Breaking News

AfghanRefugees IranDeportation

ইসরায়েলের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে আফগানদের ফেরত পাঠাচ্ছে ইরান: সীমান্তে মানবিক বিপর্যয়

ইরান থেকে প্রতিদিন হাজার হাজার আফগান শরনার্থী ফেরত পাঠানো হচ্ছে, তালিবান শাসিত আফগানিস্তানে চলছে মানবিক বিপর্যয়। সীমান্তে আশ্রয়হীন মানুষের ভিড়ে তৈরি হয়েছে ভয়াবহ সংকট।

AfghanRefugees IranDeportation and Its Impact %%page%% %%sep%% %%sitename%%

AfghanRefugees IranDeportation

ক্লাউড টিভি আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইরান থেকে রেকর্ড সংখ্যক আফগান নাগরিককে ফেরত পাঠানো শুরু করেছে দেশটির সরকার। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে প্রতিদিন গড়ে হাজার হাজার আফগানকে সীমান্ত পার করে আফগানিস্তানে পাঠিয়ে (AfghanRefugees IranDeportation) দেওয়া হচ্ছে। এবার জানা গেছে, কয়েকজন আফগান নাগরিক ইসরায়েলের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি করছে—এই অভিযোগ থেকেই বহিষ্কারের হার হঠাৎ বেড়ে গেছে।

ইরানি নিরাপত্তা সংস্থা দাবি করেছে, আফগানিস্তান থেকে আগত কিছু ব্যক্তিকে তারা সন্দেহজনক কার্যকলাপে জড়িত অবস্থায় আটক করেছে। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের হয়ে তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করছিল।

তালিবান সরকারের অধীনে আফগানিস্তানের অর্থনৈতিক অবস্থা এমনিতেই শোচনীয়। সেই সঙ্গে ফেরত আসা মানুষের ঢল সামাল দিতে না পেরে সীমান্তবর্তী শহরগুলোর অবস্থাও আরও জটিল হয়ে উঠেছে। রাস্তায়, অস্থায়ী তাঁবুতে, এমনকি গাছের নিচেও বাস করছে অনেকে।

ইরানে মোসাদের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে আরও একজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর

অতীতে দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন যেসব রাষ্ট্রপ্রধান

২৫ বছর বয়সী নাসির আহমদ বলছেন, “আমি সাত বছর ধরে ইরানে কাজ করছিলাম, হঠাৎ একদিন পুলিশ ধরে নিয়ে গেল, কিছুই আনতে পারিনি। এখন ফিরেছি খালি হাতে।”
নাসিরের মতো হাজারো আফগান এখন হেরাত প্রদেশের সীমান্ত এলাকায় আশ্রয় নিয়েছেন। খাবার নেই, কাজ নেই, চিকিৎসা নেই। তার পরিবার এখনো ইরানে, কোনো যোগাযোগ নেই।

জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা (UNHCR) ও অন্যান্য এনজিও বলছে, প্রতিদিন গড়ে ৫০০০-৬০০০ আফগানকে ইরান থেকে ফেরত পাঠানো হচ্ছে। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে আগস্টের মধ্যে প্রায় ১০ লাখ আফগান দেশে ফেরত এসেছে। এই সংখ্যা ২০২৪ সালের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ।

তালিবান প্রশাসনও দিশেহারা। এক কর্মকর্তা স্বীকার করেছেন, “আমরা প্রস্তুত ছিলাম না। কোনো অবকাঠামো নেই, নেই পর্যাপ্ত ত্রাণ।” অনেকেই পাসপোর্ট বা জাতীয় পরিচয়পত্র ছাড়াই ফিরছেন, যার ফলে তাদের নাগরিকত্ব ও সুযোগ-সুবিধা পাওয়াও কঠিন হয়ে পড়ছে।

ইরানে থাকা আফগানরা মূলত নির্মাণশ্রমিক, কৃষিকাজের শ্রমিক, দোকানদার বা ছোটখাটো ব্যবসায়ী ছিলেন। কিন্তু ইরানের অর্থনৈতিক সংকট ও সরকারের কড়াকড়িতে এখন তারা অবাঞ্ছিত হয়ে পড়েছেন। ইরান সরকার বলছে, বৈধ কাগজপত্র ছাড়া কাউকে আর থাকতে দেয়া হবে না।

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো এই আচরণকে “মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন” হিসেবে বর্ণনা করছে। আফগানিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতি, বিশেষ করে তালিবান শাসন, নারী-শিশুদের অধিকারহীনতা, ও চরম দারিদ্রের মধ্যে কাউকে এভাবে ফেরত পাঠানো আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী বলেও মন্তব্য করেছে তারা।

অনেকেই বলছেন, আফগানদের এই সংকট আন্তর্জাতিক মনোযোগ পাচ্ছে না। ইউক্রেন, গাজা বা সুদান নিয়ে বিশ্ব যতটা সরব, আফগানিস্তানের মানবিক সংকট নিয়ে ততটা নয়। অথচ এখানে প্রতিদিন হাজারো মানুষ দুর্ভোগের মধ্যে পড়ছেন।

বিশেষজ্ঞদের মতে, যদি অবিলম্বে আন্তর্জাতিক সহায়তা না আসে, তবে আগামী কয়েক মাসে সীমান্ত অঞ্চলে অভুক্ত শিশু, গর্ভবতী নারী ও রোগাক্রান্তদের মৃত্যু অনিবার্য হয়ে উঠতে পারে।

আরও পড়ুন :

শুভমান গিল এখনই পেছনে ফেলেছেন শচীন-কোহলিকে? পরিসংখ্যানে চমকে দিচ্ছে নতুন ‘টেস্ট কাণ্ডারি’

ক্যারিয়ার সেরা র‍্যাঙ্কিংয়ে সিরাজ, আইসিসির টেস্ট র‍্যাঙ্কিংয়ে লাফ একাধিক তারকার

ad

আরও পড়ুন: