Breaking News

MaxwellEpstein TrumpPardon

ঘিসলেইন ম্যাক্সওয়েল মামলায় নতুন মোড়, ট্রাম্পের বিরুদ্ধে চাপ বাড়ছে!

ঘিসলেইন ম্যাক্সওয়েলের দেওয়া ১০০ জনের নামের তালিকা, ‘hidden pardon’-এর ইঙ্গিত এবং DOJ-র ব্যতিক্রমী পদক্ষেপ ট্রাম্প প্রশাসনকে বড় ধরনের রাজনৈতিক ও আইনি চাপে ফেলেছে।

MaxwellEpstein TrumpPardon: New Revelations Await %%page%% %%sep%% %%sitename%%

MaxwellEpstein TrumpPardon

ক্লাউড টিভি ডেস্ক | ২৬ জুলাই ২০২৫ :  যুক্তরাষ্ট্রে যৌন কেলেঙ্কারির বিতর্কিত চরিত্র জেফরি এপস্টিনের সহযোগী হিসেবে পরিচিত ঘিসলেইন ম্যাক্সওয়েল (MaxwellEpstein TrumpPardon) আবারও শিরোনামে। তার বিরুদ্ধে ওঠা গুরুতর অভিযোগের পটভূমিতে, এবার মার্কিন বিচার বিভাগ (DOJ)-এর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ আলোচনার পর এমন কিছু তথ্য উঠে এসেছে, যা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠতার প্রশ্নকে কেন্দ্রবিন্দুতে নিয়ে এসেছে।

◼️ DOJ-র সঙ্গে ম্যাক্সওয়েলের গোপন সাক্ষাৎকার

গত সপ্তাহে, ঘিসলেইন ম্যাক্সওয়েল ফ্লোরিডার একটি ফেডারেল কোর্টে উপস্থিত হয়ে মার্কিন বিচার বিভাগের উপমহাধিবক্তা টড ব্ল্যাঞ্চের নেতৃত্বে দুই দিনব্যাপী একটি প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশ নেন। সূত্র অনুযায়ী, এই সাক্ষাৎকারে তিনি প্রায় ১০০ জন ব্যক্তির নাম বলেছেন যারা এপস্টিনের সঙ্গে যৌন বাণিজ্য বা অবৈধ আর্থিক যোগাযোগে যুক্ত ছিলেন বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।

তবে DOJ সূত্র জানিয়েছে, এটি কোনও “Epstein Client List” নয়, বরং ম্যাক্সওয়েলের ব্যক্তিগত পর্যবেক্ষণ ও তথ্যভিত্তিক কিছু নামের সংকলন। যদিও নামগুলো জনসমক্ষে প্রকাশ করা হয়নি, রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে এই তথ্য ফাঁসের সম্ভাবনায়।

◼️ ট্রাম্প এর কাছে ক্ষমা চাওয়ার ইঙ্গিত?

সবচেয়ে বড় বিতর্ক শুরু হয় যখন এই সাক্ষাৎকারের পর ম্যাক্সওয়েলের আইনজীবী ডেভিড অস্কার মার্কাস বলেন, “ঘিসলেইন আশা করছেন তিনি কোনওভাবে রাষ্ট্রপতির পক্ষ থেকে clemency বা ক্ষমা পেতে পারেন।” এখান থেকেই শুরু হয় “hidden pardon” বা গোপন ক্ষমার জল্পনা।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এর আগে একাধিকবার ম্যাক্সওয়েল সম্পর্কে বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেছিলেন, “I wish her well,” যা বহু বিশ্লেষকের মতে, ট্রাম্পের পক্ষ থেকে একধরনের নরম বার্তা ছিল। এবার এই নতুন তথ্য সামনে আসায় ট্রাম্প-এপস্টিন-ম্যাক্সওয়েল ত্রিভুজকে ঘিরে রাজনৈতিক চাপ বাড়ছে।

ডোনাল্ড ট্রাম্পের ১০ বিলিয়ন ডলারের মানহানি মামলা: রূপার্ট মারডক, ডাও জোন্স ও WSJ-কে আদালতে টানলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট

ট্রাম্প–মাস্ক দ্বন্দ্বে জড়িয়ে গেল জেফ্রি এপস্টেইনের ছায়া: ওয়াশিংটনে বিতর্ক, তদন্তের দাবি তুঙ্গে

◼️ হাউজ কমিটির পদক্ষেপ

House Oversight Committee ইতিমধ্যেই ম্যাক্সওয়েলকে ডেকে পাঠিয়েছে একটি প্রকাশ্য শুনানির জন্য। সূত্র জানাচ্ছে, আগামী সপ্তাহে তাঁকে সাক্ষ্য দিতে বলা হতে পারে। কমিটির ডেমোক্র্যাট সদস্যরা চাচ্ছেন, DOJ কী কী তথ্য পেয়েছে তা কংগ্রেসকে জানানো হোক।

◼️ ম্যাগা রিপাবলিকান বনাম মডারেট ব্লক: GOP বিভাজন

এই ইস্যুতে রিপাবলিকান পার্টির অভ্যন্তরে মতভেদ শুরু হয়েছে। ট্রাম্প ঘনিষ্ঠ MAGA (Make America Great Again) অংশ ম্যাক্সওয়েলের কাছ থেকে তথ্য বেরিয়ে না আসার পক্ষে, কারণ এতে ট্রাম্পের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। অন্যদিকে মডারেট রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাটদের একটি বড় অংশ চান সম্পূর্ণ স্বচ্ছ তদন্ত।

◼️ মিডিয়ার প্রতিক্রিয়া

সিএনএন, ওয়াশিংটন পোস্ট, এপি, দ্য ডেইলি বিস্ট, টাইমস অফ ইন্ডিয়া সহ একাধিক গণমাধ্যমে বিষয়টি বিশ্লেষিত হয়েছে। বিশিষ্ট আইন বিশ্লেষকরা বলছেন, DOJ উপমহাধিবক্তার সরাসরি এই সাক্ষাৎকার নেওয়া একটি “অসাধারণ পদক্ষেপ”, যা ইঙ্গিত করে বিষয়টি কতটা স্পর্শকাতর।

◼️ ট্রাম্পের প্রতিক্রিয়া

ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, “আমি এই মুহূর্তে ম্যাক্সওয়েলকে ক্ষমা করে দেওয়ার বিষয়ে কিছু ভাবিনি।” তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই উত্তর এড়িয়ে যাওয়ার কৌশল হতে পারে। কারণ ম্যাক্সওয়েল যে ১০০ জনের নাম দিয়েছেন, সেখানে যদি কোনোভাবে ট্রাম্প বা তাঁর ঘনিষ্ঠ কারও নাম থাকে, তবে আইনি চাপ বাড়তে পারে।

◼️ ম্যাক্সওয়েলের ভবিষ্যৎ কী?

ঘিসলেইন ম্যাক্সওয়েল বর্তমানে নিউ ইয়র্কের একটি ফেডারেল কারাগারে সাজা খাটছেন। তিনি ২০ বছরের সাজা পেয়েছেন শিশু পাচার মামলায়। কিন্তু DOJ-কে সহযোগিতার বিনিময়ে যদি কোনও “deal” হয়, তবে তাঁর সাজা হ্রাস বা প্যারোলের সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে। যদিও সরকারি ভাবে এখনও কিছুই ঘোষণা করা হয়নি।

আরও পড়ুন :

ভারতে ভোটার, বাংলাদেশে বিএনপি নেতা! বাগদায় ধরা পড়ল ভোট-পরিচয় কেলেঙ্কারি

গাজা ইস্যুতে সিপিএমের র‍্যালির অনুমতি বাতিল, ‘দেশপ্রেমিক হন, দেশের সমস্যায় নজর দিন’ পরামর্শ বম্বে হাইকোর্টের

ad

আরও পড়ুন: