Breaking News

মোদি পুতিন জিনপিং বৈঠক যুক্তরাষ্ট্র

পুতিন-জিনপিংয়ের সঙ্গে মোদির বৈঠককে ‘লজ্জাজনক’ বলল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র

এসসিও সম্মেলনে পুতিন ও শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে কড়া সমালোচনা করল যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন উপদেষ্টা নাভারোর বক্তব্যে নতুন করে তপ্ত হল কূটনৈতিক সম্পর্ক।

মোদি পুতিন-জিনপিং বৈঠক নিয়ে ক্ষুব্ধ যুক্তরাষ্ট্র

মোদি পুতিন জিনপিং বৈঠক যুক্তরাষ্ট্র

ক্লাউড টিভি ডেস্ক : সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও) সম্মেলনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং-এর সঙ্গে বৈঠক করায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানালো যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাণিজ্য উপদেষ্টা পিটার নাভারো এই বৈঠককে সরাসরি ‘লজ্জাজনক’ বলে অভিহিত করেছেন।

নাভারো বলেন, “মোদিকে শি জিনপিং ও পুতিনের সঙ্গে হাত মেলাতে দেখা সত্যিই লজ্জাজনক। আমি বুঝতে পারছি না তিনি কী ভাবছেন। ভারতকে অবশ্যই আমাদের পাশে থাকতে হবে, রাশিয়ার পাশে নয়।”

এসসিও সম্মেলনে যোগ দিতে চীন সফরে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। সেখানে পুতিন ও শির সঙ্গে বৈঠকের পরদিনই নাভারো এই মন্তব্য করেন।

মোদি–পুতিন–শি জিনপিং বৈঠক: এসসিও শীর্ষ সম্মেলনের আগে বৈশ্বিক কূটনীতিতে নতুন সমীকরণ

ব্রাহ্মণদের মুনাফা অভিযোগে ভারতের ওপর নাভারোর আক্রমণ, রুশ তেলের অজুহাতে ৫০% শুল্কের পক্ষে ট্রাম্প প্রশাসন

তিনি আরও অভিযোগ করেন, ভারত রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদার করছে এবং ‘ক্রেমলিনের লন্ড্রোম্যাট’ হিসেবে কাজ করছে। নাভারোর ভাষায়, ভারতীয় রিফাইনারিগুলো রুশ অপরিশোধিত তেল সস্তায় কিনে তা প্রক্রিয়াজাত করছে এবং প্রিমিয়াম দামে অন্যান্য দেশে রপ্তানি করছে।

নাভারো যুক্তি দিয়েছেন, ট্রাম্প প্রশাসনের ভারতের রপ্তানির ওপর শাস্তিমূলক শুল্ক আরোপ একেবারেই যৌক্তিক। তাঁর মতে, নয়াদিল্লির রাশিয়া ও চীনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বৈশ্বিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াচ্ছে।

ভারত অবশ্য এই সমালোচনা খারিজ করেছে। দিল্লির দাবি, রুশ তেল আমদানি একান্ত প্রয়োজনীয়, কারণ এটি দেশের জ্বালানি খরচ কমায় এবং অভ্যন্তরীণ বাজারকে স্থিতিশীল রাখে। ভারতীয় কূটনীতিকদের ভাষায়, যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপ ‘অন্যায্য’ এবং ট্রাম্প যাকে ‘সেকেন্ডারি ট্যারিফ’ বলছেন তার সবচেয়ে বড় শিকার এখন পর্যন্ত ভারতই। যদিও চীনও রাশিয়ার অন্যতম বড় ক্রেতা।

এই মন্তব্য ঘিরে আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে নতুন করে আলোচনার ঝড় উঠেছে। যুক্তরাষ্ট্রের চাপের মুখে ভারত তার কৌশলগত অবস্থান কীভাবে সামলাবে, তা নিয়েই এখন মূল আগ্রহ।

আরও পড়ুন :

বিশ্বকাপের ৫ মাস আগে টি-টোয়েন্টি ছাড়লেন স্টার্ক

ইউক্রেনিয়ান শিশুরা স্কুলের বর্ষ শুরু করলো ভূগর্ভে: নিরাপদ শিক্ষার একটি সাহসী প্রচেষ্টা

ad

আরও পড়ুন: