Breaking News

MumbaiAirport SnakeSmuggling

মুম্বাই বিমানবন্দরে বিষধর সাপসহ পাচারকারী আটক: থাইল্যান্ড থেকে চোরাচালান চক্রের চাঞ্চল্যকর উদ্ঘাটন

মুম্বাই বিমানবন্দরে এক ভারতীয় যাত্রীর লাগেজ থেকে উদ্ধার ৪৪টি বিষধর ভাইপার

MumbaiAirport SnakeSmuggling Case Shocks India %%page%% %%sep%% %%sitename%%

MumbaiAirport SnakeSmuggling

২ জুন, ২০২৫ |  ক্লাউড টিভি : মুম্বাই বিমানবন্দরে এক চাঞ্চল্যকর ঘটনার সাক্ষী রইলো ভারত। থাইল্যান্ড থেকে ফেরা এক ভারতীয় যাত্রীর ব্যাগ থেকে উদ্ধার হল বিষধর সাপ ও বিরল প্রজাতির কচ্ছপ। এই ঘটনায় প্রাণী পাচার চক্রের জটিলতা ও আন্তর্জাতিক যোগসূত্র সামনে এসেছে বলে ধারণা করছেন তদন্তকারীরা। রবিবার রাতে ফরাসি সংবাদ সংস্থা এএফপি জানায়, মুম্বাই কাস্টমস থাইল্যান্ড থেকে আগত এক ভারতীয় নাগরিকের লাগেজ স্ক্যান করার সময় সন্দেহজনক কিছু লক্ষ্য করেন। পরে ওই লাগেজ খুলে দেখা যায়, সেখানে লুকিয়ে রাখা রয়েছে ৪৪টি ইন্দোনেশিয়ান পিট ভাইপার (MumbaiAirport SnakeSmuggling ) , যেগুলো অত্যন্ত বিষাক্ত।

এছাড়াও ওই ব্যক্তির কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে তিনটি স্পাইডার-টেইলড হর্নড ভাইপার, যেগুলো সাধারণত ইরান ও ইরাক অঞ্চলের মরুভূমিতে দেখা যায় এবং মূলত ছোট পাখি ও স্তন্যপায়ী প্রাণী শিকার করে। উদ্ধার হওয়া প্রাণীদের তালিকায় রয়েছে ৫টি এশীয় পাতাকচ্ছপও।

মুম্বাই কাস্টমস জানিয়েছে, ওই ভারতীয় নাগরিককে তাৎক্ষণিকভাবে আটক করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ আইন ও কাস্টমস আইনে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। তবে তদন্তের স্বার্থে এখনই তার নাম প্রকাশ করা হয়নি।

এখন পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, অভিযুক্ত ব্যক্তি একটি আন্তর্জাতিক প্রাণী পাচার চক্রের অংশ হতে পারেন। থাইল্যান্ড থেকে প্রাণীগুলো কনটেইনার ও পলিথিন মোড়ানো অবস্থায় আনা হয়, যাতে স্ক্যানারে ধরা না পড়ে। এই কৌশল অনেকাংশে পেশাদার পাচার চক্রের পরিচয় বহন করে বলে মনে করছে কর্তৃপক্ষ।

মুম্বাই কাস্টমস অফিসিয়ালরা উদ্ধারকৃত সাপ ও কচ্ছপের ছবি প্রকাশ করেছে। ছবিতে দেখা যায়, বালতির ভেতরে নীল, হলুদ, সবুজ রঙের বিভিন্ন প্রজাতির ভাইপার কিলবিল করছে, যাদের উপস্থিতি আতঙ্ক ছড়িয়েছে বিমানবন্দর কর্মীদের মধ্যেও।

নিরবিচ্ছিন্ন বৃষ্টির দাপটে বিপর্যস্ত উত্তর-পূর্ব ভারত — ভূমিধস ও বন্যায় মৃত অন্তত ৩৪, তছনছ জীবন ও পরিকাঠামো

প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের ঠিক পেছনে দাঁড়িয়ে আছেন হাফিজ সইদ, রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ পরিষদে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদে প্রত্যক্ষ মদতের সুস্পষ্ট প্রমাণ পেশ করল ভারত

এক কর্মকর্তা বলেন,

“আমরা অনেকবার বিদেশি প্রাণী উদ্ধার করেছি, কিন্তু একসঙ্গে এতগুলো বিষধর সাপ এর আগে ধরা পড়েনি। এটি নিঃসন্দেহে একটি বড় চোরাচালান চক্রের অংশ।”

ইন্দোনেশিয়ান পিট ভাইপার ও স্পাইডার-টেইলড হর্নড ভাইপার প্রজাতি দুটি অত্যন্ত বিষধর। এদের কামড়ে মারাত্মক স্নায়বিক সমস্যা হতে পারে এবং সময়মতো চিকিৎসা না হলে মৃত্যুও ঘটতে পারে। সাধারণত এসব সাপ কালো বাজারে বিরল সংগ্রহ হিসেবে বিক্রি হয়, যার মূল্য কয়েক হাজার ডলার পর্যন্ত হতে পারে।

ভারতের বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ আইনে, দেশের অভ্যন্তরে বা বাইরে থেকে বন্য প্রাণী চোরাচালান করা দণ্ডনীয় অপরাধ। দোষী প্রমাণিত হলে শাস্তি হতে পারে সর্বোচ্চ সাত বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড। এছাড়া এই অপরাধ আন্তর্জাতিক বন্যপ্রাণী পাচার চুক্তি (CITES)-এর আওতাভুক্ত হওয়ায় আন্তর্জাতিক তদন্তের সম্ভাবনাও তৈরি হয়েছে।

আরও পড়ুন :

নরওয়েতে ম্যাগনাস কার্লসেনকে স্তব্ধ করে দিলেন ডি গুকেশ

JEE Advanced 2025 : সারা দেশের মধ্যে মেয়েদের মধ্যে প্রথম — কাটোয়ার দেবদত্তা মাঝি!

ad

আরও পড়ুন: