Nepal Waives Mountaineering Fees
ক্লাউড টিভি ডেস্ক: বিশ্বজুড়ে পর্বতারোহণের স্বর্গরাজ্য হিসেবে পরিচিত নেপাল, এবার আন্তর্জাতিক পর্যটক ও পর্বতারোহীদের আরও বেশি করে আকর্ষণ করতে নতুন উদ্যোগ নিয়েছে। দেশটির পর্যটন, সংস্কৃতি ও বেসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রণালয় ঘোষণা করেছে—কিছু নির্দিষ্ট পর্বতশৃঙ্গের জন্য আরোহন ফি পুরোপুরি মকুব (Nepal Waives Mountaineering Fees) করা হবে।
সরকারি কর্মকর্তাদের মতে, এই সিদ্ধান্ত মূলত কম জনপ্রিয় এবং অপেক্ষাকৃত কম-পর্যটকপ্রবণ শৃঙ্গগুলোতে পর্যটক ও পর্বতারোহীদের টানতে নেওয়া হয়েছে। এর ফলে শুধু পর্যটন আয়ে নয়, স্থানীয় অর্থনীতিতেও ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। নেপাল সরকারের আশা, এ পদক্ষেপের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক পর্যটনের প্রতিযোগিতামূলক বাজারে নিজেদের অবস্থান আরও শক্ত করবে তারা।
ব্রিটিশ নাগরিকদের জন্য ভারত -পাকিস্তান ভ্রমণে সতর্কতা জারি হল
কোন কোন শৃঙ্গের জন্য ফি মকুব
নেপাল ট্যুরিজম বোর্ড জানিয়েছে, যেসব শৃঙ্গ তুলনামূলক কম উচ্চতার এবং মূলত আঞ্চলিক পর্বতারোহণের জন্য জনপ্রিয়, সেসব শৃঙ্গের জন্যই এই ছাড় প্রযোজ্য হবে।
যেমন:
লাঙ্গতাং ভ্যালি অঞ্চলের কিছু শৃঙ্গ
মানাসলু অঞ্চলের মধ্যম উচ্চতার শৃঙ্গ
দূরবর্তী পশ্চিম নেপালের কিছু অজানা শৃঙ্গ
এসব শৃঙ্গ সাধারণত এভারেস্ট বা অন্নপূর্ণার মতো আন্তর্জাতিকভাবে বিখ্যাত নয়, কিন্তু প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও চ্যালেঞ্জিং রুটের কারণে অভিজ্ঞ পর্বতারোহীদের কাছে আকর্ষণীয়।
বর্তমানে নেপালে উচ্চ পর্বতের আরোহন ফি কয়েকশ থেকে কয়েক হাজার মার্কিন ডলার পর্যন্ত হতে পারে। ছোট শৃঙ্গের ক্ষেত্রেও আরোহন অনুমতি, গাইড, নিরাপত্তা এবং বীমার খরচ মিলে পর্যটকদের জন্য এটি একটি বড় ব্যয় হয়ে দাঁড়ায়। ফি মওকুফের ফলে পর্যটকরা এই অর্থ অন্য খাতে ব্যয় করতে পারবেন—যেমন স্থানীয় হোটেল, রেস্তোরাঁ, পরিবহন, বা ট্রেকিং সেবায়—যা সরাসরি স্থানীয় জনগণের উপকারে আসবে।
সরকার জানায়, ফি মকুবের পাশাপাশি পরিবেশ সুরক্ষা ও নিরাপত্তা জোরদার করার জন্য নতুন নিয়ম চালু হবে। এর মধ্যে রয়েছে—
অভিজ্ঞ গাইড বাধ্যতামূলক
আবর্জনা ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা
দুর্ঘটনা মোকাবিলায় জরুরি উদ্ধার ব্যবস্থা
বিশ্বজুড়ে পর্বতারোহণ পর্যটনের বড় প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলির মধ্যে রয়েছে পাকিস্তান, ভারত, চীন এবং দক্ষিণ আমেরিকার কিছু দেশ। নেপাল এই উদ্যোগের মাধ্যমে প্রতিযোগিতায় এগিয়ে থাকতে চায়। বিশেষ করে, কোভিড-১৯ মহামারির পর থেকে পর্যটন শিল্পে যে ধস নেমেছিল, তা কাটিয়ে উঠতে এই ধরনের প্রণোদনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞরা।
আরও পড়ুন :
জনসংখ্যা সংকটে দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনীর সদস্য সংখ্যা ৬ বছরে ২০% কমেছে
অক্সিজেন ট্যাঙ্ক বিস্ফোরণের পরও অ্যাপোলো ১৩ কে নিরাপদে ফিরিয়ে আনা কিংবদন্তি নভোচারী জিম লোভেল আর নেই