Caste Census Tejashwi Yadav
৩ মে ২০২৫ (ক্লাউড টিভি): ভারতের রাজনীতিতে আবারও জাতিগত জনগণনা ঘিরে উত্তাপ। সদ্য প্রকাশিত জাতি-ভিত্তিক জনগণনার তথ্য নিয়ে এবার মোদী সরকারকে কটাক্ষ করলেন বিহারের প্রাক্তন উপ-মুখ্যমন্ত্রী এবং আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব (Caste Census Tejashwi Yadav)।
এক সংবাদ সম্মেলনে তেজস্বী বলেন, “যে জাতিগত জনগণনা আমাদের সামাজিক ন্যায়ের ভিত্তি হতে পারত, তা কি এখন কেবল ধুলোমাখা ফাইলে আটকে থাকবে?” একইসঙ্গে তিনি দাবি করেন (Caste Census Tejashwi Yadav), এই জনগণনা বাস্তবায়নের মূল কৃতিত্ব তাদের সরকারের এবং বিজেপি বরাবরই এর বিরোধিতা করেছে।
১৪.৯২ গড়ে ৭১ উইকেট—বুমরার মতো বোলার ক্রিকেট দৃশ্য দেখেনি অনেকদিন
বিহার সরকারের উদ্যোগে ২০২৩ সালে জাতি-ভিত্তিক জনগণনা পরিচালিত হয়। এতে প্রকাশ পায় যে, ওবিসি এবং ইবিসি (অত্যন্ত পিছিয়ে পড়া শ্রেণি) মিলিয়ে রাজ্যের মোট জনসংখ্যার ৬৩ শতাংশেরও বেশি। এই তথ্য বিজেপি-বিরোধী দলগুলোর কাছে এক রাজনৈতিক হাতিয়ার হয়ে উঠেছে, যারা দাবি করছে, সামাজিক ন্যায় প্রতিষ্ঠায় এই তথ্য ব্যবহার করে নীতিগত পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।
তেজস্বী (Caste Census Tejashwi Yadav) বলেন, “আমরা এই জনগণনা চালিয়ে প্রমাণ করেছি, সামাজিক ন্যায়ের প্রশ্নে আমরা শুধু কথা বলি না, কাজও করি। বিজেপি শুধু কথা বলে, কিন্তু বাস্তবে তারা জনগণের অধিকার থেকে তাদের বঞ্চিত করে।” তিনি আরও বলেন, “নরেন্দ্র মোদী সরকার এই জাতিগত তথ্য সংগ্রহের বিরুদ্ধে ছিল। এখন প্রশ্ন হচ্ছে—এই তথ্য কীভাবে ব্যবহৃত হবে, নাকি এটা ধূলিধূসরিত ফাইলে বন্দী থাকবে?”
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এই মন্তব্য শুধু বিহারের সীমায় সীমাবদ্ধ নয়, বরং এটি জাতীয় রাজনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা বহন করে। বিশেষ করে ২০২4 লোকসভা নির্বাচনের পরে যখন কেন্দ্রীয় সরকার জাতিগত জনগণনার প্রশ্নে নিরব, তখন বিরোধীরা একে তাদের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দাবিতে রূপান্তর করেছে।
এদিকে বিজেপি পক্ষ থেকে এখনও তেজস্বীর (Caste Census Tejashwi Yadav) এই মন্তব্যের সরাসরি প্রতিক্রিয়া আসেনি। তবে বিজেপি নেতারা বারবার দাবি করে এসেছেন যে, জাতিগত জনগণনা বিভাজন তৈরি করতে পারে এবং এটি দেশব্যাপী সংঘাতের জন্ম দিতে পারে।
তেজস্বী যাদব অবশ্য এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বলেন, “যেখানে জাতির ভিত্তিতে উন্নয়ন হবে, সেখানে বিভাজন নয়, বরং ঐক্য সৃষ্টি হবে। যারা সুযোগ পেয়েছে, তারা আরও পাবে আর যারা চিরকাল বঞ্চিত—তারা শুধু ভোট দেবে? আমরা এই ব্যবস্থার পরিবর্তন চাই।”
বিরোধীরা এখন দাবি তুলছেন, এই তথ্যের ভিত্তিতে সংরক্ষণনীতি ও কেন্দ্রীয় বাজেটের কাঠামো পুনর্বিবেচনা করতে হবে। তেজস্বীর মতে, “সামাজিক ন্যায়ের কথা মুখে বললেই হবে না, তার জন্য বাজেটে বরাদ্দ, চাকরিতে অংশীদারিত্ব এবং শিক্ষায় প্রবেশাধিকারে পরিবর্তন আনতে হবে।”
বহু বিশ্লেষকের মতে, জাতিগত জনগণনার ফলাফল ব্যবহার করে তেজস্বী যাদব জাতীয় স্তরে নিজেকে একটি শক্তিশালী নেতা হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করছেন। তিনি বারবার সামাজিক ন্যায়, সংরক্ষণ, এবং সংবিধানের মূল চেতনা রক্ষার প্রশ্নে নিজেকে প্রাসঙ্গিক করে তুলছেন।
তবে এখন প্রশ্ন হচ্ছে—জাতিগত জনগণনার এই তথ্য কী সত্যিই নীতিনির্ধারণে ব্যবহার হবে, নাকি শুধু রাজনৈতিক বক্তৃতার জ্বালানি হয়েই থেকে যাবে?
#CasteCensus #TejashwiYadav #SocialJustice #BJPvsRJD #ModiGovernment #CastePolitics #ReservationDebate #BiharPolitics #OBCData #CensusForJustice
আরও পড়ুন :
বালুচ বিদ্রোহ: পাকিস্তানের মঙ্গোচের শহর দখলে, গৃহযুদ্ধের আশঙ্কা
“বোলিংয়ের ব্র্যাডম্যান”: বুমরাহর পারফরম্যান্সে মুগ্ধ গিলক্রিস্ট