Breaking News

Jemimah Rodrigues Brand Value

মেয়েদের বিশ্বকাপ জয়ের পর বিজ্ঞাপনের ধুম! জেমিমা রোড্রিগেস এখন ব্র্যান্ড কুইন

মহিলা ওডিআই বিশ্বকাপে সাফল্যের পর জেমিমাহ রদ্রিগেস-সহ ভারতের মহিলা ক্রিকেটারদের ব্র্যান্ড ভ্যালু ক্রমশ ঊর্ধ্বগামী। ক্রীড়াজগতের সফলির পিছনে এখন বড় ব্যবসায়িক সম্ভাবনা।

Jemimah Rodrigues Brand Value : বিশ্বকাপ জয় নিয়েছে বিপণন দুনিয়া

Jemimah Rodrigues Brand Value

ক্লাউড টিভি স্পোর্টস ডেস্ক : ২০২৫ সালের মহিলা ওডিআই বিশ্বকাপে সাফল্যের পর ভারতীয় মহিলা ক্রিকেটারদের ব্র্যান্ড ভ্যালু গগনচুম্বী। বিশেষ করে Jemimah Rodrigues-এর এন্ডরসমেন্ট ফি প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে।

২০২৫ সালের মহিলা ওডিআই বিশ্বকাপে ভারতীয় মহিলা দল সাফল্য অর্জন করেছে। এই জয় ক্রিকেটের মাঠেই সীমাবদ্ধ হয়নি। বিপণন ও ব্র্যান্ডিং দুনিয়ায় নতুন দিগন্ত খুলেছে।শুধু পারফরম্যান্স নয়, তার পরে সামাজিক মাধ্যম, অনুসারীর সংখ্যা ও ব্র্যান্ডের আগ্রহও বাড়েছে। বিশেষ করে Jemimah Rodrigues-এর ব্র্যান্ড ভ্যালু সবচেয়ে দ্রুত বাড়েছে।

একাধিক ব্র্যান্ডে এখন তাকে দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। বর্তমান পরিসংখ্যান অনুযায়ী, তাঁর এন্ডরসমেন্ট ফি এখন ৭৫ লক্ষ থেকে ১.৫ কোটি পর্যন্ত বলা হচ্ছে। আগের  তুলনায় এটি প্রায় ১০০ % বেড়ে  গেছে — অর্থাৎ দ্বিগুণ।

এই পরিবর্তনের পেছনে মূল ভূমিকা নিয়েছে তাঁর সেমিফাইনালে অবিশ্বাস্য ইনিংস। তিনি অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সেমিফাইনালে অপরাজিত ১২৭* করে দেশ কে ফাইনালে তুলেছিলেন।সেই ইনিংসের পর ব্র্যান্ড এজেন্সিগুলো তাঁর দিকে সক্রিয়ভাবে নজর দিয়েছে।

ব্র্যান্ডিং অ্যানালিস্টদের মতে, এই সাফল্য শুধু এক টুর্নামেন্টের ফলশ্রুতি নয়। এটি একটি কাঠামোগত পরিবর্তন নির্দেশ করছে। অনেক ব্র্যান্ড ইতিমধ্যে মহিলা ক্রিকেটারদের সঙ্গে চুক্তি বাড়াচ্ছে বা নতুন চুক্তি করছে। উদাহরণস্বরূপ, Smriti Mandhana প্রতি ব্র্যান্ড চুক্তিতে সাধারণত ১.৫ কোটি থেকে ২ কোটি চার্জ করছেন। 
আর অন্য তারকারাও (যেমন Harmanpreet Kaur, Deepti Sharma) দ্রুত এই বাজারের সুযোগ কাড়ছেন।

এখন প্রশ্ন উঠছে— এই বাড়তি সুযোগ ধরে রাখতে পারবে কি না? বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, এখন নিয়মিত পারফরম্যান্স, সামাজিক মাধ্যম চালু রাখা ও ব্র্যান্ডের সঙ্গে স্টোরিলাইন তৈরি করা জরুরি।সাধারণ ব্র্যান্ড থেকে শুরু করে লাইফস্টাইল, ওয়েলনেস, প্রযুক্তি— নানা ক্যাটাগরিতে মহিলা ক্রিকেটারদের চুক্তি বাড়ছে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁদের অনুসারীর সংখ্যা দ্রুত বেড়েছে। কিছু ক্ষেত্রে দ্বিগুণ বা তিনগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এই সামাজিক প্রভাব ব্র্যান্ডের কাছে বড় মূল্যবান বিষয় হয়ে উঠেছে।

পুমার সঙ্গে পথচলা শেষ, এবার নিজের ব্র্যান্ড ‘ওয়ান৮’ নিয়ে নতুন মিশনে বিরাট কোহলি

বিরাট, শচীনদের বিজ্ঞাপনী আয় শুনলে চমকে যাবেন! বছরে কত কোটি জানেন?

তবে প্রতিযোগিতার দিক থেকেও এখন দায়িত্ব বাড়ছে। পুরনো ভাবনায় ব্র্যান্ড চুক্তিতে  কেবল উপস্থিত থাকলেই চলত। এখন অভিনয়, ব্যক্তিত্ব, সামাজিক ক্ষেত্রে অঙ্গীভূত থাকা এই ধরনের  চাহিদা বাড়ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, “এই মুহূর্তে গ্রহণযোগ্যতা ধরে রাখা সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।” মহিলা ক্রিকেটকে শুধু খেলোয়াড়দের মাঠ-ক্ষমতা হিসেবে দেখার দিন প্রায় শেষ। এখন এটি একটি পূর্ণাঙ্গ ব্র্যান্ডিং প্ল্যাটফর্ম। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো ইতিমধ্যেই মনোযোগী হয়ে উঠেছে।

এই সুযোগ যুব ক্রিকেটার এবং তাদের প্রতিনিধিত্বকারী সংস্থার জন্য নতুন অনুপ্রেরণা। এখন তারা জানতে পারছে, আন্তর্জাতিক সাফল্যের পর বিপণন-মূল্য কেমন হতে পারে। এতে ক্রিকেটারদের আয় বৃদ্ধি পাবে, পাশাপাশি মগিলা খেলোয়াড়দের বাজারও বড় হবে। তবে একটি কথা পরিষ্কার— শুধু একবারের সাফল্যে এই সুযোগ থাকবে না। ধারাবাহিকতা, নৈতিকতা, মিডিয়া-সাপোর্ট ও ব্র্যান্ডের সঙ্গে মানসিক যোগাযোগ ভালো রাখতে হবে।এটা বুঝতে পেরে অনেক ক্রিকেটার ইতিমধ্যেই সামাজিক মিডিয়া কনটেন্ট, ব্যক্তিগত ব্র্যান্ডিং ও সমাজসেবামূলক কার্যক্রম বাড়িয়ে চলেছেন।

এই ঘটনার সামাজিক ও অর্থনৈতিক প্রভাবও রয়েছে। মহিলা  খেলাধুলা  ও  ক্রিকেটারদের জনপ্রিয়তা বাড়ার সঙ্গে-সঙ্গে সামাজিক মনোভাবেও পরিবর্তন আসছে। যে খেলা বহুদিন ছিল অতুলনীয়, এখন সেটি বিজ্ঞাপনের বিজ্ঞপ্তিতেও জায়গা করছে।

সংক্ষেপে বলতে গেলে— জেমিমাহ রদ্রিগেস শুধু তার ব্যাটিং দিয়ে নয়, এবার সে ব্র্যান্ডিং-দুনিয়ায়ও এগিয়ে চলেছে। এই পরিবর্তন ভারতীয় মহিলা ক্রিকেটারদের জন্য এক নতুন অধ্যায় নির্দেশ করছে।

আরও পড়ুন :

নিউইয়র্কে ইতিহাস গড়লেন জোহারান মামদানি, ভারতীয় বংশোদ্ভূত মুসলিম প্রথম মেয়র

সমুদ্রের নিচ থেকে অস্ত্র ছুঁড়ে পুরো উপকূলকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করে দিতে পারে, রাশিয়ার “ডুমসডে সাব” নিয়ে চিন্তায় ন্যাটো

ad

আরও পড়ুন: