Breaking News

Jaipur school girl death mystery

জয়পুরের বেসরকারি স্কুলে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী চতুর্থ তলা থেকে পড়ে মৃত্যু। রক্তের দাগ না থাকায় রহস্য গভীর

শিক্ষাবিদেরা বলছেন, শিশুদের নিরাপত্তা মানেই শুধু সিসিটিভি নয়। বরং শিক্ষক-ছাত্র সম্পর্ক, কাউন্সেলিং এবং মনিটরিং দরকার।

জয়পুরের স্কুলে ছাত্রীর রহস্যজনক মৃত্যু: রক্তের দাগ নেই, পরিবারে ক্ষোভ

Jaipur school girl death mystery

ক্লাউড টিভি ডেস্ক : রাজস্থানের জয়পুরে মনসারোয়ার এলাকার নামী বেসরকারি স্কুল Neerja Modi School-এর চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রী চারতলা থেকে পড়ে মৃত্যুবরণ করেছে। শনিবার দুপুরে এই শোকাবহ ঘটনা ঘটে। শিশুটির নাম আমাইরা। বয়স মাত্র ৯।

ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, মেয়েটি চতুর্থ তলার রেলিং ধরে ওঠে। তারপর হঠাৎ করে নিচে ঝাঁপ দেয়। ফলে সে গুরুতর জখম হয় এবং হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর তার মৃত্যু হয়। এরপরই স্কুল প্রশাসন এবং নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।

তবে সবচেয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য হল — ঘটনাস্থলে রক্তের দাগ পাওয়া যায়নি। পরিবার দাবি করেছে, রক্ত মুছে দেওয়া হয়েছে। তাই সন্দেহ আরও বেড়েছে।

ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, মেয়েটি রেলিং ধরে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়েছিল। তারপর সে নিচে ঝাঁপ দেয়। এছাড়া আশপাশে থাকা কয়েকজন ছাত্রছাত্রী স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করছিল। ফলে কেউ বুঝতেই পারেনি, কী হতে চলেছে।

পুলিশ জানিয়েছে, “প্রাথমিকভাবে এটি আত্মহত্যা মনে হলেও তদন্ত চলছে।” তবে কেন এই বয়সী শিশু এমন সিদ্ধান্ত নেবে, সেই প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।

অন্যদিকে পরিবার বলছে, তাদের মেয়ের মনোভাব কখনও এ রকম ছিল না। তাই তারা স্কুলের বিরুদ্ধে অবহেলা এবং প্রমাণ নষ্টের অভিযোগ তুলেছেন।

পুলিশ ইতিমধ্যে সিসিটিভি ফুটেজ বাজেয়াপ্ত করেছে। পাশাপাশি শিক্ষকদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এছাড়া পরিবারের অভিযোগ বিবেচনা করে স্কুলের করিডর এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

তবে প্রশ্ন উঠেছে, নিরাপত্তা কর্মী বা শিক্ষকরা কি বিষয়টি লক্ষ্য করেননি? যেহেতু স্কুল সময়েই ঘটনা ঘটে, তাই তদারকির অভাবের অভিযোগ উঠেছে তীব্রভাবে।

শিক্ষা দপ্তরও বিষয়টিকে অত্যন্ত গম্ভীর ভাবে নিয়েছে। তাই স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। ফলে আগামী দিনে বড় প্রশাসনিক পদক্ষেপ দেখা যেতে পারে।

আমাইরা ছিল পরিবারের একমাত্র সন্তান। মা একজন ব্যাংক কর্মী এবং বাবা একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করেন। তারা ভেঙে পড়েছেন। তাই তাদের দাবি — “এটি দুর্ঘটনা নয়। আমাদের মেয়ে কখনো এমন করত না।”

চীনে স্কুলের পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা শিক্ষা

“ফিরিয়ে আনবে ‘জঙ্গল রাজ’?” : শাহাবুদ্দিনের ছেলেকে RJD বিধানভার টিকিট দেওয়ায় দাবী BJP র

পরিবারের মতে, ঘটনার পরে স্কুল দ্রুত জায়গাটি পরিষ্কার করেছে। তাই সত্য গোপনের চেষ্টাও থাকতে পারে।
ফলে তদন্ত আরও গভীর হবে, বলছেন পুলিশ অফিসাররা।

স্থানীয় বাসিন্দাদের প্রশ্ন — একটি প্রিমিয়ার স্কুলেও যদি নিরাপত্তা ব্যর্থ হয়, তাহলে বাকি স্কুলগুলোর অবস্থা কী?
তাই অনেক অভিভাবক ক্ষুব্ধ হয়েছেন। ফলে তারা নিরাপত্তা নীতিমালার পুনর্মূল্যায়ন চান।

গণমাধ্যমে বিষয়টি ভাইরাল হওয়ার পর রাজস্থানে শিশুর মানসিক স্বাস্থ্য ও স্কুল নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনাও শুরু হয়েছে। যদিও অনেকেই মনে করছেন, শিশুদের মানসিক চাপ, পড়াশোনার চাপ ও সামাজিক প্রতিযোগিতা শিশুদের উপর প্রভাব ফেলছে।

স্কুল বলছে, “আমরা তদন্তে পূর্ণ সহযোগিতা করব।” তবে তারা এখনই কোনো মন্তব্য করতে রাজি নয়।
তবে, শিক্ষাবিদেরা বলছেন, শিশুদের নিরাপত্তা মানেই শুধু সিসিটিভি নয়। বরং শিক্ষক-ছাত্র সম্পর্ক, কাউন্সেলিং এবং মনিটরিং দরকার।

এই দিকগুলো অবহেলিত হলে এমন ঘটনা আবারও ঘটতে পারে। তাই পরিবার, শিক্ষক ও প্রশাসনকে মিলেই দায়িত্ব নিতে হবে।

এই মৃত্যু কোনো সাধারণ দুর্ঘটনা নয়। বরং এটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিরাপত্তা, শিশুদের মানসিক অবস্থা ও প্রশাসনিক জবাবদিহির ওপর বড় প্রশ্ন তুলে দিল। এখন তদন্তের ফলাফলের অপেক্ষা।

তবে একটি নিষ্পাপ শিশুর হারানো জীবন আর ফিরে আসবে না।
সামাজিকভাবে এখন প্রয়োজন সচেতনতা, সহানুভূতি ও জোরালো নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

আরও পড়ুন :

লন্ডনে ট্রেনের মধ্যে ছুরি নিয়ে হামলা : ঘটনাস্থলেই গ্রেফতার, সন্ত্রাসবাদ নয় বলে জানিয়েছে পুলিশ

বেঙ্গালুরুতে সিগন্যাল ভেঙে অ্যাম্বুলেন্সের ধাক্কা, স্কুটারে থাকা দম্পতির করুণ মৃত্যু

ad

আরও পড়ুন: