Leptospirosis HealthAlert
ক্লাউড টিভি ডেস্ক: জলপাইগুড়ি জেলার রাজগঞ্জ ব্লকের সন্ন্যাসীকাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের চেকরমারি গ্রাম-সহ মোট ৮টি গ্রামে হঠাৎ করেই বেড়ে চলেছে ইঁদুরবাহিত রোগ লেপ্টোস্পাইরার সংক্রমণ। গত কয়েকদিনে অন্তত ১৫ জন এই রোগে আক্রান্ত বলে স্বাস্থ্য দপ্তরের সূত্রে জানা গেছে। পাশাপাশি কয়েকজনের মধ্যে স্ক্রাব টাইফাসের সংক্রমণও ধরা পড়েছে। এই পরিস্থিতিতে এলাকায় উদ্বেগ ছড়ালেও স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ পরিস্থিতি সামাল দিতে উদ্যোগী হয়েছে।
কী এই লেপ্টোস্পাইরা?
বিশেষজ্ঞদের মতে, লেপ্টোস্পাইরা একটি ব্যাকটেরিয়াজনিত সংক্রমণ, যা মূলত ইঁদুরের মূত্রের মাধ্যমে ছড়ায়। মাটি বা জল যদি ওই মূত্রে দূষিত হয় এবং তা খোলা ক্ষত বা শ্লেষ্মা ঝিল্লির সংস্পর্শে আসে, তাহলে মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হতে পারে। সাধারণত গ্রামীণ বা কৃষিভিত্তিক এলাকায় এর সংক্রমণ দেখা যায়, তবে একসঙ্গে এতজন আক্রান্তের ঘটনা বিরল।
রাজগঞ্জ গ্রামীণ হাসপাতালের সিএমওএইচ ডা. অসীম হালদার জানান, চেকরমারি গ্রামে আড়াই লক্ষ মুরগির একটি বড় পোল্ট্রি ফার্ম রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে ওই ফার্মে জমে থাকা মুরগির বিষ্ঠা পাহাড়সম আকার ধারণ করেছে। এই পরিবেশে প্রচুর ইঁদুরের উপদ্রব বেড়েছে। তার মূত্র থেকেই লেপ্টোস্পাইরা ও স্ক্রাব টাইফাস ছড়ানোর আশঙ্কা রয়েছে।
জনসংখ্যা সংকটে দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনীর সদস্য সংখ্যা ৬ বছরে ২০% কমেছে
ডা. হালদার জানান, “আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। সরকারি হাসপাতালে এই রোগের চিকিৎসা হয় এবং রোগীরা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে যেতে পারেন।” তবে তিনি গ্রামবাসীদের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা, ইঁদুর দমন, দূষিত জলের সংস্পর্শ এড়ানো এবং প্রয়োজনে দ্রুত স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যোগাযোগ করার পরামর্শ দিয়েছেন।
এলাকায় বিশেষ মেডিক্যাল টিম পাঠানো হয়েছে। আক্রান্তদের চিকিৎসা চলছে এবং আশেপাশের গ্রামে সচেতনতামূলক প্রচার শুরু হয়েছে। স্বাস্থ্যকর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে উপসর্গ পরীক্ষা করছেন এবং প্রয়োজনীয় ওষুধ সরবরাহ করছেন।
আরও পড়ুন :
ভারতের এশিয়া কাপ দল থেকে শুভমান গিলসহ তিন তারকা বাদ