Breaking News

Macron Brigitte Gender Rumour

স্ত্রীর নারীত্ব প্রমাণে মরীয়া ফরাসি প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ, হলেন আদালতের দ্বারস্থ

ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ আদালতে স্ত্রী ব্রিজিতকে নারী প্রমাণে বৈজ্ঞানিক প্রমাণ দাখিল করতে যাচ্ছেন। মার্কিন ইনফ্লুয়েন্সারের গুজবে অস্বস্তিতে দম্পতি।

স্ত্রীকে নারী প্রমাণে আদালতে দৌড়ঝাঁপ ফরাসি প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ

Macron Brigitte Gender Rumour

ক্লাউড টিভি ডেস্ক : ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ এবং তার স্ত্রী ব্রিজিত প্রায় দেড় দশক ধরে সংসার করছেন। তবুও সম্প্রতি এক চাঞ্চল্যকর গুজব তাদের সংসারে অস্বস্তি তৈরি করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে এখন ব্রিজিতকে নারী প্রমাণ করতে দৌড়ঝাঁপ করছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট নিজেই।

বিতর্কের সূত্রপাত হয় যখন মার্কিন ডানপন্থি ইনফ্লুয়েন্সার ক্যানডেস ওয়েন্স দাবি করেন, ব্রিজিত ম্যাক্রোঁ পুরুষ হিসেবে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। এই বক্তব্য দ্রুত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর তা আন্তর্জাতিক রাজনীতিতেও আলোচনার বিষয় হয়ে ওঠে। ফলে ব্যক্তিগত গোপনীয়তা নিয়ে এক অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে পড়েন ফরাসি প্রেসিডেন্ট দম্পতি।

প্লেন থেকে নামার আগেই স্ত্রীর ‘চড়’! ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ বিতর্কের কেন্দ্রে

“বড় হুমকির মুখে ইউরোপ”—সতর্ক করলেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ

ওয়েন্সের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছেন ইমানুয়েল ও ব্রিজিত ম্যাক্রোঁ। মামলায় তাদের পক্ষে আইনজীবী টম ক্লেয়ার জানান, এমন দাবি শুধুই ভিত্তিহীন নয়, বরং গভীরভাবে আঘাত করেছে ব্রিজিতকে। তিনি বলেন, একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হলেও পরিবারকে নিয়ে এ ধরনের আক্রমণ অত্যন্ত কষ্টদায়ক।

তবে এবার সত্য প্রমাণে তারা আদালতে বৈজ্ঞানিক প্রমাণ ও ব্যক্তিগত ছবি উপস্থাপন করতে যাচ্ছেন। আইনজীবীর দাবি, এই প্রমাণগুলো যথেষ্ট শক্তিশালী এবং মিথ্যা প্রচারণার জবাব দেবে।

প্রশ্ন উঠছে, আদালতে কী ধরণের প্রমাণ দেওয়া হবে? এ বিষয়ে ক্লেয়ার আপাতত বিস্তারিত জানাননি। যদিও তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন, প্রয়োজন হলে ব্রিজিতের গর্ভাবস্থার ছবি, সন্তানদের বড় করার মুহূর্ত কিংবা অন্য পারিবারিক দলিল আদালতে উপস্থাপন করা হতে পারে।

অন্যদিকে, ব্রিজিত নিজেও প্রস্তুত আছেন। তিনি বিবিসির এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “সত্য প্রমাণে যদি ব্যক্তিগত কিছু দিতে হয়, আমি দেব।” এভাবেই ব্যক্তিগত মর্যাদা রক্ষায় এগিয়ে আসছেন ফ্রান্সের ফার্স্ট লেডি।

এই গুজব শুধু ম্যাক্রোঁ দম্পতিকে নয়, বরং ফরাসি রাজনৈতিক মহলকেও আলোড়িত করেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা কটূক্তি ছড়াতে শুরু করে। তবে ফ্রান্সের সাধারণ মানুষ অনেকেই ব্রিজিতের পাশে দাঁড়িয়েছেন। অনেকের মতে, এ ধরনের প্রচারণা রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রেরই অংশ।

এছাড়া আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে। একদিকে রাজনৈতিক আক্রমণ, অন্যদিকে ব্যক্তিগত মর্যাদা—দুটোই রক্ষার চেষ্টা করছেন ম্যাক্রোঁ দম্পতি।

ম্যাক্রোঁ দম্পতির আইনজীবীরা বিশ্বাস করেন, যথাযথ প্রমাণ আদালতে উপস্থাপনের মাধ্যমে মিথ্যা গুজবের অবসান ঘটবে। তবে এই মামলার ফলাফলের দিকে এখন গোটা বিশ্বের দৃষ্টি। কারণ, এটি শুধু একটি পারিবারিক লড়াই নয়, বরং জনসম্মুখে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের প্রতি দায়িত্বহীন আক্রমণের বিরুদ্ধে প্রতিরোধেরও প্রতীক।

আরও পড়ুন :

কফি খেতে পছন্দ করেন ? আপনার এক মাসের বেতনে হবে কি এক কাপ কফি ?

মার্কিন শুল্ক প্রত্যাহার হতে পারে, ভারতের জন্য স্বস্তির খবর

ad

আরও পড়ুন: