব্যাংক চেক লেখার সময় এমন সব বানান ভুল করে বসেন, যা দেখে সবাই প্রথমে অবাক হলেও পরে মজার রসিকতায় মেতে ওঠে।

প্রকাশিত খবরে জানা যাচ্ছে, ওই অধ্যক্ষ চেকে অর্থের পরিমাণ সঠিকভাবে সংখ্যায় লিখলেও ইংরেজি শব্দে লেখার ক্ষেত্রে একাধিক ভুল করেন। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ভুল ছিল “hundred” শব্দের জায়গায় “Harendra” লেখা। আবার “thousand” শব্দকে তিনি লিখে ফেলেন “Thursday”। এমনকি “sixty” শব্দের বানানও সঠিক হয়নি।

চেকটি ব্যাঙ্কে জমা দেওয়ার পরই কর্মীরা ভুলগুলো ধরে ফেলেন। নিয়ম অনুযায়ী, বানান ভুল বা অসঙ্গতি থাকলে ব্যাংক চেক গ্রহণ করতে পারে না। ফলে ওই অধ্যক্ষের জমা দেওয়া চেকটি বাতিল করে দেন তারা। পরবর্তীতে তাঁকে নতুন করে সঠিক বানানে আরেকটি চেক জমা দিতে বলা হয়।

‘কাল বনা থা বাংলাদেশ, আজ বনেগা সিন্ধুদেশ’, পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশে এ বার বাংলাদেশের নাম করে উঠল স্বাধীনতার স্লোগান

“ব্রিটিশদের ভয়ে নেতাজি জার্মানিতে পালিয়ে যান”, বাম শাসিত কেরলে চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষকদের হ্যান্ডবুকে ছাপা হয়েছিল এই তথ্য

চেকের ছবি এক ব্যাঙ্ককর্মীর মাধ্যমে ফাঁস হয়ে সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই এটি ভাইরাল হয়ে যায়। নেটিজেনদের অনেকে বিস্মিত হয়ে প্রশ্ন তুলেছেন, একজন অধ্যক্ষ যিনি শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার দায়িত্বে, তিনি নিজে এত বড় বানান ভুল কীভাবে করলেন?

কেউ কেউ আবার ব্যঙ্গ করে লিখেছেন, “যদি প্রিন্সিপালই ইংরেজি লিখতে না জানেন, তাহলে ছাত্রছাত্রীরা কাকে দেখে শিখবে?” আবার অনেকে মন্তব্য করেছেন, “এটাই ডিজিটাল যুগের বাস্তবতা, ভুল হলে তা দ্রুত ভাইরাল হয়।”

ছবিটির সত্যতা তারা স্বাধীনভাবে যাচাই করা যায় নি। অর্থাৎ, এটি নিশ্চিতভাবে ওই স্কুল অধ্যক্ষের লেখা কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েই গেছে। তবুও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবিটি নিয়ে ট্রোলিং ও আলোচনা কমেনি।

এ ঘটনাটি আসলে সমাজে এক গভীর বার্তাও রেখে যাচ্ছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিচালনাকারী ব্যক্তিরা যদি মৌলিক ইংরেজি বানানেই এমন ভুল করেন, তবে শিক্ষাব্যবস্থার মান নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। একদিকে এটি একটি সাধারণ ভুল, কিন্তু অন্যদিকে শিক্ষা ব্যবস্থার নেতৃত্বের মানদণ্ড নিয়েও তা ইঙ্গিত করছে।

নেটিজেনদের প্রতিক্রিয়ায় দেখা যাচ্ছে, অনেকেই এটিকে কৌতুক হিসেবে নিচ্ছেন, আবার অনেকে এটিকে শিক্ষাগত দায়িত্বহীনতা বলেও কটাক্ষ করেছেন। সামাজিক মাধ্যমের যুগে একবার কিছু ভাইরাল হয়ে গেলে তা আর থামানো যায় না। ফলে ছোট একটি ভুলই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে সারা দেশে।

আরও পড়ুন :

গুয়াহাটিতে মহিলা ক্রিকেট বিশ্বকাপ উদ্বোধনে শ্রেয়া ঘোষালের কণ্ঠে জাতীয় সঙ্গীত

জগদ্দলে প্রাক্তন সাংসদ অর্জুন সিং-এর বাড়ির সামনে বোমা ও গুলি চালালো দুষ্কৃতীরা

ad

আরও পড়ুন: