IranIsraelConflict
ক্লাউড টিভি ডেস্ক : রয়টার্স এর সূত্র অনুযায়ী, ইরান ঘোষণা করেছে, তারা সেই মুহূর্তে আর কোনও যুদ্ধবিরতি আলোচনা গ্রহণ করবে না যতদিন না তাদের পক্ষ থেকে ইজরায়েলের বিরুদ্ধে প্রতিশোধের (IranIsraelConflict) অভিযান পুরোপুরি শেষ হচ্ছে । ইরানের এই অবস্থান সামনে এসেছে কাতার ও ওমানের মাধ্যমে আসা যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে —তবে তারা পরোক্ষভাবে বলেছে, “যুদ্ধবিরতি তখনই সম্ভব যখন আমরা আমাদের প্রতিশোধ শেষ করেছি” ।
এই ইজরায়েল-ইরান সংঘর্ষের শুরু হয়েছিল গত ১৩ জুন, যখন ইজরায়েল বিমান হামলা চালায় ইরানের পারমাণবিক এবং সামরিক প্রতিষ্ঠানগুলি লক্ষ্য করে । সেই হামলায় নিহত হন ইরানের কিছু শীর্ষ সেনা ও পরমাণু বিজ্ঞানী; বিধ্বস্ত হয় নাতানজ ও ইসফাহানসহ গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক কেন্দ্র । এরই প্রতিক্রিয়ায় ইরান ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালায় তেল আভিভ, হাইফা ও অন্যান্য শহরে, যার ফলে সেখানে কমপক্ষে ১০–১৪ জন মারা যান, আর আহত হন শতাধিক মানুষ। ইরানির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা ডিফেন্স সিস্টেম ভেদ করতে সক্ষম হয়েছে, এবং আরও আক্রমণের প্রস্তুতি নিচ্ছে ।
কাতার ও ওমান—যারা আগে থেকেই মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্র, ইরান ও ইজরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক রাখে—ওরা মধ্যস্থতা করার প্রস্তাব নিয়ে এগিয়ে এসেছিল। তবে রয়টার্স জানিয়েছে, ইরান তা প্রত্যাখ্যান করেছে, এবং যুদ্ধবিরতি শুধুমাত্র “আমাদের প্রতিশোধ শেষ হলে” ।
আন্তর্জাতিক মহলে এবার উত্তেজনা বাড়ছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দেশটাতে সরাসরি হস্তক্ষেপ না করলেও, তিনি জানিয়েছেন যদি মার্কিন নাগরিকরা যদি কোনওভাবে আক্রান্ত হন, তবে তারা যথাযথভাবে প্রতিহত করবে । একই সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও জি-৭ নেতারা যুদ্ধবিরতি ও কূটনৈতিক সমাধানের পক্ষে চাপ দিচ্ছেন ।
ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি—“ইরান হামলা করলে পূর্ণ শক্তিতে প্রতিহিংসা”
Modi Vs Trump: ভারতের নয়া ট্রাম্পকার্ডে ব্যাকফুটে মার্কিন মুলুক
ইরান নিহতদের সম্পর্কে জানিয়েছে যে ইজরায়েলি হামলায় মৃত্যুর সংখ্যা ২২৪–২৪০ মধ্যে, যেখানে অধিকাংশই বেসামরিক নাগরিক। এর পাল্টা, ইজরায়েলি পক্ষ কমপক্ষে ১৪ জনের মৃত্যুর কথা বলেছে, যার মাঝে রয়েছে বাচ্চাও । এখন পরিস্থিতি আশঙ্কাজনক—উভয় পক্ষে হামলার পরিমাণ বৃদ্ধি ও পরবর্তী ক্ষেত্রে কি যা হতে পারে তার আশঙ্কায় সকলেই সতর্ক।
মধ্যপ্রাচ্যের এই সংঘাতের প্রেক্ষাপটে কাতার ও ওমান যুদ্ধবিরতি প্রসঙ্গটি আলোচনায় আনার চেষ্টা করলেও, ইরান তা প্রত্যাখ্যান করেছে। এর ফলে এখনের মতো শান্তি আলোচনার সম্ভাবনা অনেকটাই পিছিয়ে গেলো, আর যুদ্ধ যতটা গাঢ় হচ্ছে, ততটা বিশ্বে অস্থিরতা তৈরি করছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই মুহূর্তে কোন সম্মিলিত শান্তি উদ্যোগে না নামতে পারলে, পরবর্তী পর্যায়ে যুদ্ধ আরও জটিল হয়ে উঠতে পারে। গাজা, সিরিয়া, লেবানন—মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য অস্থির অঞ্চলেও এর পরোক্ষ প্রভাব ইতিমধ্যেই অনুভূত হচ্ছে।
আরও পড়ুন :
আই লিগে খেলবে ডায়মন্ড হারবার, শক্তিশালী দল গড়তে চলছে জোর প্রস্তুতি
স্কুল শিক্ষক, ঝাড়ুদার, বিক্রেতা—বিশ্বকাপে খেলছে এক ‘অসাধারণ’ দল: অকল্যান্ড সিটি এফসি