Breaking News

JacquelineFernandez MoneyLaunderingCase

দিল্লি হাই কোর্টে জ্যাকলিন ফার্নান্দেজের আবেদন খারিজ, ২০০ কোটি মানি লন্ডারিং মামলায় ED র মামলা চলবে

“দিল্লি হাই কোর্টে জ্যাকলিন ফার্নান্দেজের আবেদন খারিজ—₹২০০ কোটি মানি লন্ডারিং মামলায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের মামলা চলবে, এ বিষয়ে 'prima facie' মামলা নেই বলেও মনে হয়নি।”

JacquelineFernandez MoneyLaunderingCase Latest News %%page%% %%sep%% %%sitename%%

JacquelineFernandez MoneyLaunderingCase

ক্লাউড টিভি ডেস্ক: বলিউড অভিনেত্রী জ্যাকলিন ফার্নান্দেজের বিরুদ্ধে চলা ₹২০০ কোটির মানি লন্ডারিং মামলায় বড়সড় আইনি ধাক্কা এল। দিল্লি হাই কোর্ট তার সেই আবেদন (JacquelineFernandez MoneyLaunderingCase) খারিজ করে দিয়েছে, যেখানে তিনি এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)–এর দায়ের করা এফআইআর বাতিলের আবেদন জানিয়েছিলেন। মামলার মূল আসামী হলেন কুখ্যাত প্রতারক সুকেশ চন্দ্রশেখর।

দিল্লি হাই কোর্টের বিচারপতি প্রণব শুক্লার বেঞ্চ স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, এই মামলায় ‘প্রাইমা ফেসি’ (prima facie) অর্থাৎ আপাতদৃষ্টিতে অভিযোগের যথেষ্ট ভিত্তি রয়েছে। তাই মামলার শুনানি চলবে এবং জ্যাকলিনের বিরুদ্ধে চার্জশিট বজায় থাকবে।

ব্যাজ্জিওর ‘ঐতিহাসিক ১০ নম্বর’ জার্সি পেয়ে আপ্লুত মেসি, বললেন “এটা জীবনের অমূল্য স্মৃতি”

বিশ্বকাপ জিতে মেসিরা যে অর্থ পেয়েছে, ক্লাব বিশ্বকাপ জয়ীরা তার তিনগুণ পাবে

২০১৮-২০২০ সালের মধ্যে জালিয়াতি ও প্রতারণার মাধ্যমে সুকেশ চন্দ্রশেখর প্রায় ₹২০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন বলে অভিযোগ। তদন্তে উঠে আসে, এই অর্থের একাংশ দিয়ে জ্যাকলিন ফার্নান্দেজকে দামি উপহার দেওয়া হয়। এর মধ্যে ছিল:

  • একটি ঘোড়া যার দাম প্রায় ₹৫২ লাখ

  • একটি পার্সিয়ান বিড়াল (মূল্য ₹৯ লাখ)

  • হিরের গয়না, ডিজাইনার ব্যাগ, পোশাক ও অন্যান্য মূল্যবান জিনিসপত্র

ED-এর দাবি, এই উপহারগুলো সুকেশ অপরাধমূলক উপায়ে অর্জিত অর্থ থেকেই দিয়েছেন। আর এই অর্থ জ্যাকলিন জেনেবুঝেই গ্রহণ করেছেন—এই কারণে তিনি মামলায় অভিযুক্ত।

জ্যাকলিনের পক্ষে যুক্তি দেওয়া হয় যে,

  • তিনি সুকেশ চন্দ্রশেখরের অতীত সম্পর্কে অবগত ছিলেন না।

  • উপহার গ্রহণের সময় তিনি জানতেন না যে এগুলি অপরাধমূলক অর্থ থেকে এসেছে।

  • তার বিরুদ্ধে সরাসরি কোনও অপরাধের প্রমাণ নেই, তাই এই মামলায় তার নাম থাকা উচিত নয়।

তবে আদালত এই যুক্তিগুলি প্রত্যাখ্যান করে জানায়, “এই পর্যায়ে প্রমাণ যাচাইয়ের সময় নয়। চার্জশিটে ‘প্রাইমা ফেসি’ মামলা স্পষ্ট, তাই তদন্ত চলবে।”

ED আদালতে জানায়—

  • জ্যাকলিন শুধু উপহার গ্রহণ করেননি, বরং তিনি সুকেশের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখেছেন।

  • উপহার গ্রহণের পরও তিনি সম্পর্ক বজায় রেখেছেন, যা তার জ্ঞাতসারে হয়ে থাকতে পারে।

  • এই মামলায় তার ভূমিকা “উপভোক্তা” বা Beneficiary হিসাবে ধরা হচ্ছে।

ED আরও জানায়, এটি শুধু অর্থ লেনদেনের বিষয় নয়, বরং এর মধ্যে Hawala, shell companies ও বিদেশি সংস্থার ব্যবহার রয়েছে।

হাই কোর্টের এই রায়ের ফলে এখন ED-এর চার্জশিটের ভিত্তিতে মামলা চলবে এবং জ্যাকলিনকে আদালতে হাজিরা দিতে হবে। যদি প্রমাণ মেলে, তাহলে তার বিরুদ্ধে অভিযুক্ত হিসেবে বিচার প্রক্রিয়া শুরু হবে।

জ্যাকলিনের আইনজীবী জানিয়েছেন, তারা সুপ্রিম কোর্টে এই রায়ের বিরুদ্ধে আবেদন জানাতে পারেন।

এই মামলা শুধু তার আইনি দুরবস্থাই নয়, বলিউডে তার পেশাগত জীবনেও প্রভাব ফেলেছে। বেশ কিছু ছবি থেকে বাদ পড়েছেন তিনি। তবে এখনও ‘ফিল্ডে’ রয়েছেন, ওটিটি প্ল্যাটফর্মেও তার কিছু কাজ রয়েছে।

এই মামলা শুধু এক বলিউড অভিনেত্রীর বিপদ নয়, বরং প্রশ্ন তোলে সেলিব্রিটি ও অপরাধ জগতের সম্পর্ক নিয়ে। আদালতের রায় দেখিয়ে দিল, জনপ্রিয়তা বা পেশা আইনের ঊর্ধ্বে নয়। আগামী দিনে এই মামলার প্রতিটি ধাপ নিয়ে নজর থাকবে মিডিয়া ও জনসাধারণের।

আরও পড়ুন :

‘হার্ডঅয়্যার ভাল ছিল, সফটয়্যার খারাপ’ : শেফালী জরিওয়ালার মৃত্যু নিয়ে বিতর্কে বাবা রামদেব, সোশ্যাল মিডিয়ায় তীব্র প্রতিক্রিয়া

বিয়ের ১০ দিনের মধ্যে অকাল প্রয়াণে স্তব্ধ লিভারপুল ও পর্তুগাল ফুটবল মহল

ad

আরও পড়ুন: