JungleRaj RJD BJP Accusation
							ক্লাউড টিভি ডেস্ক: বিহার রাজ্যের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের প্রেক্ষাপটে রাজনৈতিক উত্তেজনা নতুন মাত্রায় পৌঁছেছে। বিজেপি দেশের ক্ষমতাসীন দল হিসেবে এবার তাত্ক্ষণিকভাবে পালটা স্ট্র্যাটেজি নিয়েছে — তারা RJD-কে উদ্দেশ্য করে অভিযোগ তুলেছে যে, পুরনো সময়ে যে ‘জঙ্গল রাজ’ অর্থাৎ আইন-শৃঙ্খলা ভঙ্গ, অপব্যবস্থা ও দুঃশাসনের ধরণ ছিল, সেটি আবার ফিরিয়ে আনার পরিকল্পনায় রয়েছে এই দল। বিশেষ করে, RJD-র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে প্রাক্তন গ্যাংস্টার-রাজনীতিবিদ Mohammad Shahabuddin-এর পুত্র Osama Shahab-কে, যেন সেই ভয়াভহ কাল পুনরুজ্জীবিত হওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে দাবি করেছেন বিজেপি নেতা।
বিজেপি-র রোষ শুধু ওই মনোনয়নকে কেন্দ্র করে সীমাবদ্ধ নয়; তারা বলছে, এই মনোনয়ন এমন এক সময়ে এসেছে যখন রাজ্যে উন্নয়ন ও স্থিতিশীলতায় জোর দেওয়া হচ্ছে। অন্যদিকে, RJD-এর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে—তিনি বলছেন, “আপনি উন্নয়ন চান কিনা, না ‘জঙ্গল রাজ’র ফিরে আসা?” এমন প্রশ্ন উঠেছে বিজেপি-র তরফ থেকে।
RJD-এর হয়ে শাহাবউদ্দিন-এর পুত্রের মনোনয়ন একটি রাজনৈতিক ও প্রতীকী সিদ্ধান্ত হয়ে দাঁড়িয়েছ। কারণ শাহাবউদ্দিনের সময়কালে একাধিক আইন-শৃঙ্খলা সমস্যার দিকে ইঙ্গিত করা হয়েছিল। তাই বিজেপি-র দাবি—এই মনোনয়ন দ্বারা তারা রাজনৈতিক মেসেজ দিচ্ছে যে RJD পুরনো সিস্টেম ফিরে আনতে আগ্রহী। ফলে ভোটের প্রচারণায় এই বিষয়কে বেশ গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।
তথ্য বলছে, ‘জঙ্গল রাজ’ শব্দটি বিহারে ১৯৯০ থেকে ২০০৫ সালের মধ্যে RJD শাসনের সময়কালে ব্যবহৃত হয়েছিল, যেখানে আইন-শৃঙ্খলা ভঙ্গ, দখল-দুর্নীতি ও প্রশাসনিক দুর্বলতা নিয়ে একাধিক অভিযোগ ওঠেছিল। 
বিজেপি-র জন্য এই স্মরণ ঘুরিয়ে দেওয়া একটি শক্তিশালী প্রচারণার হাতিয়ার। তারা দাবি করছে—উন্নয়ন ও পরিবর্তনের জায়গায় আবার দোষারোপমূলক ও অপশাসনের সময় ফিরে আসার পেছনে RJD কাজ করছে।
তবে RJD এই দাবিগুলিকে সরাসরি অস্বীকার করেছে বা এখনো বড়ভাবে প্রতিক্রিয়া না দিলেও তারা বলছে, তাদের প্রতিশ্রুতি উন্নয়ন, সামাজিক ন্যায় ও কর্মসংস্থান বাস্তবায়ন নিয়ে। তাদের মতে, বিজেপি ‘জঙ্গল রাজ’ শব্দ ব্যবহার করে ভোটারের মনস্তত্বকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এই ধরনের অভিযুক্তি-প্রচারণা শুধুমাত্র বিষয়ভিত্তিক নয় বরং ব্যস্ত সময়ের সভ্যতা, সামাজিক নিরাপত্তা ও জ্ঞাতভিত্তিক ভোটার আচরণকে লক্ষ্য করে।
বিহারে আগামী দিনে দুটি দফায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে এবং ফলাফল ঘোষণা করা হবে দ্রুত। এমন সময় এই ধরণের বিষয় ভোট-প্রচারণার মূল বিষয় হয়ে ওঠে। বিজেপি বলছে—ভোটাররা শুধু উন্নয়ন দেখছে না, তারা ভাবছে আইন-শৃঙ্খলা, নিরাপত্তা ও সুশাসনের বিষয়ও। RJD-এর প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে এই বিষয়কে ঘিরে তাদের প্রচারণা চালাচ্ছে।
বঙ্গজয়ে বিজেপির ভরসা সেই হিন্দুত্ব-মমতা বিরোধিতায়, ২৬ এ চিড়ে ভিজবে?
ভোটারদের মধ্যে একাংশের মনোভাব দেখা যাচ্ছে—“আগে আমরা হয়তো ‘জঙ্গল রাজ’ শুনেছি, এবার পরিবর্তন চাই।” অন্যদিকে আরেকাংশ বলছেন—“ভাবনা শুধু পুরনো দৃষ্টান্ত নিয়ে নয়, আগামী উন্নয়ন, অধিকার ও সুযোগ নিয়ে।” ফলে রাজনৈতিক লড়াই শুধু একাধিক দলীয় দ্বন্দ্ব নয়, এটি ভাবধারাগত লড়াইয়ের রূপ নিতে পারে।
এই বিতর্ক শুধু রাজনৈতিক মঞ্চেই সীমাবদ্ধ নয়; সামাজিক নিরাপত্তা, আইন-শৃঙ্খলা এবং জনভিত্তিক উন্নয়ন-চিন্তার দৃষ্টিকোণ থেকেও এটি গুরুত্বপূর্ণ। যদি ভোটাররা মনে করে আইন-শৃঙ্খলা বিপন্ন হবে, তাহলে ভোটার প্রতিক্রিয়া পরিবর্তিত হতে পারে। আর যদি তারা ভাবতে শুরু করে—কোন দল তাদের অধিকার ও নিরাপত্তা রক্ষায় সক্রিয়, তাহলে ভোট-লাভের ছবিও বদলে যেতে পারে।
আরও পড়ুন :
“ভোটার জালিয়াতি ইস্যুতে সাম্প্রদায়িক রঙ!” : তৃণমূলকে তীব্র আক্রমণ BJP-র শেহজাদের
শাহরুখ খানের জন্মদিনে আগাম শুভেচ্ছা মণীষ মালহোত্রার : “আজও সবচেয়ে স্টাইলিশ, সবচেয়ে ফিট কিং!”