POCSOCase MumbaiTeacherArrest
ক্লাউড টিভি ডেস্ক | ৩০ জুলাই, ২০২৫ : নবী মুম্বইয়ে এক বেসরকারি স্কুলের ৩৫ বছর বয়সী শিক্ষিকা গ্রেফতার হয়েছেন, এক ক্লাস ১০-এর ছাত্রকে ইনস্টাগ্রামে অশ্লীল ভিডিও কল করার অভিযোগে (POCSOCase MumbaiTeacherArrest)। অভিযুক্ত ওই শিক্ষিকা ছাত্রটির সঙ্গে প্রথমে চ্যাট করেন, এরপর তাঁকে ভিডিও কল করেন, যেখানে তিনি অর্ধনগ্ন অবস্থায় ছিলেন বলে অভিযোগ।
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ছাত্রের মা থানায় অভিযোগ দায়ের করলে, কোপরখৈরানে থানা পুলিশ POCSO আইনে মামলা রুজু করে এবং শিক্ষিকাকে গ্রেফতার করে।
Adopted Daughter জন্মের পরিচয় খুঁজে দেখেন—ফেসবুক ফ্রেন্ডলিস্টেই ছিলেন বাবা
দলের ভেতর থেকেই ষড়যন্ত্র! ভাইরাল ভিডিও নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য দিলীপ ঘোষের
ঘটনাটি ঘটে রবিবার রাতে, যখন ওই ছাত্র তার ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে শিক্ষিকার কাছ থেকে একটি ভিডিও কল পান। অভিযোগ, সেই ভিডিও কলে শিক্ষিকা ছিলেন অশালীন পোশাকে, এবং ছাত্রকে কু-ইঙ্গিতপূর্ণ আচরণ করেন।ছাত্র ভয় পেয়ে ভিডিওটি রেকর্ড করে রাখে এবং ঘটনাটি পরে তার মা দেখতে পান। মা তৎক্ষণাৎ পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন।
Indian Penal Code (IPC) এবং POCSO (Protection of Children from Sexual Offences) Act, 2012 অনুযায়ী মামলা দায়ের হয়েছে। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে এবং তাঁর মোবাইল ফোন, চ্যাট হিস্টোরি, সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট খতিয়ে দেখা হচ্ছে।পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত শিক্ষিকা স্বীকারোক্তিমূলক কিছু তথ্য দিয়েছেন, তবে তদন্ত এখনও চলছে।
নবী মুম্বই পুলিশের এক আধিকারিক জানান –
“এই ধরণের ঘটনা সমাজের জন্য একটি বিপদসংকেত। শিক্ষক ও ছাত্রের সম্পর্কের মধ্যে শালীনতা ও আস্থা থাকা প্রয়োজন। আমরা POCSO আইনে দ্রুত তদন্ত চালাচ্ছি এবং প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।”
ছাত্রের মা বলেন,
“আমরা কখনো কল্পনাও করতে পারিনি, একজন শিক্ষক – যাঁকে আমরা সম্মান করি – আমাদের সন্তানের সঙ্গে এমন আচরণ করতে পারেন। আমি অন্য অভিভাবকদের সতর্ক করতে চাই, নিজেদের সন্তানদের অনলাইন আচরণ সম্পর্কে নজর রাখুন।”
শিশু অধিকার রক্ষা সংস্থার মতে, অশালীন অনলাইন যোগাযোগ শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্য এবং আত্মবিশ্বাসে গভীর প্রভাব ফেলে।
“শিক্ষকদের বিরুদ্ধে এই ধরনের অভিযোগ সমাজের আস্থা নষ্ট করে। স্কুল কর্তৃপক্ষকেও সোশ্যাল মিডিয়ায় শিক্ষক ও ছাত্রদের যোগাযোগে একটি সীমা টানতে হবে।”
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই ওই শিক্ষিকাকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। শিক্ষিকার বিরুদ্ধে ওই ধরনের অভিযোগ আগে কখনও উঠেছিল কি না, তা-ও স্কুলের সহকর্মী এবং অন্যান্য পড়ুয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানার চেষ্টা চলছে। তাঁর ফোনটি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। সত্যিই শিক্ষিকা ওই পড়ুয়াকে অশ্লীল ছবি পাঠাতেন কি না, তা তাঁর সমাজমাধ্যমের অ্যাকাউন্ট ঘেঁটে দেখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন :
অস্ট্রেলিয়ায় ইউটিউব নিষিদ্ধ: ১৬ বছরের কম বয়সীরা আর খুলতে পারবে না অ্যাকাউন্ট
রাশিয়া-জাপান সীমান্তে শক্তিশালী ভূমিকম্প, সুনামি সতর্কতা জারি