India opposes US Military-base Afghanistan
ক্লাউড টিভি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: আফগানিস্তানে আবারও বিদেশি সেনা ঘাঁটি স্থাপনের প্রস্তাব ঘিরে আন্তর্জাতিক মহলে নতুন করে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে ভারত, রাশিয়া, চীন, ইরানসহ একাধিক দেশ একযোগে অবস্থান নিয়েছে যে তারা কোনোভাবেই আফগান মাটিতে বিদেশি সামরিক অবকাঠামো স্থাপনকে সমর্থন করবে না।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আফগানিস্তান একটি স্বাধীন দেশ, এবং তার ভূখণ্ডে কোনো বিদেশি সেনা ঘাঁটি স্থাপনের চেষ্টা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতাকে বিপন্ন করবে। নয়াদিল্লির মতে, আফগানিস্তানকে ব্যবহার করে অন্য দেশ যদি সন্ত্রাসবিরোধী নামে রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার করতে চায়, তা সমগ্র দক্ষিণ এশিয়ার নিরাপত্তার জন্য হুমকি।
মস্কোয় অনুষ্ঠিত সাম্প্রতিক এক আঞ্চলিক বৈঠকে রাশিয়া, চীন ও ইরানও ভারতের সঙ্গে একই অবস্থান নেয়।এই দেশগুলো বলেছে, আফগানিস্তানকে কোনো পরাশক্তির সামরিক ঘাঁটি বানানো মানে আবারও সেই দেশকে অস্থিতিশীলতার দিকে ঠেলে দেওয়া।
তাদের মতে, তালিবান সরকারকে বাদ দিয়ে বা পাশ কাটিয়ে কোনো বিদেশি দেশ যদি সেখানে ঘাঁটি স্থাপন করে, তবে তা নতুন সংঘাত ডেকে আনবে।
বিশ্লেষকদের দাবি, আফগানিস্তানের আশপাশে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা নতুন সামরিক উপস্থিতির পরিকল্পনা করছে, বিশেষ করে পাকিস্তান সীমান্তবর্তী অঞ্চলগুলোতে।
উত্তর কোরিয়ার গোপন ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটি: বিশ্ব নিরাপত্তায় নতুন দুশ্চিন্তা
গাজায় ২ হাজার ৭০০ পরিবার নিশ্চিহ্ন, ধ্বংসস্তূপে রূপ নিচ্ছে সমগ্র অঞ্চল
ভারতসহ অন্যান্য দেশ আশঙ্কা করছে, এই পদক্ষেপ চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড প্রকল্প এবং রাশিয়ার মধ্য এশিয়ায় প্রভাবের বিরুদ্ধে ভূরাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া হতে পারে।
ভারত দীর্ঘদিন ধরে আফগানিস্তানে বিনিয়োগ ও উন্নয়নমূলক প্রকল্প চালিয়ে আসছে। তালিবান শাসন প্রতিষ্ঠার পরও ভারত তার কূটনৈতিক সংলাপ বজায় রেখেছে, তবে সামরিক উপস্থিতি থেকে বিরত থেকেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, নয়াদিল্লির এই অবস্থান “সন্তুলিত কূটনীতি”-র নিদর্শন, যেখানে একদিকে পশ্চিমা চাপ সামলানো হচ্ছে, অন্যদিকে ইসলামাবাদ ও বেইজিংয়ের প্রভাবও বিবেচনায় রাখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন :