2025 Nobel Peace Prize predictions
ক্লাউড টিভি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ২০২৫ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কার ঘোষণার দিন যত ঘনিয়ে আসছে, ততই জোরালো হচ্ছে কে হতে পারেন এ বছরের বিজয়ী তা নিয়ে আলোচনা। এই মুহূর্তে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পাঁচটি নামই সবচেয়ে বেশি আলোচিত। এদের মধ্যে রয়েছেন রাজনীতিক, ধর্মীয় নেতা এবং সমাজ পরিবর্তনের সক্রিয় মুখ।
ডোনাল্ড ট্রাম্প: বিতর্কের মধ্যেও আলোচনায়
মার্কিন প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বারবারই নোবেল শান্তি পুরস্কারের দাবিদার হিসেবে নিজের নাম সামনে এনেছেন।
তাঁর প্রশাসন কোরিয়া উপদ্বীপে শান্তি আলোচনায় ভূমিকা রেখেছিল এবং ইসরায়েল-আরব সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে “আব্রাহাম অ্যাকর্ডস” স্বাক্ষর করেছিল।
সমর্থকদের দাবি, মধ্যপ্রাচ্যে স্থিতিশীলতার পথে ট্রাম্পের উদ্যোগই তাঁকে প্রাপ্য প্রার্থী করে তুলেছে। তবে সমালোচকদের মতে, তাঁর প্রশাসনের বিভাজনমূলক নীতি ও বিদেশনীতি শান্তির পরিপন্থী।
ট্রাম্প কি নোবেল শান্তি পুরস্কার পেতে পারেন? নেতানিয়াহুর মনোনয়ন ঘিরে বিতর্ক ও বাস্তবতা
“যদি নোবেল দিলে উনি চুপ থাকেন, তবে তা দেওয়া হোক”— ট্রাম্পকে ব্যঙ্গ করে টুইট চলচ্চিত্র পরিচালকের!
ইমরান খান: পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী
নোবেল আলোচনায় আরেকটি চমকপ্রদ নাম পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।তাঁকে প্রস্তাব করেছে নরওয়ের একটি রাজনৈতিক দল ও পাকিস্তান ওয়ার্ল্ড অ্যালায়েন্স। প্রস্তাবকারীরা বলেছেন, দেশের গণতান্ত্রিক সংস্কার এবং শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক প্রতিরোধে তাঁর ভূমিকা অনন্য।তবে, পাকিস্তানে সহিংস রাজনৈতিক সংঘাত এবং আইনি জটিলতা তাঁকে বিতর্কিত করেছে।
পোপ ফ্রান্সিস: মানবতার প্রতীক
ভ্যাটিকানের প্রধান পোপ ফ্রান্সিস দীর্ঘদিন ধরে শরণার্থী, দারিদ্র্য ও জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে আন্তর্জাতিক মঞ্চে কাজ করছেন।
তাঁর মানবতাবাদী বার্তা ও সংলাপ-ভিত্তিক কূটনীতি তাঁকে সম্ভাব্য প্রার্থীদের তালিকায় তুলেছে। বিশ্বজুড়ে ধর্মীয় সহনশীলতা ও শান্তির আহ্বান তাঁর সবচেয়ে বড় শক্তি।
অ্যালেক্সি নাভালনি: শহিদ কর্মী
রাশিয়ার প্রয়াত বিরোধী নেতা অ্যালেক্সি নাভালনি-র নামও শান্তি পুরস্কারের আলোচনায় উঠে এসেছে।কারাগারে মৃত্যুর পর তাঁর লড়াই বিশ্বব্যাপী গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের প্রতীক হয়ে উঠেছে।অনেকে মনে করেন, তাঁকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দিলে তা স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে এক নৈতিক বার্তা দেবে।
এলন মাস্ক: প্রযুক্তি ও মানবতার সংযোগ
সবচেয়ে অপ্রত্যাশিত প্রার্থী হতে পারেন এলন মাস্ক। যদিও তাঁর নাম শান্তি পুরস্কারের জন্য নতুন, তাঁর কোম্পানি Starlink-এর মাধ্যমে যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনকে যোগাযোগে সহায়তা করা এবং AI নৈতিকতা নিয়ে বক্তব্য তাঁকে আলোচনায় এনেছে।
তবে তাঁর বিতর্কিত টুইট ও রাজনৈতিক মন্তব্য অনেককে সন্দিহান করে তুলেছে।
বিশ্বজুড়ে যখন ইউক্রেন যুদ্ধ, গাজা সংঘাত ও জলবায়ু সংকট চলছে, তখন শান্তির বার্তা সবচেয়ে প্রয়োজনীয় হয়ে উঠেছে।
নোবেল কমিটি এবার কাকে বেছে নেয়, তা অনেকটাই নির্ভর করবে আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক ভারসাম্য এবং মানবিক অবদানের ওপর।
আরও পড়ুন :
আফগানিস্তানে আমেরিকান সেনা ঘাঁটি স্থাপনের বিরোধিতায় রাশিয়া, চীন, পাকিস্তানের সঙ্গী হল ভারত