Breaking News

NimishaPriya DeathPenalty

DiplomaticFailure : ফাঁসির দড়িতে ঝুলছেন কেরলের নার্স নিমিশা প্রিয়া: ইয়েমেনে ভারতীয় নাগরিক হত্যার দায়ে চূড়ান্ত রায়

প্রায় এক দশকের দীর্ঘ আইনি লড়াই, ভারতের কূটনৈতিক হস্তক্ষেপ—সবই ব্যর্থ। ইয়েমেনে এক ব্যবসায়ীকে হত্যার দায়ে কেরলের নার্স নিমিশা প্রিয়ার মৃত্যুদণ্ড চূড়ান্ত। আগামী ১৬ জুলাই ঝোলানো হবে ফাঁসিতে। উত্তেজিত কূটনৈতিক মহল, শোকস্তব্ধ পরিবার।

NimishaPriya DeathPenalty: The Shocking Verdict %%page%% %%sep%% %%sitename%%

NimishaPriya DeathPenalty

ক্লাউড টিভি ডেস্ক : ইয়েমেনের আদালতের রায় অনুযায়ী, ভারতের কেরালার বাসিন্দা নার্স নিমিশা প্রিয়াকে আগামী ১৬ জুলাই ফাঁসিতে ঝোলানো হবে। ২০১৮ সালে ইয়েমেনের নাগরিক ও ব্যবসায়িক অংশীদার তালাল আবদো মাহদিকে হত্যার দায়ে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর থেকেই মৃত্যুদণ্ডের মুখে দাঁড়িয়ে ছিলেন নিমিশা (NimishaPriya DeathPenalty)। শেষ পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট রাশাদ আল আলিমির অনুমোদনে রায় কার্যকর হতে চলেছে।

কেরালার পালাক্কড় জেলার বাসিন্দা প্রিয়া ২০০৮ সালে স্বামী ও কন্যাসন্তানের সঙ্গে ইয়েমেনে পাড়ি দিয়েছিলেন। সেখানে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নার্স হিসেবে কাজ শুরু করেন তিনি। ২০১৪ সালে স্বামী ও মেয়ে ফিরে আসলেও, নিজের একটি ক্লিনিক খোলার স্বপ্নে ইয়েমেনে রয়ে যান তিনি।

সেই সময়ই তার পরিচয় হয় ইয়েমেনি নাগরিক তালাল মাহদির সঙ্গে। ইয়েমেনের নিয়ম অনুযায়ী বিদেশিদের ব্যবসা শুরু করতে হলে একজন স্থানীয় নাগরিককে অংশীদার করতে হয়। এই নিয়ম মেনেই ২০১৫ সালে মাহদিকে সঙ্গে নিয়ে একটি ক্লিনিক শুরু করেন নিমিশা।

পাকিস্তানে ৪৪% মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে, চরম দারিদ্র্যে ভুগছে ৪ কোটির বেশি

বিচিত্র সংবাদ: যে দেশে ব্যাচেলর থাকলে দিতে হয় ট্যাক্স!

কিন্তু শুরুর সহযোগিতা ধীরে ধীরে পরিণত হয় শোষণে। নিমিশার পরিবারের দাবি, তালাল তাকে অর্থনৈতিক ও মানসিকভাবে শোষণ করতে শুরু করে। তার পাসপোর্ট কেড়ে নেয়া হয়, তাকে মাদকাসক্ত বানানো হয় এবং দেশে ফেরার সব পথ বন্ধ করে দেয়া হয়।২০১৭ সালে নিমিশা নিজেই নিজের পাসপোর্ট উদ্ধার করার চেষ্টা করেন। পরিবারের ভাষ্য অনুযায়ী, ঘুমের ওষুধের ইনজেকশন দিয়ে তালালকে অচেতন করার চেষ্টা করেন তিনি। কিন্তু অতিরিক্ত মাত্রার কারণে মাহদির মৃত্যু হয়। এরপরই প্রিয়াকে দেশ ছাড়ার সময় বিমানবন্দরে গ্রেফতার করা হয়।

২০১৮ সালে নিমিশাকে হত্যার দায়ে দোষী সাব্যস্ত করে ইয়েমেনের আদালত। ভারত সরকারের একাধিকবার কূটনৈতিক হস্তক্ষেপ এবং মানবাধিকার সংগঠনগুলির আবেদন সত্ত্বেও ইয়েমেন সরকার তাদের অবস্থানে অনড় থাকে। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে প্রেসিডেন্টের চূড়ান্ত অনুমোদনের পর মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের জন্য সময়সীমা বেঁধে দেয়া হয়।

শেষ খবর অনুযায়ী, ১৬ জুলাই ২০২৫ তারিখে নিমিশার ফাঁসি কার্যকর করা হবে। বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ ছড়িয়েছে ভারতজুড়ে। বহু মানবাধিকার কর্মী ও প্রবাসী সংগঠন ফাঁসি স্থগিত রাখার আবেদন জানাচ্ছে।

আরও পড়ুন :

CloudTVExclusive : IRCTC-র হালাল বাড়বাড়ন্তে কোপ: RTI-এর শুনানিতে ঐতিহাসিক নির্দেশ কমিশনারের

তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আশঙ্কা! রাশিয়া-চীন বন্ধুত্ব নিয়ে চরম সতর্কবার্তা ন্যাটো মহাসচিবের

ad

আরও পড়ুন: