Mohammed Shami Selection Controversy
ক্লাউড টিভি স্পোর্টস ডেস্ক : ভারতীয় ক্রিকেটে নির্বাচন সংক্রান্ত বিতর্ক নতুন নয়। তবে এবার আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন অভিজ্ঞ পেসার মোহাম্মদ শামি। তিনি সম্প্রতি রনজি ট্রফিতে উল্লেখযোগ্য পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন। তবুও ভারতীয় দলে তাঁর ফেরার সুযোগ নেই বলে মনে হচ্ছে। এই সিদ্ধান্ত নিয়ে BCCI এবং নির্বাচক কমিটির চেয়ারম্যান অজিত আগারকর–কে ঘিরে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়েছে।
শামির ব্যক্তিগত কোচ মোহাম্মদ বদরুদ্দিন এক সাক্ষাৎকারে বলেন,
“ফিটনেস বা রিহ্যাব — সবই অজুহাত। ওরা আগেই ঠিক করে রেখেছে, শামিকে দলে নেওয়া হবে না।”
এই বক্তব্য সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হতেই বিতর্ক আরো জোরালো হয়।
শামি চোট থেকে ফেরার পর ৩টি রনজি ম্যাচে ১৫টি উইকেট নিয়েছেন। তাঁর লাইন, লেংথ, স্বিং — সবই আগের মতো ধারালো। মাঠের বাইরে ট্রেনিং–এর ভিডিওতেও দেখা যায় তিনি নিজেকে ফিট রাখতে কঠোর অনুশীলনে ছিলেন। তাই অনেক বিশেষজ্ঞ বলছেন —
“ফর্ম নিয়ে প্রশ্নের সুযোগ নেই।”
তবে কেন দলে নেই?
BCCI নির্বাচক কমিটির বক্তব্যঃ
শামি পুরোপুরি ম্যাচ ফিট নন
তাঁর শরীরকে আরও সময় দিতে হবে
ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্টের কথা ভেবে তাকে বিশ্রামে রাখা হয়েছে
অজিত আগারকর এক বিবৃতিতে বলেন,
“শামি যদি সম্পূর্ণ ফিট থাকতেন, তাহলে তিনি দলে থাকতেন। এটা কোনো ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত নয়।”
কিন্তু শামির কোচের প্রশ্ন —
“যদি ফিট না হন তবে তিনি রনজি ট্রফিতে এই পারফরম্যান্স করলেন কীভাবে?”
‘আমি তোমায় ভীষণ ভালোবাসি, তারপর ক্ষোভ’ — হাসিন জাহানের শামিকে নিয়ে বিস্ফোরক পোস্ট
“এটা শুধুই অজুহাত” — অভিযোগ কোচের
মোহাম্মদ বদরুদ্দিন বলেন,
“এই মন্তব্যগুলো ‘মেকানিকাল’। মনে হচ্ছে সিদ্ধান্ত আগেই নেওয়া হয়েছে। পারফরম্যান্স দেখেও তাকে বিবেচনা না করা অন্যায়।”
তিনি আরও বলেন,
“শামি দেশের জন্য অনেক ম্যাচ জিতিয়েছে। বিশ্বকাপে তার বোলিং এখনও দর্শকদের মনে। ওর সঙ্গে এমন আচরণ হওয়া উচিত নয়।”
ক্রিকেট বিশ্লেষকরা বলছেন, ভারতীয় দলে এখন বোলারের সংখ্যা বেশি, নতুন পেসার উঠে এসেছে। টিম ম্যানেজমেন্ট ভবিষ্যতের স্কোয়াড তৈরি করতে চাইছে।
তবে অনেকে মনে করছেন —
অভিজ্ঞ বোলারকে বাদ দেওয়া ঝুঁকিপূর্ণ।
বিশেষ করে বড় সিরিজ ও টুর্নামেন্টে অভিজ্ঞতা অনেক বড় সম্পদ।
সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেক ভক্ত লিখছেনঃ
“শামি দেশের সেরা ডেথ বোলারদের একজন”
“নীতি সবার জন্য এক হওয়া উচিত”
“ফর্মে থাকলে খেলানো উচিত”
এক ভক্ত লিখেছেন,
“যে মানুষ বিশ্বকাপে ৩ বলে ম্যাচ ঘুরিয়ে দেয়, তাকে বাইরে রাখা মানে ভারতীয় ক্রিকেট–এর ক্ষতি।”
BCCI আপাতত জানিয়েছে,
শামির চিকিৎসা, ফিটনেস এবং প্রশিক্ষণের পরিকল্পনা তৈরি করা হবে
পরিস্থিতি দেখে ভবিষ্যতে তাঁকে দলে ফিরিয়ে আনা হতে পারে
কিন্তু ক্রিকেট মহলের এক বড় অংশ মনে করছে —
“ফিটনেস অজুহাত হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে।”
এবং “নির্বাচন প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।”
মোহাম্মদ শামি শুধু একজন বোলার নন — তিনি ভারতীয় ক্রিকেটে একটি বড় নাম, একটি অভিজ্ঞতা, একটি প্রতীক। তাঁর মতো একজন ক্রিকেটারকে দলে না নেওয়ার পিছনে স্পষ্ট কারণ জানানো এখনও প্রয়োজন।
সত্যিই কি তিনি ফিট নন? না কি নির্বাচনের পেছনে অন্য কোনও পরিকল্পনা? এই প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।
আরও পড়ুন :
‘পিরিয়ডস কবে শেষ হবে?’ প্রশ্ন করতেন প্রাক্তন নির্বাচক।যৌন হেনস্তার বিস্ফোরক অভিযোগ বাংলাদেশ পেসারের